গান :
১) মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল
২) অন্ধকারের উৎস হতে
৩) প্রাণ ভরিয়ে তৃষা ৪)আমার মুক্তি আলোয় আলো ৫) আমি মারের সাগর পারি দিতে ৬)আমার সকল রসের ধারা ৭)প্রাণ চায় চক্ষু না চায় ৮) বসন্তে ফুল গাঁথলো
'আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছো বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহল ভরে'..... নিজের মতো করে কবিগুরু রচনা করে গেছেন তাঁর জন্য আর সবার জন্য। তাই কবিকে প্রণাম জানাই তাঁর সৃষ্টি করা সুধাময় গানে । প্রকৃতিতে ফুলে ফুলে পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে তাঁর রচনার সৌরভ। আকাশ থেকে ঝড়ে পরা বৃষ্টির শব্দ যে এতো মিষ্টি হতে পারে আর সেই শব্দেও মন নেচে উঠতে পারে ময়ূরের মতো,এমন ভাবনা কেবল কবিই ভাবতে পারেন।প্রকৃতির ছন্দে ছন্দ মিলিয়ে কবি সৃষ্টি করেছেন তাঁর অপূর্ব সুধামাখানো সাহিত্যসম্ভার যা হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যায় আনন্দে,শোকে,প্রেমে আর বিরহে।
আজ আমাদের আয়োজিত আমাদের রবীনঠাকুর অনুষ্ঠানে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই প্রাণের কবিকে যাঁর কাব্যের মাধুর্যে প্রতিদিন হয় সৌরভে সুন্দর, মাধুর্যে পরিপূর্ণ। জীবনের চলার পথে কবি আছেন প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে সকল কাজে। আগুনের পরশমণির ছোঁওয়ায় জীবনের অনেক অসম্পূর্ণতাই হয় পূর্ণ।
মহাবিশ্ব, মহাকাশ এক অপূর্ব বিস্ময়,যা সাধারণ মানুষকে করে আবিষ্ট,মুগ্ধ। হয়ত বা স্বয়ং বিশ্বনাথ নিয়ন্ত্রণ করেন এই বিশ্বকে সবার অলক্ষ্যে বসে। বিশ্বের রহস্যে আবিষ্ট হয়ে কবি তার মতো করে বলেছেন ....মহাবিশ্বে মহাকাশে।
আলোর ছটায় কবি ভরিয়ে দিতে চেয়েছেন বিশ্বমানবের অন্তর। নিজেও মুগ্ধ হয়ে দুচোখ আর অন্তর দিয়ে উপভোগ করেছেন আলোকের মাধুর্য। একদিকে তিনি বলেছেন,' আলোকে মোর চক্ষুদুটি মুগ্ধ হয়ে উঠলো ফুটি। আবার তিনি আধার কেও আমন্ত্রণ করেছেন জীবনে। নিজের জীবনেও কখনো শোকে দুঃখে কখনো বা আনন্দে একটা কথাই বলেছেন,' মনেরে আজ কহ যে ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে। এইভাবেই আমরা কবিকে
দেখেছি অপূর্ব এক জীবনীশক্তিতে জীবনের মুখোমুখি হতে।
Comments
Post a Comment