Skip to main content

টেডি ডে

#মাই_টেডি_বিয়ার#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

--"কেমন দেখলে গো  তুলতুলকে?"
"ঠিকই আছে গো,ছেলে যখন পছন্দ করেছে তখন আমাদের আর কি বলো। তুমি এত জোর করলে তাই না এসে পারলাম না। রঙটা তো ফর্সা, আর ফর্সা মানেই সুন্দরী।তবে এখন থেকেই যেন একটু বেশি মোটা তাইনা?"
    সাতটা পাঁচটা নয় একটাই ননদ অহনার,তাকে না নিয়ে রাজার জন‍্য পাত্রী দেখতে আসবে ঘাড়ে কটা মাথা! হাত দিয়ে একবার দেখে নেয় নাহ্ একটাই রাবণের মত দশটা নয়।সুতরাং নো রিস্ক,অবশ‍্য বত্রিশ বছর সংসার করতে করতে মেপে পা ফেলতে শিখেছে অনেক কষ্টে একটু একটু করে।তবে তার মধ‍্যে কি তাড়াহুড়ো করে পা ফেলেনা? এখনো ফেলে আর তখনই ঘটে পদস্খলন। অহনার ননদ....কি বলবে রাইবাঘিনী? ভাবে অহনা,না না বাঘিনীর মত অতটা ডেঞ্জারাস নয় তবে রাইবিড়াল বলা যেতে পারে। রাইবিড়াল কথাটা মনে হতেই নিজেই একচোট হেসে নিলো।বরবারই সেন্স অফ হিউমারটা ওর একটু বেশি।আরে জীবনে একটু মজা করে নাও,কাল কি হবে কে বলতে পারে অযথা রামগরুড়ের ছানা হয়ে থাকার কি আছে।
             ওর ননদ শিবানী ঐ বেড়ালের মতই আদুরে মানে ছোট তো, তাই ওর সবটাই মাফ মানে তেমনটাই দেখেছে বিয়ের পর থেকে। ল‍্যাজ তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাড়িময় এমনকি পাড়াময়। অপছন্দ হলেই কোন ব‍্যাপার স‍্যাপার একটু হাল্কা থাবা মারে বা আঁচড়ে দেয় ছোট্ট করে। খুবই আদুরে বলে কেউ কিচ্ছুটি মনে করেনা। এই পাড়াময় দাপাতে দাপাতেই ওদের পাড়ার পাশের পাড়ায় শ্বশুরবাড়িটি পাকাপাকি করে ফেলেছিলো। বাড়ির সকলেই আর আপত্তি করেনি আদুরে মেয়ে চোখের সামনেই থাকবে।
         ও যখন শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে শাশুড়িমা.." ও মুনুরে বলে পাড়া কাঁপিয়ে কেঁদে উঠতেই ও রুমাল দিয়ে আইলাইনার সামলাতে সামলাতে বলেছিলো,"বলেছিনা অত কাঁদবেনা,প্রেসার বাড়বে।আরে মুনু..বলে ছাদে উঠে একটা হাঁক মেরো তাহলেই হবে।"
       আর তারপর থেকেই এ বাড়ির ও বাড়ির দুবাড়ির ভালো মন্দতে একদম একবার মুনু বললেই ম‍্যাও করে এসে হাজির।আর না বললে উপায় আছে নাকি,সেই দেবে একটা থাবা বা আঁচড়। রক্ষে করো বাবা তার চেয়ে চলো..মানে এই বেশ ভালো আছি।
         "মোটা,না না একে ঠিক মোটা বলেনা। বেশ একটু পুতুল পুতুল দেখতে। কি সুন্দর গোলগোল হাতটা একদম বেশ মোম মোম। আমি চিন্তা করছিলাম।এখন দেখলাম মায়ের দেওয়া হাতের গয়নাগুলো বেশ হয়ে যাবে ওর।"
    " বৌদিভাই বরাবর তুমি একরকম রয়ে গেলে কোন জিনিসের মর্ম বুঝলেনা। আরে সব গয়না এখনি হাতছাড়া কোরোনা।"
    যাক এটা কিন্তু ঠিক বলেছে মুনু সত‍্যিই বোধহয় কোন জিনিসেরই মর্ম তেমন করে বোঝেনি কোনদিন অহনা তাই মায়া না বাড়িয়ে কখনো প্রয়োজনে,কখনো প্রশংসায় নিজের অনেক ভালো জিনিস দিয়ে দিয়েছে অনেককেই।মুনু কি কম নিয়েছে ওর জিনিস‌। আর একটা মাত্র ছেলের বৌ তাকে তো দেবেই।
  '' কি যে বলো! একটা মাত্র ছেলের বৌ তাকেই তো দেবো.. তাই ভাববো না! আমার কিন্তু বেশ লেগেছে মেয়েটাকে মুখটা এখনো বেশ ছেলে মানুষ আর আদুরে। মুখে একদম পাকা ভাব নেই।"
       মনে মনে মুখ বাঁকায় মুনু.." হুঁ পাকা নয় আবার দিব‍্যি প্রেম করছে এতদিন ডুবে ডুবে।"
            সবার অনেক প্ল‍্যানের মধ‍্যেই বিয়ের দিনও এগিয়ে এলো।বেশ জোর কদমে কেনাকাটা চলছে। অহনা ননদকে নিয়ে কিছুটা করলো তবে একটা দিন শুধু ডেকে নিয়েছিলো তুলতুলকে।সেদিন আর মুনু যায়নি। তাই নিয়ে খবর পেয়েই একটা ম‍্যাও করে থাবা দিয়ে গেলো।
  " আর কি? আমাকে আর লাগবেনা তোমার। শুনলাম এখনি নতুন বন্ধুর সাথে ঘুরে কেনাকাটা করছো।"
    অপ্রস্তুত হয়ে জিভ কাটে অহনা," আরে না না,ঐ মেয়ে যা ব‍্যস্ত।কাল হঠাৎই বললো একটু সময় দিতে পারবে তাই ওর পছন্দে কিছু কিনলাম। দাঁড়াও দেখাচ্ছি।"
    " ওমা! বৌদিভাই এটা আবার কবে কিনলে?কার এটা!"
     একটু সামলে অহনা বলে," আরে তুলতুলের পছন্দ হলো।তাই রাজা কিনলো।"
     এক চোট হাসলো মুনু,"বাবা কালে কালে আর কত কি দেখবো এ যেন বাচ্চার জন্মদিনের বাজার হচ্ছে।তা এটা এই বাড়িতে কেন?ও নিয়ে যায়নি কেন?"
        জন্মদিন বলতেই অহনার মনটা অতীতে ডুব দেয়,তুলতুলের চেয়ে আরো ছোট বয়েসেই বিয়ে হয়েছিলো তবুও ওর প্রথম জন্মদিন আর প্রথম বিবাহবার্ষিকীর কথা মনে হলেই মনটা আজও খারাপ হয়ে যায়। ওর বাবা খুব উৎসাহ নিয়ে বলেছিলেন," বেয়ান সামনেই তো অহনার জন্মদিন এই দিনটা যদি আমাদের সাথে থাকতো।"
         না অহনারও যাওয়া হয়নি আর ওর মা বাবারও আসা হয়নি।শাশুড়িমা এমন কান্ড করেছিলেন,আর কথার তো শেষই ছিলোনা। "এ কি ছোট বাচ্চা নাকি বাপু যে বেলুন সাজিয়ে জন্মদিন হবে?বাড়ির বৌয়ের আবার ওসব কি?তারপর নেহাতই ছোট নয়,আমার মত বয়েসে তো বিয়ে হয়নি।"
     উনার জীবনের প্রতিটা তিক্ত অভিজ্ঞতার শোধ নিয়েছিলেন হয়ত অহনার ওপর। যাক সেসব কথা এখন তো মানুষটাই নেই কি হবে ভেবে?
       " দেবো পাঠিয়ে গো পরে" বলে শাড়ি দেখাতে ব‍্যস্ত হয়ে যায় ননদকে। একটার পর একটা শাড়ি খোলে।সাথে চুড়িদার রাতের শোয়ার পোশাকও।
" এসবও কিনেছো! বাপের বাড়ি থেকে অনেকে দেয়। এতটা না করলেই পারতে প্রথম থেকে‌।"
    " কি সুন্দর না! এখন কত কি পাওয়া যায়। ইশ্ যদি আবার বিয়ে করতে পারতাম,চলো মুনু আরেকবার বুড়ো বরগুলোর সাথেই হানিমুন আর বিয়েটা করে ফেলি।"
    " বাবা! রক্ষে করো।দাদা তবুও ভালো তোমার ননদাই তো একদম কাঠখোট্টা।আর তোমার কিছু শখ আছে বাবা।এই জন‍্যই মায়ের কাছে কথা শুনতে।"
  নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ে অহনার। নাইটি পরা আর চুড়িদার পরে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে তো মোটামুটি পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিলো
                        অহনার ননদ মুনু বিয়ের আগের কদিন পাড়াতেই থাকার জন‍্য মোটামুটি দুবেলাই টহল দিচ্ছে ওর মতামতকে এখনো বেশ গুরুত্ব দেয় অহনা মানে না দিয়ে উপায় নেই।
      গায়ে হলুদের তত্ত্বে ঐ বড় টেডিটা পাঠানোর জন‍্য খুবই বলেছিলো মুনু। হেসেছিলো অহনা," নাহ্ ওটা এই বাড়িতেই থাক কেমন যেন মায়া পড়ে গেছে এই কদিনে।"
    এক চোট হাসি হলো এই নিয়ে বাড়িতে।
তুলতুল কেঁদে কেটে চোখ ফুলিয়ে এলো শ্বশুর বাড়িতে। অহনা একটা হুইসেল নিয়ে গিয়েছিলো ছেলের বিয়ের বরযাত্রীতে। আরে বিয়ে দেখবেনা ঠিক আছে..তো বরযাত্রী যেতে ক্ষতি কি?তবে রাতেই ফিরে আসতে হয়েছে নাহলে এদিকটা কে সামলাবে?
     " ওমা এতো কান্নাকাটি কিসের? আমি তো আগে বুঝিনি এতো কাঁদুনি মেয়েটা।"
   হেসে ফেলে তুলতুল। অহনা মোটু টেডিটাকে এনে ওর কোলে তুলে দেয়।
  " বৌদিভাই, ওকে তো এখন দেখতে হবে সব ভরা নাকি আর বলতেও হবে।''
     " প্রথমেই এত ভয় দেখিওনা,সংসার তো করবেই সারাজীবন।একটু না হয় হেসে খেলেই করুক। মেয়েবেলাটাকে একদিনে কেড়ে নেওয়ার মত শাশুড়ি আমি নই।"
        বৌদির গলার সুরে কেমন যেন একটা মজা শুনতে পায় মুনু। আর অহনা ভাবে কি দরকার নিজের জীবনের ইতিহাসটা আবার পুনরাবৃত্তি করে ।
               সকাল থেকে সানাই বাজছে আজ বৌভাত আর ওদের ফুলশয‍্যা। গতকাল রাত্রে তুলতুলকে নিয়ে অহনাই শুয়েছিলো। নতুন কেনা রাতে শোয়ার পোশাকটা বের করে দিয়ে বলেছিলো," এটা পরবে না কি ...তোমার বাক্সে কিছু আছে?" তুলতুল হেসে অহনার হাত থেকে পোশাকটা নেয়।মেয়েটা ঘুমোচ্ছে নিশ্চিন্তে এখনো বেশ শীত,ওর গায়ে ঢাকাটা ভালো করে দিয়ে দেয় অহনা। কাল থেকে এক অন‍্য জীবন ওর‌। ভাত কাপড়ের দায়িত্ব আসলে কারা নেয় সেটা এখনো ঠিক ও বোঝেনি এই বয়েসেও। ভাবতে ভাবতে চোখটা জড়িয়ে আসে।
                       বিকেলের পর ছেলের ঘর বন্ধ ঘর সাজানো চলছে। এদিকে তুলতুলও সাজছে।
বৌভাতের ঝক্কি ঝামেলা আর লোকজনের পালা সামলাতে সামলাতে বেশ রাত্রি হয়ে যায়। ওদেরকে ঘরে পাঠিয়ে এবার ঘুমোতে যাবে ওরাও।এদিকে ঘরের দরজা আটকেছে আবার কুচোকাচার দল ওদেরকে কোনরকমে বুঝিয়ে ঘরের দরজার লকটা খুলে দেয় অহনা। " এসো ঘরে, দেখতো পছন্দ হয়েছে খাট সাজানো?"
           মুখটা আনন্দে আর ভালোলাগার আবেশে আরো তুলতুলে হয়ে যায় তুলতুলের। একি কান্ড! খাটের ওপরে আর দুই পাশে টেডির ছড়াছড়ি। হাসে রাজাও," তোমার ঘর দেখার পরই মা বলেছিলো ঠিক ঐ ভাবেই এখানেও আসবে কিছু টেডি।"
" কিন্তু এ যে টেডির মেলা।"
" সত‍্যিই মা আমরা শোবো কোথায়?"
" ওগুলো কে জড়িয়ে শুয়ে পর। তোদের জন‍্যই তো এইগুলো।"
  হাসতে হাসতে চলে যায় অহনা। মুনু মনে মনে বলে কত আদিখ‍্যেতা দেখবো।শেষ পর্যন্ত থাকলে হয়। অহনাও মনে মনে ভাবে,কি জানি শেষে কি হবে? তবুও মেয়েটাকে ওর চেনা একটা শোবার ঘর দিতে পেরে অনেকটা হাল্কা লাগে।
        ..."হ‍্যাপি টেডি ডে,মাই মোটু টেডি বিয়ার"
" ও মা দেখোনা,আমাকে মোটু টেডি বলছে।"
" মা ঐ বাড়িতে...আজ আর কেউ বকার নেই।আজ শুধুই আদরে আদরে ডুবে যাওয়া।"
বড় টেডিটাকে পেছন ঘুরিয়ে বসিয়ে দিয়ে ঘরের হাল্কা নীল আলোটা জ্বালিয়ে দেয় রাজা।
সমাপ্ত:-
        

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...