২০১০এ ছেলের হাত ধরে পা রাখি ইন্টারনেটের জগতে প্রথমে অরকুট তারপর ফেসবুক। এই দীর্ঘ নয় বছরে অনেকে এসেছে বন্ধুত্বের তালিকায়,কতজন মুছে গেছে আবার কেউ বা বন্ধু হয়েই থেকে গেছে। আমার ফেসবুক করা নিয়ে অনেক সময়ই শুনেছি ফেসবুক খুব খারাপ জায়গা এখানে চলে অনেক কিছু তবুও ছাড়তে পারিনি,ডেক্সটপ থাকতে খুলতাম দিনে দুইবার এখন হয়ত দুমিনিট বাদে বাদেই উ়ঁকি মারি আনলিমিটেড নেট আর স্মার্টফোনের কল্যাণে। হয়ত বা সেই সাদামাটা আমিও এখন অনেকটাই স্মার্ট। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আমি নিজের দাদা দিদি ভাই বা বোন নেই তবুও ভগবান বোধহয় কোন কিছুই অপূর্ণ রাখেননা তাই মুখপত্রিকায় মুখোমুখি না হলেও সব সময় সমর্থন পেয়েছি দাদা দিদি আর ছোট ভাইবোনদের। পেয়েছি ভালো বন্ধু জানি হয়ত ডাক দিলেই পাবো। নামগুলো বলছিনা কারণ জানি একজন কারও নাম বাদ গেলে আমার খারাপ লাগবে। সম্পর্ক আমার খুব দূর্বলতার জায়গা,জীবনে নানাভাবে গড়তে চেয়েছি সম্পর্ক একটু ভালোবাসা পেতে চেয়েছি কিন্তু হয়ত আমার দুর্ভাগ্যবশতঃ রাখতে পারিনি সেই সম্পর্ক, ভেঙে টুকরো হয়ে গেছে। তাই এখন সম্পর্ক গড়তেও ভয় পাই,হারানোর ভয়,কষ্ট পাবার ভয়।
তবুও এর মাঝেই ফেসবুকে প্রথমে বন্ধুত্বের আহ্বান পাঠিয়ে পরে ধীরে ধীরে অজিতদা আর হীরাদি কখন যে দিদি জামাইবাবু হয়ে গিয়েছিলো বুঝতেই পারিনি। অনেকেই শুনে হাসবেন ফেসবুকের আলাপে দিদি জামাইবাবুর বাড়িতে জামাইষষ্ঠীর ভুরিভোজ সাথে প্রাপ্তিযোগ ভালোবাসার ডালি আর দিদির হাতে বানানো জামাকাপড় এমনও হয়! সত্যিই বোধহয় হয়,তাই আমার স্বামীর প্রাথমিক আড়ষ্টতা ভেঙে গিয়েছিলো দিদি জামাইবাবুর অমায়িক ব্যবহারে আর তেমন সুন্দর আর মিষ্টি ওদের মেয়ে। কি কি খেয়েছি? পিঠে,পায়েস,কেক,মালপোয়া,রসগোল্লা,
কচিপাঁঠা,দেশি মুরগী,বোরলি মাছ,পাবদামাছ, মোগলাই,কাঁকরোলের চপ,পনীর,ক্ষীরদই কিছুই বাকি ছিলোনা। সাথে আরও আরও অনেক কিছু। খাওয়ার ছবি? নাহ্ সরি দিতে পারলাম না কারণ তখন খেতে খুব ব্যস্ত ছিলাম, তাই আর তোলা হয়নি।
শুধুই কি খাওয়া,আমাদের সাথে দিদি জামাইবাবু আর ওদের মেয়ে সমানে ঘুরেছে এই সাঙ্ঘাতিক গরমে। রান্নাবান্না,আমাদের খাওয়ানো,তারপর মুখে হাসি নিয়ে সাজুগুজু করে টোটো কোম্পানি করা বোধহয় হীরাদিই পারে। আমার চোখে দেখা স্বপ্নাদি আর হীরাদি দুইজন প্রাণবন্ত ভীষণ পজেটিভ মানুষ। যাদের সাথে থাকলে ভালো লাগে।
আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু ওখানে থাকে। দিদি জামাইবাবুকে কোন মতে ফাঁকি দিয়ে দুইজনের সাথে দেখা করছি বন্ধুবিচ্ছেদ আর মার খাওয়ার ভয়ে,সেখানেও সেই প্রচুর আয়োজন। এত আয়োজনে আমার কি হয়েছে ছবি দেখেই বুঝবেন। তবে যা হয় হোক আদর মিস্ করিনি কোথাও চেটেপুটে নিয়েছি প্রাণভরে।
বাপেরবাড়িতে বাবা মা নেই শুধু বাড়িটাই পরে আছে। তবে মামাবাড়ির আবদার বলে একটা কথা বোধহয় সবার জানা তাই সেখানেও মামা মামী আর বোনের ভালোবাসায় মন আর পেট দুই খুশি। স্কুল খুলে যাবার পরেও মোটামুটি আটদিন ছুটি এক্সট্রা নিয়ে ফিরলাম নিজের নিকেতনে। মনের মণিকোঠায় রয়ে গেলো কিছু সুন্দর মুহূর্তের স্মৃতি।
কিছু ফোটো দিলাম চিলাপাতায় তোলা, তুলেছে হীরাদির মিষ্টি মেয়ে অর্পিতা।
#বন্ধু_হোক_নিম#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#
নিমের বহুবিধ গুণের কথা আমরা কম বেশি সবাই জানি। নিম একটি অভূত পূর্ব ঔষধি গাছ। এরকম বিবিধ গুণ যুক্ত গাছ বিশ্বে খুব কমই আছে। এজন্য বলা হয় নিম পৃথিবীর সবচেয়ে উপকারী বৃক্ষগুলির একটি।নিমের এত্রকম গুণাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিমকে ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে।খ্রিস্টের জন্মের ৫ হাজার বছর পূর্ব থেকেই ভারত উপমহাদেশে নিমের অস্তিত্ব ছিল বলে জানা যায়।নিমের গুণাগুণ সম্পর্কে প্রাচীন কাল থেকেই মানুষের ধারণা থাকলেও নিম নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু হয়েছে হাল আমলে।বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে নিম নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।নিমের ব্যবহার, এর চাষাবাদ নিয়ে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে একটা নিমগাছ ছিলো,আমি নিমগাছের কচিপাতা বেগুন দিয়ে ভাজা খেতে খুবই ভালোবাসি ছোট থেকে।ওটা ভালোবেসেই খেতাম গুণাগুণের কথা মা বলতো।শুধু খাওয়াই নয়,একটু বড় হওয়ার সাথে সাথে মুখে যখন ব্রণ বেরোতে শুরু করলো মা নিম পাতা চন্দন পাটায় ঘসে নিম চন্দনের প্রলেপ মুখে মাখিয়ে দিতো।কখনও নিমপাতা সেদ্ধ জল ঠান্ডা করে মুখ আর চুল ধুয়ে নিতাম।নিম গাছের ছায়াটা আমার খুব প্রিয় ছিলো,ওখানে বসলে শরীরে একটা খুব ঠান্ডা অনুভূতি হত।আমার যখন হাম হয়েছিলো গা চুলকালে মা নিমপাতা দিয়ে আস্তে আস্তে বুলিয়ে দিত শরীরে। মনে হত শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
আইটিসি দ্বারা আয়োজিত অনুষ্ঠানে হার্বাল নিমাইলের গুণাবলীর কথা জেনে সমৃদ্ধ হলাম।নিমাইল এমন একটি ফ্লোর ক্লিনার যার দ্বারা খুব সহজেই নোংরা দাগছোপ এমনকি মেঝেতে লেগে থাকা জুতোর নোংরা তেলকালির ছোপ সহজে উঠে যায়।আর সুরভিত করে মনকে এর অপূর্ব সুগন্ধে যা পুরোপুরি ভাবে প্রাকৃতিক।নিমাইল গ্ৰীন নিয়মিত মেঝেতে ব্যবহার করলে আপনার বাড়ির বাচ্চারা এবং বাড়ির প্রিয় পোষ্যটি জীবাণু থেকে সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকবে।
বাচ্চারা শুধু কেন আমরাও মেঝেতে বসি,মেঝে থেকে কখনও পড়ে যাওয়া খাবার তুলি বা মেঝেতে বসে খাবার খাই আর গল্পও করি।সেক্ষেত্রে নিমাইল দিয়ে পরিস্কার ভাবে ঘর মুছে নিলে ধুলোবালির সাথেসাথে উধাও হবে জীবাণুও।ঘর আর জীবন দুইই থাকবে সুন্দর আর সুরক্ষিত।
আমি অনেকদিন আগে থেকেই ঘরে নিমাইল ব্যবহার করি জীবাণুনাশক হিসেবে বা বাথরুমের দুর্গন্ধ দূর করতে।এখানে এসে জানলাম এটা মেঝের দাগও দূর করে তাই এবার থেকে শুধুই নিমাইল থাক বন্ধু হয়ে।আপনারাও এগিয়ে আসুন,আশাকরি অনেকেই বাড়িতে নিমাইল ব্যবহার করেন এবং এর গুণাগুণের কথা শুনে ব্যবহার করবেন।ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিমাইল টিম ও মমস্প্রেসোকে।
দিদি আমার দশভুজা কোচবিহারে থাকে,
ভোলা মহেশ্বর জামাইবাবু মাথায় তুলে রাখে।
মাথায় রাখার মতই দিদি কোহিনূর হীরা,
রান্নাবান্না সেলাই ফোড়াই সব কিছুতেই সেরা।
ব্যক্তিত্বময়ী,মমতাময়ী ভালোবাসতেও জানে,
জামাইবাবু তাইতো দিদির সকল কথা মানে।
জামাইবাবুও ভালো মানুষ অনেক গুণে গুণী
পরোপকারী,কবি আবার গল্পও লেখেন উনি।
মিষ্টি মেয়ে অর্পিতাকে নিয়ে ওদের সুখের নীড়,
হঠাৎ একদিন সদলবলে জমিয়েছিলাম ভীড়।
খেলাম সুখে নানান খাবার ঘুরলাম রাজবাড়ী
দেখলাম আরও কত জায়গা চেপে দিদির গাড়ি।
ফেরার সময় চোখ দুটোতে উঠলো জল ভরে
মনটা হলো ভীষণ খারাপ কাঁদলাম চুপ করে।
স্বজনবিহীন বোনটা তোমার ভালোবাসার কাঙাল
এমনি করেই মনের কাছে রেখো চিরকাল।
যদি কোন ভুল করি সরিয়ে দিয়োনা দূরে,
বকাঝকা করে আবার নিয়ো আপন করে।
Comments
Post a Comment