Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2022

উত্তরবঙ্গের পথে

আমার চোখে দুগ্গা মা আমার দুর্গা সাজতে জানে.. গয়না দেয় সে গলায়, হাতে,কানে সব ড্রেসে সে মানানসই   অবাক চোখে চেয়ে রই। আমার দুর্গা নিজেই নিজের ডিজাইনার ব্লাউস বলো আর গলার হার সবেতেই হাল ফ্যাশনের     ধারণা রয়েছে তার। আমার দুর্গা দুটি হাতেই    রান্না ঘরে হাতা খুন্তি ও ধরে পরিবার বন্ধুস্বজনের জন্য নানা প্রিয় পদ রান্না ও করে। আমার দুর্গা শিক্ষকতা যার পেশা... সমাজ ও মানুষ গড়া ই তার নেশা। কতশত ছাত্রী আজ মাথা উঁচু করে আছে  পৃথিবীর কোণে কোণে , সেসব খবরে খুশিতে উজ্জ্বল  হই আমরা সকলে মনে মনে। আমার দুর্গা ,তার ভ্রমণপিপাসু মন.... পাহাড়ের ডাকে ছুট্টে চলে যায় যখন তখন...  ঘুরে ঘুরে দেখে আর ছবি তুলে রাখে.... তার লেখা ভ্রমণ বিবরণ.... আমাদের যেতে না পারার দুঃখ ঢাকে।। আমার দুর্গার কলম চলে..     খুঁজতে নারীর  সন্মান সভ্যতার উন্নতির সোপান বেয়ে সব নারী যেনো পায় মান। সব ছবিতেই সরলতা ভরা    মিষ্টি মধুর হাসি.. সুরেলা কণ্ঠস্বর শুনতে      বড্ড ভালোবাসি। আমার দুর্গা স্নিগ্ধ,কোমল হাসিতে উচ্ছল  প্রাণে থাকুক শক্তি মনে  অফ...

বন্ধুত্ব ভাঙে নিঃশব্দে

তখন কলকাতায় বিয়ের পর নতুন এসেছি এসেই টুকটাক হোঁচট খেতে শুরু করেছি ঘরে বাইরে। প্রথম কথা উত্তরবঙ্গের মেয়ে আমি,পথঘাট ঠিকমত চিনি না। বি.এড কলেজে ভর্তির ফর্ম জমা দিতে গিয়ে কখনও উল্টো দিকের বাসে চেপে বসছি। কখনও বা কাউকে পথের হদিস জিজ্ঞেস করাতে সে আমাকে আনাড়ি ভেবে পিছনে ধাওয়া করছে। যাক এই হোঁচট ঠ‍্যালা গুতো খেয়ে মোটামুটি প্রথমে এসেই আমি বেসামাল। তারমধ‍্যে আবার দেখলাম এখানকার মানুষ জন যেন কেমন একটা, মানে আজ আপনাকে রাস্তায় দেখে দাঁত ক‍্যালালো অনেক গপ্প করল যেচে যেচে আবার কাল যখন আপনি হাসি বিনিময় করবেন বলে সবে দাঁত বের করবেন সে মুখ ফিরিয়ে চলে গেল।    প্রথম প্রথম খুব মনখারাপ হলেও একটা সময় বুঝলাম এখানকার মানুষজন এমনি,কাজের বেলায় কাজি আর কাজ ফুরোলে পাজি। প্লিজ এটা অবশ‍্য সবার জন‍্য নয়,অমায়িক মানুষও আছেন।   সে যাক দেখতে দেখতে কলকাতার বুকে পা রাখার প্রায় ছয় বছর পুরো হল। ততদিনে আমি বি এড শেষ করে চাকরি করছি। তবে আমার বর যে কথাটা বলেছিল একটা সময় দেখলাম সেটাও সত‍্যি মানে কাজের জায়গায় বন্ধু হয় না। অবশ‍্য যাদের আছে এমন বন্ধু তারা বলবেন হয়। অবশ‍্য এটা আমিও ভেবেছি আর নিজেকে অপদার্থ হিসেবে দশ, আ...