আজকাল রাজোর অনেক সময় চলে যায় বাড়ি গোছগাছ করতে কত কাজ যে বেড়েছে তার শেষ নেই। মাঝেমধ্যে সে হাঁফিয়ে ওঠে তবুও আবার মনে আনন্দের হাজার বাতি জ্বালিয়ে একাই নেমে পড়ে ময়দানে টালমাটাল পায়ে। রাজো মানে রাজশ্রী,আপনাদের নিশ্চয় অবাক লাগছে শুনে টালমাটাল পা আবার কী? রাজো নিশ্চয় গৃহবধূ তার আবার টালমাটাল পা কেন? সত্যিই টালমাটাল রাজো তার হাঁটু নিয়ে। মাঝেমধ্যে সে ভাবে হাঁটুটা যদি মাথায় তুলে রাখা যেত। এক পায়ে তার স্ক্রু আরেক হাঁটু একসময়ের অতিরিক্ত পরিশ্রম আর হাঁটাহাঁটির ফলে এখন আর কাজ করতে চায় না,বিদ্রোহ করে সবসময়। যার ফলে রাজো মাঝেমধ্যে ভূপতিত হয় তার বিশাল বপু নিয়ে,কখনও কেটে ছড়ে একাকার হয় তার মুখ তবুও জীবন চলতেই থাকে লেংচে খুড়িয়ে। অবশ্য এই জীবন বড় পানসে তার কাছে তাই ডাক্তারের হাঁটু পাল্টানোর থ্রেট সে কানে নেয় না লড়ে যাচ্ছে নিজের মত। মনে ভাবে যা হয় হবে। তবে মাঝেমধ্যে মন দূর্বল হয়ে যায় তবুও,তখন সে একলা কাঁদে তার ইষ্টদেবতা প্রভু জগন্নাথদেবের কাছে তারপর তাকে চুপিচুপি বলে এবার থেকে রাস্তায় বেরোলে আমার হাতটা তুমি ধরে থাকবে যাতে আমি আর পড়ে না যাই। কত আর সবার বকুনি খেতে ভালো লাগে বলো? বর বলে সবাই রাস্তা দিয়ে হাঁটে...