সারারাত ট্রেনে খুব ভালো ঘুম হয়নি আদিত্যর। মা বারবার বলে দিয়েছেন বাবার দিকে নজর রাখতে,শরীর ভালো নয় অথচ যাবেই বন্ধুর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁর সাথে দেখা করতে। বলে কিনা ওর জন্যই আজ বেঁচে আছি,নইলে কবেই চলে যেতাম যমের দুয়ারে। সেবার আমার যখন অ্যাক্সিডেন্ট হয় বাঁচার কোন আশাই ছিল না তখন তো শৈলজাই রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছিল। রক্তের ঋণ ভুলি কি করে বলত? এই না গেলে আর হয়ত দেখাই হবে না এ জীবনে। আপার বাঙ্ক থেকে নিচে উঁকি দেয়,নাহ্ বেশ নিশ্চিন্তেই ঘুমোচ্ছে বাবা। মনে হচ্ছে কোন স্টেশন আসছে দেখা যাক একটু চা পাওয়া যায় কি না? সিট থেকে নেমে দরজায় এসে দাঁড়ায় ততক্ষণে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়েছে। নামটা চোখে পড়ে সামসী। এদিকের স্টেশনগুলো অপরিচিত আদিত্যর সেই কবে দার্জিলিং গেছিল এই পথে তখনকার যা একটু স্মৃতি। শুধু মালদা স্টেশনটা চেনা আমের আর আমসত্ত্বর জন্য। এবারের গন্তব্য অবশ্য শৈলজাকাকুর বাড়ি কাটিহারে। বাবার কাছে কাটিহার সামসী আর হরিশ্চন্দ্রপুরের গল্প অনেক শুনলেও এই প্রথম কাটিহারে যাচ্ছে আদিত্য। মা বলতেই রাজি হয়ে গেল কারণ বাবার একবছর আগেই হার্টের বাইপাস সার...