অসুস্থ অবস্থায় মা এলেন মালদা থেকে,তাকে নার্সিংহোমে দিলাম। তারপর টানা পাঁচদিনের ভুল চিকিৎসার মাসুল স্বরূপ তখন সারা শরীর ফুলে ঢোল। বন্ড সই করে বাড়ি আনলাম ঐ অবস্থায় কোথাও ভর্তি না করতে পেরে অগত্যা ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করলাম। যদিও ছেলের মত ছিল না তবুও নিরুপায় হয়ে সেখানেই দেওয়া। ও তখন ওখানে এম এস করছে। ছেলের পড়ার জায়গাতে এর আগে ভর্তির সময় একবার গেলেও মায়ের জন্য প্রতিদিনই এবেলা ওবেলা যেতে হত। স্কুল ফেরত অনেকটা সময় মায়ের কাছে কাটিয়ে বাড়ি ফিরতাম,বেশিরভাগ ছেলের সাথে দেখা হত না। একটা ফোন করে বেরিয়ে আসতাম,কখনও বা দেখা হত। সেই সময় দেখেছি সরকারী হসপিটালে ডাক্তারদের ওপরে কথা বলে আয়া মাসীরা আর যারা ট্রলি টানে বা মেল অ্যাটেন্ডেন্ট তারাও। আর সিকিউরিটিদের তো কথাই নেই। আমার চব্বিশ ঘন্টার কার্ড ইস্যু করা সত্ত্বেও অনেকভাবে হেনস্থা হতে হয়েছে। মাকে ইউএসজি করাতে অথবা অন্য কোন ডিপার্টমেন্টে নিয়ে যেতে হলে পাওয়া যায়নি কাউকেই। চারদিকে শুধু কাজের হিসেবে ফাঁকি আর রোগীদের সাথে তো বটেই এবং কখনও কখনও ডাক্তারদের সাথেও দেখেছি এদের খারাপ ব্যবহার করতে। দীর্ঘ সময় থাক...