Skip to main content

রেপড মেয়ের সন্তানকে কোলে তুলে নিলো মা বাবা

চটপটা চিংড়ি

উত্তরবঙ্গের একটা গ্ৰামে আমার ছোট থেকে বড় হওয়া। পাশেই মহানন্দা নদীর ছোট্ট শাখানদী ফুলহার হরেক রকম মাছ পাওয়া যেত সেখানে একদম টাটকা জ‍্যান্ত সেইসব মাছ। তবে বেশিরভাগই ছোট মাছ। যদিও আজ তার পুরোটাই অতীত,তবুও ছোটবেলা আর মেয়েবেলার স্মৃতি বোধহয় ভোলা যায়না কখনই। আজও মায়ের রান্নার স্বাদ পাই চোখ বুজলেই। গরমের সময় খুব অল্প দিনের জন‍্য ওখানে গলদা চিংড়ি পাওয়া যেত। ওখানে বাজার বসত বিকেল বেলা,বাবা নিয়ে আসতেন হঠাৎই চিংড়ি মাছ,ভাগ‍্যক্রমে পাওয়া গেছে অথচ বাড়িতে নারকেল টারকেল নেই। মা রাতে গরম ভাত দিয়ে খাওয়ার জন‍্য চটপট করে ফেলতো চিংড়ির মাথার বড়া আর চিংড়ি চটপটা ভাপে।
উপকরণ লাগবে:-    (১) বড় চিংড়িমাছ ছয়টা বা আটটা, টাটকা হলে খুব ভালো। মাঝারি হলেও কোন ক্ষতি নেই।
(২) সরষে দুচামচ,পোস্ত দু চামচ,কাঁচালঙ্কা দুটে
এক সাথে বাটা।
(৩) পেঁয়াজ দিতে চাইলে খুব মিহি করে কুঁচিয়ে ছোট একটা পেঁয়াজ(মা পেঁয়াজ ছাড়াই করতেন)
(৪) ঘরে টক দই থাকলে দু চামচ।
(৫) সরষের তেল দুচামচ থেকে তিনচামচ।
(৬) গোটা কাঁচালঙ্কা দু তিনটে।
(৭) পরিমাণ মত লবণ আর হলুদ,মিষ্টি খেতে চাইলে খুব সামান‍্য।

প্রণালী:- মাছটাকে ভালো করে পরিস্কার করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে। খুব টাটকা ঘিলুভরা বড় চিংড়ি হলে মাথাগুলো আলাদা করে কেটে রাখতে পারেন যদি বড়া খেতে চান। এবার মাছটাকে লবণ হলুদ,সরষে পোস্ত আর কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে ভালো করে মাখতে হবে। ওতে টকদই আর কাঁচা তেল মেশাতে হবে। যদি পেঁয়াজ কুচি দেন তাহলে সেটাও ভালো করে মিশিয়ে দেবেন মাছের মিশ্রণে। এভাবে মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে এরপর মাইক্রোওভেনে মাইক্রো পাওয়ার লেভেলে দশমিনিট সময় দিয়ে বসাবেন। খুলে একটু দেখে নেবেন আগেও হয়ে যেতে পারে। আমার মা টিফিনকৌটো করে মাখানো চিংড়ি বসিয়ে দিতো ফুটন্ত জলে এভাবে ভাপে করত।

#রসেবসে_রেসিপি#
#আলু_চালের_ঘন্ট#

আমার দিদার রেসিপি এটা,খুব সুন্দর বানাতো দিদা। দিদার হাতের রান্না ছিলো অমৃত,তা সে ডাল বা শুক্তো আর যে কোন পদই হোক। আসলে তখনকার দিনে ফ্রিজভর্তি এত রকম খাবারই থাকতোনা। তখন অবশ‍্য ফ্রিজ ছিলোনা দিদার বাড়িতে, একা হাতে বাড়ির সবটাই হাসিমুখে সামলাতো দিদা।বাড়িতে লোকজন এসেছে অথচ তেমন কোন সব্জি নেই আছে শুধু আলু। তখন দিদা চটজলদি বানিয়ে ফেলত এই রান্নাটা। একদম নিরামিষ পদ এটা,ঘরে গোবিন্দভোগ চাল আর আলু থাকলেই বানিয়ে ফেলা যায় এই পদটা। আলুর রেসিপি,অথচ খুব সুন্দর একটা নিরামিষ পদ,বেশ ভোগের গন্ধ আসতো এই তরকারিটা থেকে। ভালো লাগলে বাড়িতে ট্রাই করতে পারেন।
উপকরণ:- এক কাপ গোবিন্দভোগ চাল
                  আলু আড়াইশো গ্ৰাম,বা তিন চারটে।
                   চার চামচ তেল
                   দুই চামচ ঘি
                   তেজপাতা চার পাঁচ টি
                   ফোঁড়নের জন‍্য একটু জিড়ে,আর               গোটা গরম মশলা
                  গরম মশলা গুড়ো সামান‍্য
                  এক চামচ ধনের গুড়ো
                   এক চামচ জিড়েরগুড়ো
                   একটু আদা বাটা
                   ১/২ চামচ লঙ্কা গুড়ো অথবা কাঁচালঙ্কা দুটো।
   পরিমাণ মত নুন,হলুদ আর চিনি।

প্রণালী:-
আলুকে ডুমো ডুমো করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে ভালো করে।
চালটা ধুয়ে একটু ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর কড়াইয়ে তেলের সাথে এক চামচ ঘি দিয়ে গরম হবার পর ওই তেলে একটু জিরে আর থেঁতো করা
গরম মশলা আর তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়ে আলুটা ছেড়ে দিতে হবে,ওর মধ‍্যে একটু নুন আর হলুদ দিয়ে দিতে হবে। আলুটা বেশ ভাজা ভাজা হয়ে এলে ওর মধ‍্যে চালটা দিয়ে একটু সামান‍্য নাড়াচাড়া করে তারপর ধনে জিড়ে লঙ্কার গুড়োর মিশ্রণ আর আদাবাটা দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে বেশ মশলা ভাজার গন্ধ বেরোলে আড়াই কাপ আন্দাজে জল দিয়ে,পরিমাণ মত নুন মিষ্টি দিয়ে আঁচ কম করে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে।  আলু আর চালটা বেশ সেদ্ধ হয়ে গেলে নামানোর আগে একটু ঘি আর গরম মশলা ছড়িয়ে নামাতে হবে।
( রান্না করতে করতে যদি মনেহয় জল কম হচ্ছে তাহলে,পরিমাণ মত গরম জল দিতে পারেন। এই তরকারিটা আলু পটল এবং চাল দিয়েও বানানো যায়। আর আমিষ করতে চাইলে রুই মাছের মাথা ভেজে মেশাতে পারেন। আলু না দিলে একই প্রণালীতে চাল আর মাছের মাথার মুড়িঘন্ট হতে পারে একই প্রণালীতে।)
                  

সামনেই বড়দিন আর বড়দিন মানেই কত রকমারি কেক খাওয়া,খুশি আর মজাতে হৈ হৈ করা বাচ্চাদের নিয়ে। এই বড়দিনে আমি আর আমার বাড়ির মিষ্টি মেয়ে বানাবো ডোরা কেক, যা ডোরেমনের খুব পছন্দের। আপনারাও শিখে নিতে পারেন ডোরা কেক বানানোর প্রণালী।
উপকরণ:-
দুটো ডিম,
তিরিশ গ্ৰাম চিনি,
এক চায়ের চামচ মধু,
১১০গ্ৰাম ময়দা,
২০গ্ৰাম মিল্ক পাউডার,
১/২চা চামচ বেকিং পাউডার,
১৫গ্ৰাম ভ‍্যানিলা এসেন্স,
৫০ মিলি দুধ,
চকো স্পেরেড,

প্রণালী
বাটিতে ডিমদুটো নিয়ে ভেঙে ভালো করে ফেটাতে হবে। তারপর এর মধ‍্যে চিনিগুড়ো করে আর মধু মেশাতে হবে। এবার ভালো করে ফেটাতে হবে। এরপর ময়দার সাথে মিল্ক পাউডার আর বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে চালনি দিয়ে আস্তে আস্তে ঢালতে হবে ডিম চিনির মিশ্রণে। ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এতে পঞ্চাশ মিলি দুধ ঢালতে হবে তারপর আবার ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে পনেরো মিনিট রেখে দিতে হবে।
                     অন‍্যদিকে একটা ননস্টিক তাওয়াকে ঢিমে আঁচে গরম করতে হবে,ঠিকঠাক গরম হয়েছে কিনা দেখার জন‍্য একটু জল ছিটিয়ে দেখে নিতে হবে। একটা গোল হাতা দিয়ে এক জায়গায় গোল করে মিশ্রণটি দিতে হবে তাওয়ার ওপর। ওপরে একটু বুদবুদ মত হলে উল্টে দিতে হবে। বেশ ফুলে উঠবে পাইয়ের মত। দুপিঠ হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। এমন ভাবে বেশ কয়েকটা ভাজতে হবে। এরপর একটা ছোট প‍্যানকেক নিয়ে মাঝে চকোলেট ফিলিং(চামচে করে চকোলেট স্পেরেড) দিয়ে আরেকটা প‍্যানকেক দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। দেখতে ঠিক চকো পাই বা বড় সাইজের ক্রিম বিস্কিটের মত হবে। ব‍্যাস তৈরী সুস্বাদু নরম চটজলদি ডোরা কেক। গরম গরম খেলে তো কথাই নেই এছাড়াও স্টোর করা যায় অতিথি বা খুদে দুষ্টুদের জন‍্য এই বড়দিনে। গরম কফি আর তার সাথে তুলতুলে নরম চকোলেট ভরা ডোরা কেক জাস্ট ফাটাফাটি।

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...