কে বলে বরেরা বৌদের জন্য ভাবে না? কী বলছেন? একটুও ভাবে না.. আরে ভাবে,ভাবে তাদের ভাবনা হোক বা দুর্ভাবনা হোক সবই বৌদের ঘিরে। তবে হ্যাঁ রাজামশাইরা বৌদের কথা রাজাদের মত করেই ভাবে। আর আমার আপনার ঘরের কর্তামশাইরা বৌদের কথা তাদের মত করেই ভাবে। আজ বলি এক রাজার বৌকে খুশি করার জন্য ভাবনার গল্প। হ্যাঁ এমন গল্প অনেক আছে,তবুও আজ বলি আমাদের কাছাকাছি থাকতেন এমন এক রাজার গল্প। এই গল্প প্রায় তিনশো বছরের পুরোনো। বর্ধমানে ছিলেন এক রাজা,নাম তাঁর কীর্তি চাঁদ। তিনি ১৭০২ থেকে ১৭৪০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তো রাজা থাকবেন আর রানী থাকবেন না তা হয় নাকি? রাজা বিয়ে করে আনলেন এক পাঞ্জাবী সুন্দরী কন্যেকে। নাম তার রাজরাজেশ্বরী। নামেও যেমন তিনি অপরূপা রাজ মহিষী তেমনি সুন্দর তার রূপ। চাঁদনী রাণী যখন ঝিলের জল মুঠোয় তুলতেন তখন সেই মুঠোতে ধরা পড়ত স্বয়ং চাঁদ। তো এমন সুন্দরী রানী উদাস থাকলে কোন স্বামীর ভালো লাগে? রাজা অনেক আদর করে জানতে পারলেন রানীর এখানে থাকতে ইচ্ছে করছে না। এখানে কিছুই নাকি তার বাপের বাড়ির মত নয়। অন্য স্বামী হলে হয়ত জ্ঞান দিয়ে দিতেন,মানিয়ে নিতে শেখো। তোমার মন যদি এতেই খারা...