#বন্ধুত্বের_রিনোভেশন#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#
সব সম্পর্কেই বোধহয় আগে বন্ধু হওয়া জরুরী তাই কখনও মানুষ হাত বাড়িয়ে দেয় তার স্বামী, পুত্র,কন্যা,পুত্রবধূ অথবা জামাইয়ের দিকে। বন্ধুত্বের বন্ধনে বাঁধতে চেষ্টা হয় কিছু জটিল সম্পর্ককেও যেমন শাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক অথবা ননদ বৌদির সম্পর্ককেও। বন্ধুত্বের সমীকরণে আবদ্ধ থাক সব সম্পর্কগুলো,জটিলতা মুছে গিয়ে হোক সরল সম্পর্কের নবীকরণ।
বৌমা আর শাশুড়ি..(আগের দিনে)--" বৌমা মাথার ঘোমটাটা ঠিক করে মাথায় দাও। একি কপালে সিঁদুরের টিপটা এইটুকু কেন?বলেছিনা বেশ ভালো করে দিতে।ঐ বাড়ির দাসগিন্নী আসছে। এলেই কিন্তু পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম কোরো।"
" আচ্ছা মা,আসুন পা টা বাড়ান দেখি আপনাকে আলতাটা পরিয়ে দিই আজ তো বৃহস্পতিবার।"
" ও আচ্ছা আচ্ছা,তা বাপু একটু চওড়া করেই দিয়ো। আর তোমার কাকিমাকেও একটু পরিয়ে দিয়ো।"
" মা দেখুন তো ঠিক হয়েছে তো?এবার কাকিমাকে পরাবো।" আলতা পরিয়ে শাশুড়িমাকে প্রণাম করে বৌমা পায়ে হাত দিয়ে। চিবুকে হাত দিয়ে শাশুড়ি বলেন," থাক থাক মা,আজন্ম এয়োস্ত্রী হও।"
শাশুড়ি যখন বন্ধু হতে চায়...(একালের শাশুড়ি)
" শোন মিষ্টি আমি শুধুই শাড়ি দিইনি তত্ত্বে,একগাদা চুড়িদার ও দিয়েছি সেগুলো পরে এদিক ওদিক যাবি। জিন্স পরলেও আপত্তি নেই। আর ও বাড়িতে যা পরতিস এই বাড়িতে তাই পরবি। হ্যাঁ তবে অনুষ্ঠানে শাড়ি পরলেই ভালো।"
" মা আমি ঠিক ম্যানেজ করতে পারিনা।"
" আরে দুএক ঘন্টার তো ব্যাপার আমি আছিনা ম্যানেজ করে দেবো।"
" মা আজ তো তোমার জন্য বাড়িতেই বুক করে দিয়েছি,ঠিক বারোটায় এসে যাবে পেডিকিউর আর ফেসিয়ালটা করে নিয়ো। ওয়াক্সিংও করাতে পারো দেখো।"
শাশুড়ি বৌমার আগের সম্পর্ক থেকে এখন উভয়পক্ষই অনেক বেশি হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দুজনের দিকে। তবুও দোস্তি মানে বন্ধুত্ব বোধহয় তেমনভাবে হয়নি তাই তো আজকাল স্পেশ পেতে কখনও বৌমা বাড়ি ছাড়ে তো কখনো শাশুড়িমা যায় বৃদ্ধাশ্রমে। নাতি নাতনিরা বঞ্চিত হয় আদর আহ্লাদ,নারকোল নাড়ু বা রূপকথার গল্প থেকে। ছোট থেকে মানুষ হয় মোবাইলে ইংরেজী ছড়া শুনে বা গেম খেলে। একটা সময় তারাও যান্ত্রিক হয়ে যায়।
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক( আগের দিনে)--যেমন শুনেছি দিদার মুখে..স্বামীর সাথে দেখা হত শুধুমাত্র রাতে। তার আগে দুপুরে বা অন্যসময় উঁকিঝুঁকি করলে বিধবা ননদ বা শাশুড়ির কাছে জুটতো বেশ কড়া বকুনি। তাই কাজ করতে করতে স্বামী কোন ছুতোয় ঘোরাঘুরি করলে ঘোমটার আড়াল থেকে দেখা ছাড়া আর উপায় ছিলোনা। আমি দেখেছি দাদু দিদাকে ইনডাইরেক্ট স্পীচে কথা বলতে এই মানে তোর দাদুরে ডাক,অথবা তোর বাবারে ক খাইবো নাকি এমনটা। তবে প্রেম ছিলো যথেষ্ট,আমরা বড় হবার পর সেকথা জিজ্ঞেস করলে আমার সুন্দরী দিদার গাল লালিমায় আরক্ত হত.." দিনের বেলা উনি ছুতানাতায় আইতেন,কখনো বা আঁচলে টান পড়তো। আর রাতটুকুই ছিলো অভিসারের স্বর্গ।
তারপরের আমার মায়ের যুগে পতিকে দেবতা না মনে করলেও প্রণাম ছিলো। বাবার কথাই মোটামুটি শেষ কথা,তবে মায়ের কথা বলার স্বাধীনতা ছিলো। চাকরি করলেও ঘরের গন্ডীতে মা সব, আর বাইরের কাজ বাবা। বন্ধুত্ব কতটা ছিলো সেটা বুঝেছিলাম বাবার মৃত্যুর পর। মায়ের বাঁচার ইচ্ছেই চলে গিয়েছিলো।
পতিদেবতার দেবত্ব গিয়ে যখন নিছকই বন্ধু...(আধুনিক দাম্পত্য)--"এই শোন সকালের চা টা তুই ভালো করিস তুই করবি,আমাকে বাড়িতেও মা চা করে ঘুম ভাঙাতো।"
" সে আবার কি? আমাকেও তো মা চা করে দিতো। সকালের চা তুই করবি। আমি পারবোনা।"
" এবার কিন্তু মার খাবি..দাম করে বালিশ এসে পড়লো ঘাড়ে।"
" এই শোন যখন প্রেমিক ছিলাম তোর চড় লাথি সব খেয়েছি। এখন পারবোনা,এখন আমি বর।"
" বর তো কি হয়েছে? ল্যাজ গজিয়েছে নাকি? তখনও বন্ধু ছিলি এখনও আছিস।"
বন্ধুত্বের দাবীতে হয়ত কাজের সাথে সাথে অনেক সময় ভাগ হয়ে যায় অনেককিছুই। প্রেমিকবন্ধুকে স্বামীর সাথে মেলাতে না পেরে ভেঙে যায় ঘর। খুব তাড়াতাড়ি হয় প্রেমে ব্রেকআপ বা বিয়েতে ডিভোর্স। তুই ভাই বাবা মায়ের একটা ছেলে আমিও বা কম কি শুনি? তাই ইগোতে ভেঙে যায় আদরে,আহ্লাদে বা আইনক্সে গাল ছুঁতে যাওয়া সম্পর্ক।
সন্তানের সাথে মা বাবার সম্পর্ক( আগের দিনে)
" বাবা আমি কলেজে ভর্তি হবো,মাইনেটা কাল দিয়ে দেবেন।".."তা কোন কলেজে ভর্তি হচ্ছো?"
" পরেশকাকা বললেন সায়েন্স নিয়ে আশুতোষে ভর্তি হতে।"
" কিন্তু তাতে তো অনেক খরচ! টিউশন নিতে হবে।ভাইবোনগুলোর কথাও তো ভাববে।"
" আমি দুটো টিউশন বেশি করে নেবো বাবা,আপনি শুধু ভর্তি করে দিন। বাকিটা আমি চালিয়ে নেবো।"
এই তো গেলো ভর্তির কথা,পড়াশোনা না করলে কি হত? জুটতো চরম উত্তমমধ্যম। " এই তোর পড়াশোনা হচ্ছে আ্য! পড়ার বইয়ের নীচে গল্পের বই! তাই বলি রেজাল্ট এত খারাপ কেন! তবে রে হতভাগা।"ব্যাস শুরু চটিজুতো খুলে আচ্ছা করে পেটানো। শেষে ঠাকুমা বা মায়ের কান্নাকাটিতে ছাড় পাওয়া।
বাবা মায়ের সাথে সন্তানের যখন বন্ধুত্বের সম্পর্ক
( এখনকার দিনে)
" বাবা বন্ধুদের সব আইফোন আছে,আমাকেও কিনে দিতে হবে। ধুৎ কলেজে আমার প্রেস্টিজ থাকছেনা।"
" এই তো সেদিন কিনে দিলাম ফোনটা,এর মধ্যেই!"
" বাবা ছয়মাস বাদে কেন অনেকে তিনমাস বাদেও ফোন পাল্টায়। তুমি যে কোন জগতে আছো!"
মা একটু বুঝিয়ে বলে বাবাকে," দাওনা কিনে বলছে যখন। ভালো রেজাল্ট করেছে তাই নাহয় দিলে।তোমার ফোনটাও তো গেছে। এটা তুমি নিয়ে নেবে।"
" মা হাজার দুয়েক টাকা হবে?"
" কেনরে?"
" আর বোলোনা,বন্ধুরা জন্মদিনের ট্রিট দেওয়ার বায়না করেছে। জানোই তো আজকাল একটা মুভি দেখতে আর স্ন্যাকস খেতেই বেড়িয়ে যায় কত টাকা।"
সন্তানের সাথে আর সেই জুতো পেটানোর সম্পর্ক নেই এখন। ওতে নাকি সন্তান ঠিকমত মানুষ হয়না ক্ষতি হয় ওদের তাই বন্ধু হতে হাত বাড়াও। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কখনো করাই কাউন্সেলিং,কখনো বা যেখানে শাসন করা দরকার সেখানে বন্ধু হয়ে মেটাই সব দাবী,পাশে থাকতে চাই ওদের। ভালো স্কুল,ভালো কলেজে বা বিদেশে পড়ানোর জন্য নিজেদের জীবনের সেরা সময়গুলো কাটাই কোচিং ক্লাশের বাইরে বা স্কুলের লাগোয়া কোন বাড়ির রকে। ওদের সুখের সাথে বন্ধুত্ব করতে গিয়ে মর্ডগেজ বা বিক্রি করতে হয় নিজেদের কষ্ট করে গড়ে তোলা সম্পত্তিও। তবুও কি ওদের সাথে বন্ধুত্ব হয় সত্যিই?
তাই হয়ত বেড়েছে আত্মহত্যা, পেতে পেতে না পাওয়াতে ধাক্বা লাগলেই যাদের আমরা বন্ধু ভাবি তারা নির্বিকার ভাবে ছেড়ে চলে যায় আমাদের। একবারও ভাবেনা এই মানুষগুলো যাদের অনেক কিছু বা বাঁচাটাই আমাদের আবর্তে তারা কি নিয়ে থাকবে?
ভাঙছে পরিবার,আহত হচ্ছে অনুভূতি। সন্তানের বসবাস এক ভিন্ন কোটরে সাথী মোবাইল,নিঃসঙ্গ বাবা মা অবলম্বন করে বাঁচে ফেসবুক হোয়াটসআ্যপ বা বাংলা সিরিয়াল।
মা মেয়ের সম্পর্ক( আগের দিনে)..." মিনু যা তো কাপড়গুলো তুলে নিয়ে আয়। আর শোন স্কুলে যাবার আগে আমাকে একটু বালতি করে জল তুলে দিয়ে যাস মা।"
" আচ্ছা মা,আমি তোমার চালটা কি কলতলা দিয়ে ধুয়ে যাবো?"
" না রে মা,অত দরকার নেই তুই তোর জিনিসপত্র ঠিক করে গুছিয়ে নে। পড়া করেছিস তো ঠিক করে?"
" হ্যাঁ মা।"
বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে,"মা খুব খিদে পেয়েছে কিছু খেতে দাও।"
" ঐ তো ভাত তরকারি চাপা দেওয়া আছে খেয়ে নে।"
খাওয়াতেই শেষ ছিলোনা,তারপরে দরকার হলে বিকেলে বিছানা টানটান করে ঘর ঝাড় দিয়ে বন্ধুদের সাথে খেলা বা গল্প। আর বড় হবার সাথে সাথে জামার সামনের দিকে বাড়তো কুচির সংখ্যা।
" সন্ধ্যের আগে বাড়ি ঢুকবি কিন্তু নাহলে বাবা রাগ করবে।"
মা মেয়ে যখন বন্ধু( এখনকার দিনে)
" ওহ্ মা আমি আর খাবোনা,আমার ভালো লাগছেনা।"
মেয়ে তৈরি হচ্ছে,মা ভাতের থালা নিয়ে পেছন পেছন ঘুরছে। একটা একটা দলা পাকিয়ে মুখে গুজে দিচ্ছে। তার মাঝে মাঝে বকাও খাচ্ছে মেয়ের।
মেয়েকে তৈরি করতে করতেই নিজে কোনরকমে রেডি হয়ে টিফিন গুছিয়ে দৌড়য় সাথে। কদিন পায়ে ব্যাথাটাও বেড়েছে খুব।
সারাদিন স্কুলের পর বাড়ি ফেরে মেয়ে। " মা খুব খিদে পেয়েছে,কি আছে আজ?"
" চাউমিন করেছি,পরোটা কিমার তরকারি আছে। না স্যান্ডউইচ খাবি?"
" উঃ নতুন কিছু করতে পারোনা? রোজ এক খাবার! ছাড়ো কার্ডটা দাও তো আমি অনলাইনে অর্ডার দেবো।"
মেয়ের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিতে চিত্রা কিনে দেয় ওর পছন্দের পোশাক,ফোন বায়নার হরেক জিনিস। কিন্তু বেস্টফ্রেন্ড মুনাকে বলতে পারেনা মুনা আমার খুব শরীরটা খারাপ আজ তাই আমার কাজগুলো তুই কর। অসুস্থ শরীরটাকে তুলে নিয়ে ব্যস্ত হয় কাজে যদি বা বলে উত্তর পায় " তোমার তো শুনি প্রত্যেকদিন শরীর খারাপ,ডাক্তার দেখাওনা কেন?
" আমি আর পারছিনা এবার নিজের ঘরদোর বিছানাপত্র একটু গুছিয়ে রাখ।"
"ওহ্ এইজন্য বাড়িতে আসতে ইচ্ছে করেনা,সারাদিন এই তোমার খ্যাচখ্যাচ আর পরিস্কার করার বাতিক।"
কাজের ভাগে বোধহয় রেষারেষিটাই এসে যায়,চিত্রা নিঃশ্বাস ফেলে ভাবে মায়ের কষ্ট যে মেয়ে বোঝেনা সে আবার কি শাশুড়ির কষ্ট বুঝবে? সত্যিই কি সবসময় মেয়েরা মায়েদের বন্ধু হয় আর কষ্ট বোঝে?
জামাই বনাম শাশুড়ি( আগের দিনে)
মাথায় ঘোমটা টেনে শাশুড়ির রান্নাঘরে হাতা কড়াইয়ে যুদ্ধ, রান্না হচ্ছে পঞ্চব্যাঞ্জন। জামাইকে একটু দূরে বসে বাবা বাছা করে চব্যচোষ্য খাওয়ানো। তখন জামাই এক পরম আদরের সম্মানীয় কেউ,বন্ধুত্ব খুব একটা ছিলোনা। মিষ্টির হাড়ি হাতে দিয়ে বেশ ভক্তিভরে একটা প্রণাম করে বলা ভালো আছেন তো মা?
শাশুড়ি জামাই যখন বন্ধু( এখনকার দিনে)
"আন্টি তুমি আর কষ্ট কোরোনা,জামাইষষ্ঠীর ট্রিটটা হোটেলেই দিয়ে দাও। ওখানে হাতপাখা প্রদীপ সবই থাকে।"
" কি যে বলিস না! নতুন জামাই হয়েছিস আমার বাড়িতে খাওয়াবোনা?"
" না না ওসব দরকার নেই,আমি টেবল বুক করে দিয়েছি। মা বাবাকেও আসতে বলে দিয়েছি।"
" আর কতদিন আন্টি ডাকবি শুনি? এবার তো মা বল।"
" আসবে না,আরে আগে তো বন্ধুত্ব তোমার সাথেই ছিলো ফেসবুকে। তারপর তোমার মেয়েটাকে দেখে ভালো লেগে গেলো।"
আধুনিক জামাই বেশ অনেকটা বন্ধুত্বপূর্ণ অনেক সময় মায়ের চেয়েও বেশি শাশুড়ির সাথে। শাশুড়িমাও ছেলের চেয়ে বেশি ভরসা করেন জামাইয়ের ওপর।
ননদ বৌদি ( আগের দিনে)..মোটামুটি রাইবাঘিনীর সাথে ভয় ভয় অথবা ছোটবোনের সম্পর্ক। কখনো ননদ এত দজ্জাল যে ভাইবৌয়ের অবস্থা খারাপ। সবই শাশুড়ির কানে চলে যায়। কখনো বৌদির সাথে ননদের সম্পর্কে অপত্যস্নেহ,দাদার অফিসের লোনের টাকায় অথবা বৌদির গয়না দিয়ে বিয়ে হয়ে যেত বোনের। আবার বিধবা ননদ বন্ধুর বদলে হয়ে উঠতো সংসারের মাথা। দাদা বৌদি ইচ্ছে করেই কিছু দায়িত্ব চাপাতো ,যাতে একবারও ওর মনে না হয় ও সংসারের বোঝা।
ননদ বৌদির বন্ধুত্ব ( এখনকার দিনে)
রাইবাঘিনীকে অনেক বৌদিই সুন্দর করে বন্ধু করে ফেলেছে এখনকার দিনে। আরে একটাই তো ননদ,এখনকার ননদরা তেমন বোঝা নয় তবে শাশুড়িমা একটু বেশিই মেয়ে মেয়ে করে। মাঝে মাঝে আদিখ্যেতা লাগে আরে অসহ্য মনে হয়। তবুও সব কিছু হজম করেও একসাথে পার্লার,মুভি,শাড়ি কেনা সবই চলে। অনেক সময় চলে গিভ আ্যন্ড টেকের মতও মানে তুই পিওরসিল্ক পেয়েছিস আমাকেও ভালো শাড়ি দিস। তোর অপছন্দের কিছু দিয়ে যাসনা।
তুমি,আপনি সবকিছু থেকে এখন অনেক সম্পর্কই নেমেছে তুইতে। তবুও বন্ধন বড় আলগা এখন,মনে হয় এই আছে আর এই নেই। বন্ধুত্বের বন্ধনে থাক প্রাচ্য পাশ্চাত্য,বন্ধুত্বের রাখী পরুক কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। হিংসা,ইগো,রেষারেষি, নির্যাতন বন্ধ হোক। ভালো থাক জাতি,ধর্ম,দেশ,সমাজ আর বাড়ির ছোটছোট সম্পর্কগুলো ভালোবাসার মিষ্টি ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড পরে পরম যত্নে পাশাপাশি।
সমাপ্ত:
Comments
Post a Comment