#সুখের_ছোঁয়া# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# খুব ভোরে বিছানা থেকে উঠে জানলায় দাঁড়ায় সাজি আজকাল আর তেমন করে রাস্তায় টানা রিক্সার ঘন্টি শোনা যায় না অথচ এই তো গতবছরেও ওদের রাজবল্লভ পাড়ার পুরোনো বাড়িটার নিচে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত কত রিক্সাওয়ালা। সকাল থেকেই শুরু হত ওদের ঘন্টির টুং টুং শব্দ। কত বয়স্ক মহিলাকে দেখেছে লাল পাড় শাড়ি পরে রিক্সায় উঠে গঙ্গার দিকে যেতে। এখনকার পরিস্থিতিতে ঠাকুরও আছেন রুদ্ধ দ্বারে, তাঁরাও মানুষের ছোঁয়া পেতে নারাজ। বৃষ্টির জলের ছোঁয়া পেয়ে রাস্তার ওপারের কৃষ্ণচূড়া গাছটা গাঢ় সবুজ হয়েছে আর তার মাঝে মাঝেই ফুটেছে লাল ফুল থোকায় থোকায়। আনমনা হয় সাজি রাঙা ফুলের গোছা রক্তক্ষরণ করে ওর বুকেও। কিছু মন খারাপ এলোমেলো হয়ে পথ হারায় আবার মনের চোরা কুঠুরিতে। ওদের খাবার ঘরে রাখা পুরোনো ঘড়িটাতে ঢং ঢং করে ছটা বাজে। মিঙ্কু তখনও বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে অঘোরে ঘুমোচ্ছে। নাহ্ আর খুব একটা সময় নেই হাতে, এর মধ্যেই সব কাজ সেরে নিয়ে মিঙ্কুকে তুলতে হবে। ওকে তাড়াতাড়ি রেডি করে ওর হেল্থড্রিঙ্কসটা কোনরকমে খাইয়ে বসিয়ে দিতে হবে ল্যাপটপের সামনে তারপর থেকে চলবে টানা ক্লাশ। পাঁ...