Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2021
লেখিকা রুমাশ্রী সাহা চৌধুরীর জন্ম মালদা জেলায়। বাবা শ‍্যামলেন্দু সাহা এবং মা মীরা সাহা দুজনেই শিক্ষকতা করতেন। ছোটবেলা থেকেই বড় হওয়া উত্তরবঙ্গের খোলা হাওয়ায় মালদার ছোট গ্ৰাম ভালুকাবাজারে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ‍্যালয় থেকে বি.এড করে এখন ইংরেজির শিক্ষিকা। ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করলেও প্রথম প্রেম মাতৃভাষা বাংলা।তাই সংসার ও শিক্ষকতার পেশা সামলে দুই সন্তানকে বড় করে আবার আগলে ধরা প্রথম প্রেম মাতৃভাষা বাংলাকে। লেখার মধ‍্যে একটু খুঁজতে চাওয়া সামাজিক সমস‍্যার সমাধান। নারী পুরুষের সম্পর্কে আরেকটু বেশি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার পরশ মাখানো অথবা মাতৃত্বের স্বীকৃতি আর সম্মান খোঁজা। আবার কখনো এলোমেলো শব্দের বুননে ভালোবাসার স্বপ্ন সাজানো। রুমাশ্রী প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখে সবাই ভালো থাক অন্ততঃ ওর লেখা গল্পগুলো নিয়ে আসুক ভালো কিছু চিন্তা সবার জীবনে। ভূমিকা প্রথম ভালোবাসা অবশ‍্যই আমার প্রথম ভালোবাসা যা শুধু নিছক প্রেম ভালোবাসার গল্প নয়। ছোট থেকে বড় হওয়ার মাঝে আমরা প্রত‍্যেকেই একটু ভালোবাসা পাওয়ার কাঙাল। একটু ভালোবাসা আমাদের ভরে দেয়,বাঁচতে শেখায় আবার কখনো বা লড়াই করতে শে...

জীবন যখন যেমন ( সিজন ২)

মাঝে কেটে গেছে বেশ কয়েকটা মাস আপন খেয়ালেই। মিষ্টিকে নিয়ে নতুন সংসারের মিঠে স্বাদের সাথে সাথে কখনো টক,ঝাল আর তেতোও এসে যাচ্ছে মানে জীবনে যা হয়। জীবনও তো একটা যাত্রা সেখানে কখনো হাসি,কখনো কান্না,কখনো রাগ আবার কখনো অনুরাগ।               গতকাল রাতে বেশ ঘুমোতে দেরি হয়ে গেছে যথারীতি সকালে ঘুম ভাঙেনা মিষ্টির।রবীন থাকলে বকুনি লাগাতো ঠিক...সকালে উঠবিনা দেরি করে উঠবি। চোখটা খুলেই রক্তচক্ষু সূয‍্যিমামাকে দেখে মিষ্টির মনে হলো,এই রে আজও অফিসে যেতে দেরি হবে নাকি? চোখ ঘুরিয়ে খোঁজে জোজোকে দেখতে পায়না। ইশ্ খুব পাজি ওর বরটা সকালে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়না।                  হঠাৎই দেখতে পায় জোজো ঘরে ঢুকছে । ওর গালদুটো চকচক করছে ব্লেডের আদরে ক্লিনলি সেভ করাতে বুঝতে পারে অফিসের জন‍্য হাফ রেডি জোজো।      " গুডমর্ণিং,উঠে পড় এবার। তোর সব রেডি আছে। উঠেই গরম কফি আর স‍্যান্ডউইচ টেবিলে পাবি।"  " ইশ্ আমার বেচারা বরটা,বিয়ের পরও বৌয়ের সব গুছিয়ে দিতে হচ্ছে। ইশ্ মা যদি জানতে পারে।"    দুষ্টুমি খেলে যায় জোজোর চোখেমুখে," ত...
দিদি ট্রেনে বসে যতই বকবক করতে থাকুক না কেন খুব একটা মন দিতে পারেনা ওর কথায় সুগত। কি যে সারাদিন বকবক করে দিদিটা কে জানে! কোথা থেকে যে এত এনার্জি পায়? ট্রেনের দুলুনি লোকজনের হইচই আর হকারের চিৎকারে সব কথায় ঠিকমত মন দিতে পারেনা। তাই চুপটি করে বসে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই।    " শোন,তোর বয়েস হয়েছে। শুনেছি মেয়েটারও কিছুটা বয়েস হয়েছে। যাক দেখাই যাক গিয়ে কেমন লাগে। ভালো লাগলে ওদের আসতে বলবো আর তারপর কথা এগোবে। আর না লাগলে তো মিটেই গেলো।"                 খুব ইচ্ছে করছিলো সুগতর বলতে, দিদি একটু চুপ করে বোস তো। এত কথা বলিস কেন সবসময়? তারপর নিজেরই মনে হলো দিদি তো এমনই তাই বোধহয় সুকুমারদা ওকে কিছু সময়ের জন‍্য বলে একদম চিরতরে এখানে রেখে গেছে। মা রাগ করে কম বলেনি দিদিকে। মা বকলে বকবকানি থামিয়ে চুপ করে শুনতো আর হাসতো। শেষে একদিন বগলদাবা করে রওনা দিয়েছিলো দিদিকে নিয়ে সেই দিনাজপুরে ওর শ্বশুরবাড়িতে। ওর শাশুড়ি গালমন্দ করেছিলো," কি করতে নিয়ে এসেছেন এই মেয়েকে? সুকুমার বলেনি ওকে আর নেবেনা। তাছাড়া সুকুমার তো এখন কাজ নিয়ে কন্ট্রাকটারের সাথে দিল্লি না মুম্বাই চলে গেছ...