#আত্মশুদ্ধি#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#
"দ্য মোস্ট সেক্সি তোমার ঐ একদম পিচ জুসি লিপস্ জানো তো সোনা। একদম লিপ টু লিপ ডিপ কিস করতে ইচ্ছে করছে এক্ষুণি।"
বেশ কিছু দিন আগে আলাপ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেশের সাথে লালিমার।আবেশই ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠিয়েছিলো,প্রোফাইল সার্চ করে ভালো লাগে লালিমার। বাহ্ বেশ সুন্দর রুচি ছেলেটার আর ফোটোগ্ৰাফির হাত তো দারুণ। খুব ভালো ভালো ছবি সারা প্রোফাইল জুড়ে। নতুনই চাকরি পেয়েছে মনে হচ্ছে,নাকি ভালো বিজনেস করে ঠিক লেখা নেই তবে বেশ ভালো প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। দেখতেও বেশ ভালো,ছবিগুলো দেখে তো তাই মনে হলো। তবে ইয়ার অফ বার্থ আর ফ্রেন্ডলিষ্টটা হাইড করা। ধ্যাৎ এবার হাসি পেয়ে যায় লালিমার,ও কি পাত্র দেখতে বসেছে নাকি যে ফুল বায়োডেটা লাগবে? তবুও খুব সিলেক্টিভ অবশ্য লালিমা এই সব ব্যাপারে,এলেবেলে ছেলেকে পাত্তা দেয়না একদম। নাহ্ বেশ কিছুটা দেখে আ্যকসেপ্ট করেই নিয়েছে রিকোয়েষ্ট।
দু তিনদিন বাদেই একটা সুন্দর পাহাড়ের ছবিতে দুলাইন ইংরেজী কোট লেখা একটা গুডমর্ণিং পায়,ভালো লাগে ওর। আর তারপরেই একটু একটু করে কথা শুরু হয় দুজনের। ভালো লেগেছে কথা বলে লালিমার আবেশের সাথে। একটু একটু করে ও বুঝতে পেরেছে দুজনের পছন্দ বেশ মিলেছে। লালিমা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে,ও বড় আর ভাই ছোট। এখনো পড়াশোনা করছে তবে কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তারপর ইচ্ছে আছে জব করার। ওর মা সব সময়ই বলে," মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা খুব জরুরী। তাই সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত কর লালি।"
আবেশের সাথে প্রথমে কথা বলতে শুরু করেছিলো এমনিতেই একটু একটু করে যখনই সময় পেত। ভালো লাগত ওর সবটাই,হয়ত বা নেশা ধরাতো লালিয়ার মনে। কখন যে চ্যাট করাটা অভ্যেসে দাঁড়ালো বুঝতেই পারেনি। অনেকক্ষণ ওকে অনলাইন না দেখলেই কেমন যেন সব ফাঁকা লাগে ওর। তখন খেতেও ইচ্ছে করেনা,কথা বলতেও ইচ্ছে করেনা। বার বারই চোখটা মেসেঞ্জারে চলে যায় আর লাস্ট সীন দেখে বার বার। মায়ের কাছেও বকুনি খায়," লালি এত মোবাইলে কি থাকা রে? একটু পড়াশোনা কর ভালো করে বেটু। সামনেই তো পরীক্ষা তাইনা। এভাবে তো সবটাই যাচ্ছে শেষ হয়ে।"...মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে মাকে মুখ ঝামটাও দেয়,মা আমাদের এখন সব পড়াশোনাই নেটে হয়। এই দেখো,কি করছি যদি এত সন্দেহ তোমার।"
মুখটা করুণ হয় মায়ের," অত বুঝিনা মা,দেখছি সবসময় মোবাইল হাতে তাই বললাম।"
মাকে অমন করে বলে খারাপও লাগে আসলে আবেশকে না দেখে মনটাও ভালো নেই।
...."আজ খুব চাপ ছিলো, কি আমাকে মিস্ করছিলে? আমার প্রেমে পড়ে যাওনি তো।" একটা ইমপ্রেসড ইমোজি পাঠায় লালিমা,কি করে বলবে ওর আজকাল আবেশকে বেশিক্ষণ অন না দেখলে ভালো লাগেনা। তাই পর পর স্টিকার পাঠাতে লাগলো। ওদিক থেকে আবেশ সমানে জিজ্ঞেস করছে। শেষে আবেশই বললো," আমি কিন্তু একদম তোমার প্রেমে পড়ে গেছি। বিশ্বাস করো একদম পাগল হয়ে গেছি।"...লজ্জায়,আনন্দে আর অনেকটা হয়ত পিট্যুইটারি ক্ষরণে তখন লালিমার বুকে এক রিনরিন শব্দে পাহাড়ী ঝর্ণার মত না বলা প্রেম ধাক্কা খাচ্ছে হৃৎপিন্ডের দেওয়ালে। আরো নেশা ধরে যায় যখন আবেশ ওকে হানি বলে। হঠাৎই অফ হয়ে যায় আবেশ। আর লালিমা পড়াতে মন দিতে পারেনা।
নাহ্ আর মেসেঞ্জার নয়,যদিও আলাপটা ওখানেই হয়েছিলো তবুও একটু একটু করে পায়ে পায়ে এগিয়ে আসা দুজনের দুজনের দিকে। তাই আজকাল সময় পেলেই লালিমা আদুরে গলায় ফোন করে," হ্যালো,কোথায় তুমি?আমার একটুও ভালো লাগছেনা। কতক্ষণ কথা হয়না।"..." এই তো বেবি একটা মিটিংয়ে ছিলাম,এইবার শুধু তোমার জন্য। আর কেউ থাকবেনা মাঝখানে।"...মাঝে মায়ের ফোনটা আসে," ওয়ান মিনিট গো,মা ফোন করেছে।"..মা বকা লাগায়," কতক্ষণ থেকে চেষ্টা করছি,কি করছিস কার সাথে এত কথা বলছিস।".." কই কিছু না তো বন্ধু ফোন করেছিলো।".."কে এমন বন্ধু যার জন্য মায়ের ফোনটাও ধরতে পারিসনা? বারবার ফোন করে বিজি পাচ্ছি।"
শুরু হয় একটু একটু করে মাকে ঝুটামুঠা গল্প দিয়ে ভোলানো,রাত জাগা,ফোনে ফিসফিস করে গল্প। সবসময় ইনবক্সে চোখ। কাল ওরা প্রথম মিট করবে। " আচ্ছা আমি রবীন্দ্রসরোবরে অপেক্ষা করবো। আচ্ছা তুমি আমাকে চিনবে কি করে।"..." ঠোঁট আর চোখ দেখে চিনে নেবো,তোমার ঐ ঠোঁট আর চোখেই তো পুরো ফিদা আমি। একদম চোখবন্ধ করে আগে হাত দিয়ে ছুঁয়ে নেবো নরম নরম ঠোঁটদুটো আর তারপর আস্তে করে কামড়ে ধরবো।"...সত্যি আবেশটাও বলতে পারে,ভেতরটা একদম শিরশির করে ওঠে লালিমার। নিজের ঠোঁটের দিকে তাকাতে লজ্জা পায়। ওদিক থেকে আবেশ বলে," চুমু দিয়ে চোখের পাতাদুটো বন্ধ করে দেবো যাতে আর লজ্জা না পাও।"
সত্যিই চিনতে কোন অসুবিধে হয়না ওদের। নির্জন ক্যাফেতে গিয়ে বসে ওরা মুখোমুখি। একটু বাদে আবেশ ওকে পাশে ডাকে হাতে হাত রাখে। ঠোঁটদুটো মুছিয়ে দেয় টিসু দিয়ে," ইস্ এখনো বাচ্চা মেয়েটা,কফি লেগে আছে।".." আমি বাচ্চা নই মোটেই।"..." তাই নাকি তবে তো দেখতে হবে কতটা ম্যাচিওর্ড তুমি?"
আবেশের কথায় একটু লজ্জা পায় লালিমা।
উড়ু উড়ু মন আর দুরু দুরু বুক নিয়ে বাড়ি আসে। আবেশের আফটার শেভের গন্ধটা নাকে ভাসে। ঘুম আসতে চায়না রাতে দুজনেরই,অনেকক্ষণ গল্পে গল্পে ভেসে যায় ওরা। আর এভাবেই কাছাকাছি এসে ভেসে চলা। লালিমা এখন অনেকটা ফ্রী পরীক্ষা হয়ে গেছে,মাঝে অনেকদিন দেখা হয়নি। আবেশ বলে," অনেকদিন অনেকদিন ছুঁইনা তোমায়,আজ বড় ছুঁতে ইচ্ছে করে। কাটাবো সময় একটু নির্জনে দুজনে শুধুই থাকবো নিজের মত করে।"...না না করেও লালিমা পারেনা আবেশকে না বলতে।
টাইট ব্ল্যাক স্লিভলেস নেটের টপটা পরে ঠোঁটে লাল লিপস্টিক গাঢ় করে লাগায় লালিমা। ওপরে রেড লঙ শ্রাগস্ পরে নেয়। মা বকবে এমনি গেলে। ওকে রাস্তা থেকে তুলে নেয় গাড়িতে আবেশ সোজা নিয়ে যায় শহরের পাঁচতারা হোটেলে। অবাক হয়ে যায় লালিমা," এখানে কেন?".." কি বলেছিলাম আমি? এখানেই আজ সারাদিন কাটাবো। বুক করা আছে শুধু তোমার জন্য।"..একটু ভয় ভয় করলেও লালিমা একটু একটু করে আবেশের কাছে আসে। আবেশ আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে থাকে,এরই মাঝে খাবার আসে। ওকে একটু করে কোলের কাছে নিয়ে খাইয়ে দেয় আবেশ। এত আদর এভাবে কেউ হয়ত করেনি আগে। তাই তো আবেশকেই সবচেয়ে আপন মনে হলো লালিমার।খুব সাবধানে আবেশ একটু একটু করে ভরিয়ে দিতে থাকে লালিমাকে,হারিয়ে ফেলে ও নিজেকে। বাথরুম থেকে এসে আয়নার সামনে জামাকাপড় ঠিক করে নেয়,লজ্জা পায় ঘাড়ের নিচের লাল দাগটা দেখে,আবেশ তখন তাকিয়ে আছে ওর দিকে। " ড্রেসে ঢাকা থাকবে কেউ দেখবেনা ওটা আমার প্রেমের গভীর ক্ষত।"..অনেকটা দেরি হয়ে গেছে বেরোনোর উদ্যোগ নেয় ওরা। ওকে জড়িয়ে ধরে শুইয়ে দেয় আবেশ,ঠোঁটটা আবার আলতো করে কামড়ে বলে," লিপস্টিকটা কই? লাগিয়ে নাও। আচ্ছা আমি দিচ্ছি।".আবেশে চোখ বোজে লালিমা।
শরীর ছোঁয়া,লালিমাকে পুরোপুরি পাওয়া আর হারিয়ে যাওয়া এমন মাঝে মাঝেই হত। মাঝে কেটে গেছে তিনটে বছর এর মধ্যে অনেকবারই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে ওদের । হয়ত বা এটা একটা অভ্যেসই হয়ে গেছে,লালিমা এখন অনেক সাহসী দিব্যি এসে মাকে মিথ্যে বলে। যদিও বলেছে ওর একটা ভালো বন্ধু আছে,খুব ভালো ছেলে। ভবিষ্যতে হয়ত ওর সাথেই কিছু করবে। মা সাবধান করে,পরিচিত হতে চায় ছেলেটার সাথে। আবেশকে বলে লালিয়া। " ইশ্ বিয়ের আগেই শ্বশুরবাড়ি যাওয়া! না না তা কি করে হয়? তুমি বরং ওদের একদিন লাঞ্চে আসতে বোলো যে কোন ভালো হোটেলে।"
হয়নি লাঞ্চে আসা ওর বাবা মায়ের,তার আগেই একটু একটু করে বদলেছিলো আবেশ। আজকাল খুব কম পায় আবেশকে লালিমা। যেন আছে তবুও অনেক দূরে। ফোন করলেও ফোন ধরেনা,বলে সাইলেন্টে ছিলো,মিটিং চলছিলো। হোয়াটস আ্যপ প্রাইভেসি সেটিং তাই লাষ্ট সীন দেখতে পায়না,ওকে পায়না মেসেঞ্জারেও। অনেক না ঘুমোনো রাত কেটে যায় অনুসন্ধানে ক্লান্ত লালিমার।" তুমি রাতেও কাজ করো? রাতে ফোন ধরোনি কেন? জানো আমি ঘুমোইনি রাতে।".." ঘুমিয়ে পড়েছিলাম,এত চাপ যাচ্ছেনা। কিছু বলবে? আমাকে বেরোতে হবে এক্ষুণি।"
লালিমার অভিমানে ভরা গলাটা বলতে চাইলো," আমি কি তোমার কাছে খুব তাড়াতাড়ি পুরোনো হয়ে যাচ্ছি আবেশ? কই আজকাল তো আর আমাকে ছুঁতে চাওনা। কামড়াতে চাওনা আমার পিচ জুসি লিপস্।"
অদ্ভুত একটা চাপা কষ্ট হয় লালিমার এটা যেন একটা ওয়ান সাইড রিলেশনে যেন আছে ও। যেখানে ওরই ইচ্ছে করে কথা বলতে,দেখা করতে আবেশকে কাছে পেতে। আর চোখে চোখে রাখতে। আজকাল আর আবেশ বলেনা চোখ বুজলেও ওকেই দেখতে পায়,ঘুমের মধ্যেও স্পর্শ করে ওর অনাবৃত শরীর। কখনো খুব ক্যাজুয়াল কথা হয় দুজনের। তাতে কোন অনুভূতি থাকেনা,থাকেনা শিহরণ।
তবে ক্ষয়ে যেতে থাকে লালিমা একটু একটু করে অনুভূতিহীন আর শব্দহীন অপ্রেমে আর মন্দবাসায়। হয়ত শুধু শরীরটুকু পাওয়ার ইচ্ছেই ছিলো আবেশের। দোষ তো ওরও বিশ্বাস করে আর ভালোবেসে সবটুকু দিয়েছে উজাড় করে। ভেসে গিয়েছিলো শরীরের স্রোতে মাঝদরিয়ায়। যত্নে সবার অলক্ষ্যে আগলেছিলো লাভবাইট। কেন যেন লালিমা বুঝতে পারলো আবেশের আর ওকে দরকার নেই। ও হয়ত অন্য কারো ভালোবাসায় ঘর বেঁধেছে,ভেসে গেছে অন্য কারো শরীরের বানভাসিতে। কিন্তু ও কি করবে এখন? ও তো অন্য বয়ফ্রেন্ডের বুকে মাথা রেখে ফেসবুকে ছবি দিতে পারবেনা। মা তো জানেই না,ওর শরীরটা দিনের পর দিন মিটিয়েছে আবেশকে ভালোবাসার মাশুল।
নিঃশব্দ রাত,তারারাও হয়ত ঘুমিয়ে পড়েছে আকাশের বুকে। আজ বড় ঘুমোতে ইচ্ছে লালিমারও। বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করেনা,আর দেখবেনা পৃথিবীর মুখ। আবেশও জানবে সবটা খবরের কাগজ থেকে। নাহ্ শরীরকে বেশি কষ্ট দেবেনা,কয়েক মিনিটের কষ্ট তারপর সব শেষ। আর কিছুক্ষণ সব ব্যবস্থা করে নিয়েছে লালিমা, শিলিং ফ্যান থেকে ওড়নাটা ঝুলছে। টুলে পা রাখে ও,সবই ঠিকঠাক আছে। গলায় ফাঁসটা তৈরী হয়ে গেছে প্রায়... হঠাৎই চোখ যায় ওর ছোটবেলার ছবিগুলোতে। কখনো মায়ের আদরে,কখনো বা বাবার গলা জড়িয়ে আবার কখনো ভাইয়ের সাথে। কি সুন্দর হাসিখুশি মাখা দিনগুলো। আর কোনদিন ফিরে আসবেনা জীবনে। সব শেষ হয়ে যাবে। খোলা জানলা দিয়ে চাঁদের আলো পড়েছে,কত সুন্দর চাঁদ! আর কোনদিনই দেখতে পাবেনা।
হঠাৎই মাথাটা ঘুরে যায় লালিমার বলে ওঠে," আমি পারবো,আমাকে যে পারতেই হবে। আমি বাঁচবো,কিছুই শেষ হয়নি। আমাকে বাঁচতেই হবে আমার নিজের জন্য। আমার বাড়ির সবার জন্য।"টুল থেকে নেমে লাথি মেরে ফেলে দেয় টুলটা। একটানে খুলে ফেলেছে ওড়না। মুখ ঢেকে বিছানায় বসে থরথর করে কাঁপে কি করতে যাচ্ছিলো ভেবে। মাথার কাছে মা বাবার ছবিটাতে চোখ যায় মনে হয় বলছে,'আমরা তো আছিরে, ভয় কি লালি?' ইশ্ কয়েকদিনের পরিচিত একটা ছেলের জন্য অবহেলা করেছে মা,বাবা,ভাইকে। মিথ্যে কথা বলেছে ওদের, ঠকিয়েছে ওদের। নিজের গালে একটা চড় মারতে ইচ্ছে করলো। ভালোবাসতে ইচ্ছে করলো আবার নিজেকে, দেখতে ইচ্ছে করলো সুন্দর পৃথিবীকে মন ভরে। আরে জীবন তো একটাই,তাই বোকার মত মরবো কেন?বাঁচতে হবে প্রাণভরে,কারো জন্য নয় শুধু নিজের জন্য। খুশি রাখতে হবে সবসময় নিজেকে,আর ভালোবাসতে হবে বিন্দাস। আর গিফ্টও দিতে হবে। না না লালিমা কখনো লুজার নয়। লালিমারা হারেনা,ওরা বাঁচতে জানে। সুইসাইড নোটটা ছিঁড়ে ফেলে দেয় কুচিকুচি করে।
হঠাৎই মনে হয় ওর দেহটা যে অশুদ্ধ! যোনিদেশ ওর উন্নত বুক সবই যে আজ অপবিত্র করেছে আবেশ। তারপরেই হাসি পায় অশ্রাব্য গালাগাল করে ওঠে,' শালা শুয়োরের বাচ্চা,হারামখোর আবেশটা একটা ভিখিরি ছিলো। তাই ওকে ভিক্ষা দিয়েছে দুহাত ভরে।'
মাঝে কেটে গেছে অনেকগুলো বছর,পুলিশের জিপটা থেকে নেমে আসে লালিয়া সশব্দে এগিয়ে যায় থানার দিকে উর্দিপরা ওর আ্যসিসটেন্ট সেলাম ঠোকে। " ম্যাডাম,এই যে এই মেয়েটি দেখুন একদম নাবালিকা। কি যে হচ্ছে ধরা পরেছে আমাদের হাতে। দুটোকেই এনেছি ধরে।"...প্রলেপ পড়েছে ক্ষতে তবুও মনের কোন কোণে আজও জ্বলে অবিশ্বাসের আগুন। জীবনযুদ্ধে জয়ী লালিমা সান্যাল আজ সফল পুলিশ অফিসার। মাঝে মাঝে ওর অফিস কলিগরা বলে," ম্যাডাম,এরা হচ্ছে এখনকার সব চালাক চিড়িয়া। এদের কাউন্সেলিং করে লাভ নেই। থাক লকআপে পড়ে।"...নিজেকে শুদ্ধ করার সাথে সাথে লালিমা স্বপ্ন দেখে এক সুস্থ সমাজের যেখানে স্বপ্ন দেখবে মেয়েরা,বাঁচবে,নিজেকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে ঐ দূর আকাশে সফলতার আনন্দে। প্রেমের বা প্রতারিত হওয়ার ব্যার্থতায় মরবেনা আপনজনকে কাঁদিয়ে। বরং আগুনে শুদ্ধ করবে অন্তরাত্বাকে আর বলবে জীবন তো একটাই সুতরাং বাঁচো দিল ভরকে।
সমাপ্ত:-
Comments
Post a Comment