আর মাত্র কয়েক ঘন্টা তারপর জন্ম নেবে আরেকটা নতুন বছর। বাঙালী আবার ভাসবে বাঙালীআনায়। বসবে নতুন বছরের বৈঠক,লাল পাড়ের শাড়ি পরে অনেকেই ভীড় করবেন পুজো দিতে মন্দিরে। হালখাতার সেই পুরোনো নস্টালজিক গন্ধ ফিকে হলেও সাজবে দোকানগুলো। বাঙালী একটা দিন চাইনিজ বা মোগলাইয়ের বদলে খাবে বাঙ্গালী খাবার কোন ভালো বাঙালী রেস্তোরাঁয় গিয়ে। নতুন বছর নিয়ে আসুক সবার ঘরেই অনেক অনেক ভালো খবর। সবাই যেন ভালো থাকে প্রতি ঘরে ঘরে। বছর শেষের দুটো দিন বেনারসে কাটিয়ে অদ্ভুত একটা অনুভূতি নিয়ে ফিরলাম আমিও। এই নিয়ে আমার ওখানে তৃতীয় বার যাওয়া। গত দুই বারই বাবা মা সাথে ছিলেন। এবার তাঁরা দুজনেই আর নেই সাথে। তবে তাঁদের সাথে দেখা জায়গাগুলোতে গিয়ে মাঝে মাঝেই হারিয়ে গেছি ছেলেবেলার দিনগুলোতে। কেদার ঘাটে গিয়ে মনে পড়েছে মাকে খুব। একটা সময় আমরা একমাস ছিলাম বেনারসে। তখন মা প্রতিদিন এখানে গঙ্গায় স্নান করে মন্দিরে জল ঢালতেন। এবার আমি নীল পূজার দিন ওখানেই জল দিলাম। নৌকা বিহার,প্রদীপ ভাসানো সব আগে করেছি। শুধু গঙ্গা আরতি এবার নতুন দেখলাম। আগে দেখিনি বেনারসে। সব কিছু মিলে অদ্ভুত একটা নস্টালজিয়া। ভোরে ঘুম ভেঙে উঠে দাঁড়িয়েছি হোটেলের জানলায় ওখান থে...