Skip to main content

চক্ষুদান

#চক্ষুদান#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

'বাবা আর কত দেরি গো?
হলুদ রঙগুলো তো সব দেওয়া হয়ে গেছে এবার চোখগুলো এঁকে ফেলোনা তাড়াতাড়ি। আমি দেখবো তো।'
     'ওহ্ দেখেছো চারু তোমার মেয়ের কান্ডটা!কেমন অস্থির করছে মায়ের চক্ষুদানের জন‍্য।'
খুব অস্থির করত এমনি ছেলেবেলায় দুগ্গাঠাকুরের চোখ আঁকার জন‍্য দৃষ্টি বাবাকে দুর্গা পূজার আগে। ওর বাবা ঠাকুর বানায়,খুব বেশি বানাতে পারেনা তবে কিছু মানুষ ওর বাবা ছাড়া অন‍্য কারো কাছে ঠাকুর নেবেইনা। বাবার কাজে সব সময় সাহায‍্য করে ওর মা চারুলতা। আর দৃষ্টি মাঝে মাঝেই চলে আসে পড়াশোনার ফাঁকে বাবার কাছে। সত‍্যিই তো দুর্গাপূজোর আগে কার ভালো লাগে ছাই নামতা মুখস্থ করতে। তবে খুব বেশি পড়তে লাগেনা ওর চট করেই মুখস্থ হয়ে যায়।
     হয়ত ওর নাম দৃষ্টি বলেই ঠাকুরের চক্ষুদান দেখতে বড় ভালো লাগে ওর। মাথা খারাপ করে বাবার 'কখন চোখ আঁকবে গো। আঁকোনা তাড়াতাড়ি।'ওর বাবা মুকুন্দর চোখ আঁকার জন‍্য ডাক আসে এদিক ওদিক থেকে,সবাই বলে মুকুন্দর চক্ষুদানে দেবী জীবন্ত হয়ে ওঠে। চক্ষুদান কথাটা এতবার শুনেছে মুকুন্দ তাই মেয়ের নাম রেখেছে দৃষ্টি। ওর চোখেই বিশ্বদর্শন করে ওরা স্বামী স্ত্রী।
       বাবা ঠাকুরের চোখ আঁকে আর দুচোখ ভরে দেখে দৃষ্টি। বাবা ওর চোখে সবচেয়ে সেরা জাদুকর,কি সুন্দর চোখ করে দিতে পারে যে কোন ঠাকুরের।
           সবে ক্লাশ ফোর দৃষ্টির,এখনো ছেলেমানুষ মেয়েটা ঠিক রবিঠাকুরের কবিতার মত,খুকু তোমার কিছু বোঝেনা মা। বড় কাজের চাপ বাড়ে মুকুন্দ আর চারুর পূজোর আগে। দৃষ্টিও এসে বসে কাজ দেখে বাবা মায়ের কখনো বা হাত লাগায় ছোটখাটো কাজে। চারুর পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ায়,চারু আদর করে দেয় মেয়েকে আর বলে,'একটু পড়ে নে সোনা,পূজোর ছুটির পরেই তো পরীক্ষা।তোকে অনেক বড় হতে হবে,এইসব কাদামাটির কাজ একদম করবিনা মা।'
             রঙ করছিলো ওরা হঠাৎই মেসিনে করে রঙ দেবার সময় চারুর চোখে ছিটিয়ে আসে উঃ কি যন্ত্রণা!জ্বলে গেলো চোখটা। এমন তো হয়না কখনো,কতই তো করে কাজ। চোখ খুলতে পারেনা চারু,মুকুন্দ জল ছিটোতে লাগে। চোখদুটো লাল টকটকে চারুর দেখতে পায়না ভালো করে,ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় মুকুন্দ কাজ ফেলে। ইশ এই সময় চারুটার এমন হলো!কত কাজ পরে আছে, ডাক্তার ওষুধপত্র সবই দেন কিন্তু চোখটা যেন দিনে দিনে আরো খারাপ হতে থাকে,খুব অসুবিধা হয় দেখতে। খুব একটা ভালো করে দেখতে পায়না চারু। কেঁদে ওঠে দৃষ্টি,'বাবা মায়ের চোখদুটো তো দুর্গামায়ের মত টানাটানা ছিলো,এমন হলো কেন গো। মায়ের চোখ তুমি ঠিক করে দাওনা গো।'
     অনেকেই বললো বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে,কিন্তু অত টাকা কোথায়?তারপর পূজোর সময় কত কাজ। সবার ঠাকুর সময়ে দিতে হবে।সেবারের পূজোটা কেমন যেন এলোমেলো কাটলো দৃষ্টির,মায়ের হাত ধরে ঠাকুর দেখা আর মজা করা হলোনা। 'মা বলতো আমাকে কেমন লাগছে,বলোনা গো।'..মেয়ের মুখে হাত বুলিয়ে বলত চারু,'কি সুন্দর লাগছে আমার সোনাকে‌।'..'আর জামাটা,কেমন লাগছে বললেনা তো।'...'সেই লাল জামাটা না?একদম পরীর মত লাগছে।'..গলার কাছে একদলা কান্না জমে দৃষ্টির ঠাকুরের কাছে হাত জোর করে বলে,'ঠাকুর আমার মায়ের চোখটা তুমি ভালো করে দাও গো,মা যেন আবার দেখতে পায়।'
        কিন্তু মা বোধহয় ছোট্ট দৃষ্টির কথা শুনলোনা তাই চারুর চোখটা ঠিক হলোনা,মুকুন্দ টাকাপয়সা জোগাড় করে বাইরে নিয়ে গেলো চারুকে তবুও কিছু হলোনা। অনেকটা দেরি হয়ে গেছে ডাক্তার বললো। মন খারাপের মেঘ নিয়ে ফিরে এলো ওরা।
        মুকুন্দ একাই ঠাকুরের কাজ করে,চারু বসে থাকে পাশে। তবুও চেষ্টা করে যদি কিছু সাহায‍্য করা যায়। সেদিন রাতে ওরা বসে আছে হঠাৎই সেখানে দৃষ্টি এলো দৌড়াতে দৌড়াতে হাতে অনেকগুলো তুলি আর রঙ,'বাবা বাবা এই যে এনেছি।'...'কি হবে মা এগুলো দিয়ে?'..'আমার হঠাৎ মনে এলো তুমিই পারবে মায়ের চোখ এঁকে দিতে। দাওনা গো বাবা,একজোড়া টানা টানা চোখ মাকে এঁকে ঐ দুর্গা ঠাকুরের মত। দাওনা গো...'
         আর পারেনা এবার হাউহাউ করে কেঁদে ফেলে মুকুন্দ,সত‍্যিই তো ও অক্ষম। ঠিকই তো বলেছে দৃষ্টি যে সাক্ষাৎ দুর্গার চক্ষুদান করে সে একটা সামান‍্য মানুষের চোখদান করতে পারলোনা!..'আমি একটা অপদার্থরে মা আমি শুধু মাটির ঠাকুরের চোখ আঁকতে পারি,মানুষের পারিনা। আমায় ক্ষমা করে দে মা।'...বাবার চোখে জল দেখে আর কিছু বলতে পারেনা দৃষ্টি। শুধু বলে,'আমি একদিন ঠিক মায়ের চোখ এঁকে দেবো দেখো বাবা, তুমি কেঁদোনা।'..মেয়েকে বুকের কাছে জড়িয়ে চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে চারুর। এইটুকু মেয়ে কত ভাবে মায়ের জন‍্য।
        হয়ত দৃষ্টি বাবাকে দেওয়া কথা ভোলেনি তাই মন দিয়ে পড়াশোনা শিখে একটু একটু করে তৈরি করেছিলো নিজেকে। চারু বসে থাকতো পাশে,'তুই পড় মা,যতদূর পড়বি আমরা পড়াবো।'
পাড়ার অনেকেই বলেছে,কি দরকার বেশি পড়ানোর বিয়ে দিয়ে দাও ওকে।
         কোন কথা কানে না নিয়ে দৃষ্টি এগিয়ে গেছে সেদিনের ছোট্ট দৃষ্টি আজ আই সার্জেন দৃষ্টি পাল। ও যে বাবাকে বলেছে একদিন ঠিক মায়ের চোখ ও ফিরিয়ে দেবে। মাকে নিয়ে কত চেষ্টা দৃষ্টির,বড় বড় ডাক্তারদের সাথে কনসাল্ট করেছে,যদি কিছু করা যায়। আজ যখন ও লাল শাড়ি পরে অঞ্জলি দিতে যায় প্রথমেই এসে মায়ের কাছে বলে,ওমা বলোনা গো আমাকে কেমন লাগছে দেখতে?'..'একদম দুর্গাঠাকুরের মত লাগছে, এবার যে মহাদেব খুঁজতে হবে আমাদের।'..লজ্জা পায় দৃষ্টি মহাদেব তো ও খুঁজেই নিয়েছে নিজেই। না না এবার সত‍্যি একদিন সায়ককে আনতে হবে ওদের বাড়িতে। সায়ক চোখ ফেরাতে পারেনা দৃষ্টির দিক থেকে,সত‍্যিই খুব সুন্দর টানা টানা চোখ দৃষ্টির। আজও চোখের প্রশংসা শুনলেই ওর মায়ের কথাই মনে পড়ে। ছলছল চোখে বলে,'এমন সুন্দর টানাটানা চোখ ছিল আমার মায়ের,সেই চোখে দৃষ্টি নেই।'..ওর হাতটা ধরে সায়ক,'দৃষ্টি তো মায়ের হৃদমাঝারে বসে আছে। এমন মেয়ে কজনের হয়?অবশ‍্য আমারও মনে শুধুই দৃষ্টি আর দৃষ্টি।'...'ইশ্ ডাক্তাররা যে এত বোকা বোকা প্রেমিক হয় জানতামনা।'..তোমার চোখের দিকে তাকালে ভুলে যাই সব শুধুই মনে হয় তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।'
এলোচুলে সায়কের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টি আজও করলো মায়ের কাছে মায়ের জন‍্য চক্ষুদানের আকুতি। 
               বাবা কোন বারণ শোনেনা কতবার বলেছে,'বাবা আর তোমায় কাজ করতে হবেনা'।..'নারে মা হাতে করে ঠাকুর গড়ি এ যে আমার পরম সৌভাগ‍্য,আমায় বারণ করিসনা।'..যদিও সময় হয়না তবুও মায়ের চক্ষুদানের সময় বড় ভালো লাগে ওর দেখতে। ঐ একটা দিন বিহ্বল হয়ে তাকিয়ে থাকে মায়ের দিকে। চোখ ফেরাতে পারেনা আর মনে মনে শুধু ভাবে কবে ওর চিণ্ময়ী মায়ের চক্ষুদান করতে পারবে নিজের হাতে। বড় অস্থির লাগে ওর এতগুলো জায়গায় বলে রেখেছে কর্ণিয়ার জন‍্য তবুও ব‍্যবস্থা হলোনা।
                 পূজো শেষ,এই সময়ও বাবার ব‍্যস্ততা থাকে। কাঠামো গড়ার কাজ থাকে অন‍্য পূজোর জন‍্য,যদিও এখন অনেক কাজ কমে গেছে। দৃষ্টি বারণ করে বেশি কাজ করতে। হঠাৎই ঘটলো এক দুর্ঘটনা,স্টুডিওতে যাবার পথে অটো আ্যক্সিডেন্টে চলে গেলো বাবা। একটুও সময় পায়নি দৃষ্টি ওর হাতের ওপরেই বাবা চলে গেলেন,কিছুই করার ছিলোনা। তবে স্তব্ধ হয়ে গেলো দৃষ্টি,যে বাবা চিরকাল সুনিপুণ হাতে সব দেবতাদের চোখদান করে এসেছে তার চোখদুটো কখন দান করে গেছে আইব‍্যাঙ্কে সবার অলক্ষ‍্যে কখনো জানতেই পারেনি ওরা। না না ওদের কাজে বাধা দিলোনা দৃষ্টি,আজ ও নিজে বোঝে চক্ষুদানের প্রয়োজন কতটা। মাকে বুকে জড়িয়ে পাথর হয়ে একা সামলালো সবটা,অবশ‍্য সায়ক এসে থেকেছে সবসময়। মুকুন্দ যেন অলক্ষ‍্যে চারুকে বলে গেল এই তো তোমায় রেখে গেলাম একদম যোগ‍্য লোকের কাছে। কোন অযত্ন হবেনা তোমার দেখো। হাহাকার করলো চারু,'কতবছর তোর বাবাকে দেখিনি,শুধু স্পর্শ করতাম। হায় ভগবান তুমি সেটুকুও কেড়ে নিলে!'...'আমি আছি মা তোমার সাথে। আর বাবা আমাদের সাথে।'
           বাবাকে হারিয়ে যেতে দেয়নি দৃষ্টি,পূর্ণ করেছিলো বাবার না বলে যাওয়া শেষ ইচ্ছে। বাবার দান করা চোখ দিয়ে মায়ের চক্ষুদান করেছিলো দৃষ্টি। মায়ের টানাটানা দুইচোখ দিয়ে দেখেছিলো বাবাকে প্রাণভরে। মনে হয়েছিলো বাবা এইভাবেই মায়ের মধ‍্যে থেকে গেলো। খুব যত্নে মায়ের চোখটা ড্রেসিং করে দৃষ্টি সঙ্গে সায়ক,ঐ চোখদুটো যে বড় অমূল‍্য তার কাছে।
           সত‍্যি বোধহয় খুব বড় ম‍্যাজিসিয়ান ওর বাবা মুকুন্দ পাল যে শুধু মৃন্ময়ী মায়েরই চক্ষুদান করতে পারতনা,নিজের দুই চোখ দান করে আলোর ঠিকানায় ফিরিয়ে দিয়েছে ওর চিণ্ময়ী মাকেও। দু ফোঁটা জল বেড়িয়ে আসে চারুর চোখ দিয়ে। 'মা কেঁদোনা,চোখের ক্ষতি হবে। তোমার চোখদুটো যে বড় অমূল‍্য।'

সমাপ্ত:-
     

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...