পরনের টি শার্টটা এক ঝটকায় খুলে নিয়ে তাড়াতাড়ি প্যাডেড অন্তর্বাসটা পরে নিজের সুডৌল বুকটা আয়নাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে হাসি পায় ওর নিজেরই। এদিকে ভাগিরথীয়া তাড়া দেয়,' আরে কতক্ষণ নিজের ঐ দুটো দেখবি শালা আরে না না শালী আয়নাতে টুকটুক করে,তাও যদি আসল হত। লে এবার চট করে রেডি হয়ে নে তো দেখি। শালা আমার হয়েছে যত মরণ এদেরকে লিয়ে। এদিকে পয়সাও চাই অন্যদিকে শুধু ছুক ছুক করা। নিজের বুকে নিজেই হাত বোলাচ্ছে দেখো কেমন করে? পিরিতের মানুষ পেলে তো ছিঁড়ে খাবি মনে হচ্ছে শালা। পয়সা কামাই করতে হলে লে জলদি। তোর হলে ওরা সাজবে, আরে আয়না তো একটাই। তারপর আবার ঘর ভাড়া ভী আছে।' তাড়াতাড়ি শাড়িটা জড়িয়ে ঠোঁটে লিপস্টিক পরে,চোখে কাজল এঁকে রেডি হয়ে নেয় পল্টন। এখন ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। দিব্যি মানিয়েছে ওকে এই বেশে। প্রথম প্রথম লজ্জা লাগলেও এখন আর লাগে না। তাছাড়া কে আর বুঝতে পারছে কলকাতা শহরের হাজার লোকের ভিড়ে পল্টন এখানে কী কাজ করে নিজের জীবিকা অর্জন করে। ভালোই রোজগার হয় ধর্মতলা অঞ্চলে। ভাগিরথীয়াকে কিছু টাকা অবশ্য দিতে হয়,বাকিটা নিয়ে বাড়ি ফেরে পল্টন। বাড়িতে অসুস্থ বাবার ওষুধের খরচ,সংসারের টুকটাক খরচ সবই চলে যায় ওর...