(১) #মিলনের_রঙ# ওরা চেয়েছিল চলে যাওয়া। মেনে নিয়েছিলেন রাধিকা, শুধু মনটা কেমন করেছিল ছোটকুর জন্য। এই তো কিছুদিন আগেই ছেলেটা বিদেশে গেল। আর তার পরেই রমলা পাল্টে গেছিল একটু একটু করে। অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছিল রাধিকাকে নিয়ে। " আচ্ছা আমি কি আর কোনদিনই ঝামেলা ছাড়া চলতে পারবো না বলতো? ওঁর নিরামিষ,উপোস এই নিয়ে আর কতদিন চলব এই ভাবে? অনিন্দ্যও আজকাল বিরক্ত হয় কথায় কথায় বুঝতে পারেন রাধিকা। বেশি বয়েস পর্যন্ত বেঁচে থাকাও বোধহয় একটা দায়। তখন মনে হয় শুধু হে কৃষ্ণ আর কতদিন? এবার মুক্তি দাও ঠাকুর। কিন্তু সে তো হবার নয়। ওরা কথা বলেছিল বৃদ্ধাশ্রমে, এক কথায় রাজি হয়ে গেছিলেন রাধিকা। শুধু একবার বলেছিলেন," এই বেশ ভালো, বার্ধক্যের বাণপ্রস্থ। শুধু ছোটকুটার সাথে যদি একবার দেখা হত!" মাঝে কেটে গেছে অনেকগুলো দিন। রাধিকা বুঝতে পারেন ওঁর আদরের ছোটকু যাকে গোপাল বলে ডাকতেন সেও ভুলে গেছে তাকে। নিয়ম মেনেই বসন্ত এসেছে,আশ্রমের শিমুল গাছের কাঁটা ঢেকেছে গাঢ় লাল রঙের ফুলে। আজ দোল উৎসব ফাগুয়ার রঙের ছোঁয়া একটু হলেও লেগেছে বা...