Skip to main content

কবিতা

মধ‍্যবিত্ত ঘরে মানুষ হওয়া..
স্বপ্ন দেখা এক ভাবুক মেয়ে।
কলমটাকে বাসতো ভালো,
অন‍্য সব কিছুর চেয়ে।
আর পাঁচটা মেয়ের মতই
গেলো একদিন নতুন ঘরে।
পাল্টে গেলো জীবনটা তার,
মন দিলো ঘর সংসারে।
ঠেকে ঠকে শিখলো অনেক
তবুও শেখার রইলো বাকি।
একদিন মন বললো ডেকে,
নিজেকে কেন দিচ্ছো ফাঁকি?

শ্রদ্ধার_একুশ
ওরা চেয়েছিলো বাঁচাতে ভাষাকে
কাড়তে দেয়নি ভাষার অধিকার।
ভয় পেয়েছিলো শাসক শ্রেণী...
চালিয়েছিলো গুলি দিয়েছিলো মার।
বিপ্লবীকে মারা সহজ হলেও..
বিপ্লব থামানো সহজ নয়।
তাইতো বিপ্লবের হয়েছিলো জয়
অপরাধীরা পেয়েছিলো ভয়।
বাংলা পেয়েছিলো ন‍্যায‍্য অধিকার
রক্তে ভেজা বিপ্লবের বিনিময়ে।
হাজার মানুষ এসেছিলো এগিয়ে,
প্রতিবাদ করেছিলো নির্ভয়ে।
অনেক শহীদের রক্তে ভেজা
শ্রদ্ধার একুশে ফেব্রুয়ারি।
এসো সবাই সশ্রদ্ধ চিত্তে...
তাদের আজ স্মরণ করি।

◆◆◆◆◆◆◆

প্রাণ দিয়েও যারা দাবী ছাড়েনি
বাঁচাতে চেয়েছে মায়ের ভাষা।
বাংলা তাদের জড়িয়ে রেখেছে
দিয়ে আদর আর ভালোবাসা।
ভাষা তাদের ভাসিয়েছিলো...
মাতৃভাষার এমনি টান।
প্রাণের বিনিময়ে একদল তরুণ
গেয়েছিলো জীবনের জয়গান।
বৃথা হয়নি তাদের আহুতি..
ভাষাকে বাঁচাতে যারা দিয়েছে প্রাণ।
আজও তারা  আছে স্মরণে মননে,
ভাষার ইতিহাসে লেখা তাদের জয়গান।

#অন‍্য_বিশ্বযুদ্ধ#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

এ এক ভীষণ যুদ্ধ চলছে সারা পৃথিবীতে,
সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ আজ অসহায় ভীষণ,
দেখছে মানুষকে শ্বাসরোধ হয়ে মরতে।
অস্ত্রশস্ত্র স্রষ্টার হাতে আমরা শুধুই দর্শক,
লাভ নেই তার সাথে কোন সন্ধি করে
আজ স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই হয়েছেন ঘাতক।
নির্বিচারে পৃথিবী ধ্বংস করেছি আমরা,
প্রকৃতি আর প্রাণীদের করেছি খুন।
দাউ দাউ করে তাই জ্বলছে পৃথিবী,
জানিনা কি করে নিভবে এই আগুন।
এ এক সংকেত হয়ত বা ধ্বংসেরই পূর্বাভাস,
তাই শপথ হোক বাঁচবো আর বাঁচতে দেবো..
যাতে শান্তিতে সকলে করতে পারে বসবাস।

ডাকাত ছিলো ডাক্তারেরা...
মার খেয়েছে মেখেছে কালি।
সময় এসেছে তারা হবে ঈশ্বর,
বাজাও ঘন্টা,দাও হাততালি।

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...