Skip to main content

ভালো থাক মন

#ভালো_থাক_মন#

লকডাউনে সবাই গৃহবন্দী আমরা মানে সবাই সময় কাটাচ্ছি যার যার নীড়ে,যাওয়া বারণ এখন ভীড়ে। আচ্ছা কতদিন আছি এভাবে?আমি মোটামুটি ষোলোই মার্চ থেকে আছি যদিও বর আর ছেলেমেয়ে তখনো বেরোচ্ছে।আমি ভাবলাম কদিন ওদের একটু ভালোমন্দ খাওয়াই আর যত্নআত্তি করি।সেই কাকভোরে বেরোই তাই সকালে সংসারের শুরুটা তো ভালো করে করাই হয়না। তাই কদিন বরের টিফিন গুছোলাম,আমার মত করে রেঁধে খাওয়ালাম।ছেলে মেয়ে দুটোকে নিজের হাতে ব্রেকফাস্ট দিয়ে জানলায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়লাম। তখনো ভাবিনি কি ঘটতে চলেছে তবে শুকনো কিছু অত‍্যাবশ‍্যক জিনিস আমি পনেরো তারিখেই অর্ডার দিয়েছিলাম যা একুশ দিনের লকডাউনের ঘোষণা মাত্র জানিয়ে দিলো দিতে পারবেনা অথচ তখন পে করে দিয়েছি একটু ভয় পেয়ে গেলাম এবার কি হবে যা আছে তাতে দশ বারোদিন চলবে।যাক ছেলেকে পাঠিয়ে মোটামুটি অনেক কিছুই আনালাম বললো এতো ভেবোনা সব পাওয়া যাবে।কদিন বরের সাথে খন্ডযুদ্ধও চললো বাজারে যাওয়া নিয়ে।নিয়মিত অফিসে যাওয়া ছুটির দিনে কম করে তিনবার বাজারে যাওয়া আর আড্ডাবাজ একটা লোককে গৃহবন্দী করতে একটু সমস‍্যাই হয়েছে।সকালে মর্ণিং ওয়াকের পথে একটু আড্ডা মারা,চা খাওয়া তারপর বাজারে টুকটাক কিনে বাচ্চুদা,ছোড়দি,অশোকদা কেমন আছো? আর বোলোনা যা চলছে চারিদিকে।তারপর অফিসে ফাইলে বা কম্পিউটারে চোখ আটকে একটু বোর হয়ে আড্ডা মারা চা খাওয়া আর পিএনপিসি করা কখনো মহিলাদের ফ্লার্ট করা এই নিয়ে বেশ কেটে যায়।সেখানে একঘেয়ে বাড়ি আর বৌয়ের ঘ‍্যানঘ‍্যান কার ভালো লাগে। তেমনটা হয়ত ছেলেমেয়েদের আর আমারও আসলে সকলেরই একটা স্পেশ আছে আমাদের। যারা ঘরে থাকেন তারাও বর ছেলেমেয়ে বেরোলে নিজেদের ইচ্ছেমত কিছুটা সময় কাটান আমার মনে হয়। আমি তো কাটাই আমার মত কিছুটা সময় ফাঁকা বাড়িতে এখন। যাকগে ওগুলো আমাদের অতীত এখন আমাদের সবার বাড়িতেই এখন গন্ডি টানা অর্থাৎ আমাদের বাড়িতেও কেউ আসেনা আর আমরাও কোথাও যাইনা।
             এগুলো সবাই জানে এখন কথা হলো মানুষ এতদিন এভাবে একলা কি করতে পারে? বলবেন কেন?এ আবার কি ঢঙের কথা বাপু! আপনার হয়ত কোন কাজ নেই আমাদের অনেক আছে।রেঁধে বেড়ে ঘরগুছিয়ে,ঝাড়পোছ করে কাপড় কেচে মোটেই শ্বাস ফেলতে সময় পাইনা বাপু তাতে আবার উনি কইতে এসেছেন কি করে সময় কাটবে। সে তো গেলো কায়িক পরিশ্রম আর প্রয়োজনীয় কাজের কথা। আমরা কি শুধু সব কাজ প্রয়োজনেই করি? তাহলে তো মেশিন হয়ে যাবো। বিশ্বজুড়ে যখন মহামারী আর মৃত‍্যুর গণনা চলছে স্কোরবোর্ডে তখন আমাদের বাড়ির মানুষগুলো আর আমাদের শারীরিক সুস্থতার সাথে মানসিক সুস্থতার খেয়াল রাখাও জরুরী।
          কদিন ধরে ফেসবুকে খুব লেখালেখি দেখছি রান্নার পোস্ট দেওয়া নিয়ে।শুনছি অনেক লোক খেতে পাচ্ছেনা সেখানে গান্ডেপিন্ডে গিলে ছবি পোস্ট করছে একদল মানুষ।তারা কি করে পারছে এসব!সংবাদপত্র আমরা সবাই পড়ছি খবরেও চোখ রাখছি।সবাই হয়ত জানেন কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ‍্যেই ঘোষণা করেছেন সব সরকারী কর্মচারীদের মোটামুটি আগামী 2021 মার্চ পর্যন্ত একদিনের মাইনে প্রতিমাসে ছাড়তে হবে মানে প্রায় একবছর।আশাকরি রাজ‍্যও এক কথাই বলবে। ব‍্যাঙ্কে সুদ কমে যাওয়া,অর্থনীতিতে কোপ সবটাতেই কিন্তু সাধারণ মানুষ জড়িয়ে দেশের মোটামুটি অনেক খরচ চলে সাধারণ মানুষের দেওয়া ট‍্যাক্স আর গচ্ছিত টাকাকে রোল করে। তবুও এই সময় গৃহের পরিচারিকাকে,রিলিফ ফান্ডে কখনো সোশ‍্যাল মিডিয়ায় কোন সংস্থাকে অনেকেই সাধ‍্যমত দিচ্ছেন আবার অনেক দুঃস্থ মানুষ নিজের ক্ষমতা অতিক্রম করেও সাহায্য করছেন অন‍্যদের প্রতিনিয়ত সেই খবর দেখছি আমরা।
       তবুও সহানুভূতিশীল হওয়ার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও দরকার অবশ‍্যই। গতকালই দেখলাম একজন বৃদ্ধমানুষ নিজের ছেলেকে মেরে ফেলে আত্মসমর্পণ করেছেন।আঠেরো বছর ধরে তার স্ত্রী শয‍্যাশায়ী এবং ছেলে জন্মাবধি দৈহিক প্রতিবন্ধী।সে মাস্ক পরতে না চাওয়াতে বৃদ্ধ বাবা সংযম হারিয়ে ফেলেন। প্রশ্ন ওঠে কেন এমন হলো?অবসাদ,গভীর মানসিক অবসাদ এর কারণ।দীর্ঘদিন অসুস্থদের সাথে থাকতে থাকতে গভীর অসুখ বাসা বেধেছিলো তার মনে।প্রত‍্যেক মানুষ জীবনে পজেটিভ কিছু নিয়ে ভালো থাকতে চায়,আনন্দে থাকতে,টেনশনবিহীন জীবনে থাকতে সবাই ভালোবাসে। কিন্তু যত আমরা এগিয়েছি সুখ আর শান্তি আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। করোনা হয়ত এর মধ‍্যেই আরেক গভীর অসুখ যার প্রভাব কতদিন থাকবে আমাদের সমাজে আর মনে কেউ জানিনা।
         আমি ফেসবুক খুলি নিয়মিত, ফেসবুক করা খুব খারাপ কাজ এমন একটা সময় শুনেছি তবে আমি মানিনি কোনদিন। আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন কিছু লিখতে ওটা আমাকে ভালো রাখে,কানে হেডফোন দিয়ে গান আমি শুনতে পারিনা আমার কাছে লেখাটাই আনন্দের।সারা সকাল পরিবারের জন‍্য রেখে বিকেল সন্ধ‍্যেটা একটু নিজের মত থাকি।কেন জানেন?সন্ধ‍্যেবেলা হলে ছেলেটার জন‍্য চিন্তা হয়,ভয় হয়।অথচ বারবার ফোন করতে পারিনা।তাহলে কি করবো চিন্তা করে পাগল হয়ে যাবো? অবসাদে ভুগবো? একদমই না কারণ আমি ভালো না থাকলে আমার ছোট্ট মেয়েটার কি হবে। তাই চেষ্টা করি মনকে ভালো রাখার জন‍্য পছন্দের কাজ করতে।
           ছেলে মুভি দেখতে আর দেশবিদেশের খবর রাখতে ভালোবাসে।কখনো পড়াশোনা করে অবশ‍্য অনেকটাই মুঠোফোনে। আমার বরের পছন্দ গান,বই আর আ্যকশন মুভি আর ট্রাভেল চ‍্যানেল। মোটামুটি এখন ওটাই নিয়ে আছে আর মাঝে মাঝে বন্ধুদের ফোন আসছে কখনো কনফারেন্স কলও করছে সবাই মিলে। এখন প্রশ্ন হলো আমার মেয়েকে নিয়ে,ও কি করবে?ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করার মত ওর তেমন কোন বন্ধু নেই।ও ফেসবুক করেনা,হোয়াটস আ্যপে আছে,গান শোনে কখনো পড়াশোনা করছে। বাকি সময়টা কি করবে? ও আমার মত কিছুটা,একটু ক্রিয়েটিভ নতুন কিছু বানাতে ভালোবাসে। আমিও ভালোবাসতাম,আঁকতে,সেলাই করতে আর রান্না করতে। বিয়ের পর দেখেছিলাম চট করে লোকের মন জয় করে নেওয়া যায় ঐ একটা জিনিস দিয়ে সেটা হলো রান্না। আর খাওয়াটা মানুষের ঠিক প্রয়োজন বললেও ঠিক হবেনা একদম বেঁচে থাকা তাই অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থানের মধ‍্যে অন্নকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে প্রথমে। আমার একসময় শখ ছিলো রান্না করে ফেসবুকে দেওয়ার।তখন লিখতামনা,আমার মায়ের কিছু রান্নার ছবিও দিয়েছি। এখন তো মনে হয় আমার দিদার কিছু রান্নার ছবি অথবা আমার ঠাকুমার হাতের ক্ষীরের মালপোয়া বা রসকরা আর মোয়া মুড়কির ছবি যদি দিতে পারতাম! আহা কি ছিলো তার স্বাদ।
                  এই লকডাউনে মেয়ের মন খারাপ তাড়াতে বিকেলে রান্নাঘরটা আমি ওকে ছেড়ে দিই।আসলে আমার রান্নাঘরে আমার মত ছোটখাটো মানুষ ঢুকলে বেচারা একদম কাজ করতে পারেনা তাই বিকেলটা ওর। হ‍্যাঁ ওকেও ভালো থাকতে হবে যদিও আমি জানি অনেকে ভিড় করে খাবার নিচ্ছে আবার খাবার পেয়ে অতি বৃদ্ধাও মাস্কবিহীন অবস্থায় পরিতৃপ্ত হয়ে হাসিমুখে ফিরছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বারবার বলছেন কেউ যেন উপোশ করে না থাকে। প্রচুর মানুষ সবসময় থাকতে চেষ্টা করছে কখনো যৌনপল্লীতে কখনো বা নিরন্ন মানুষের পাশে। তাই বলে কি করোনার দুঃখে মানুষ না খেয়ে বাড়িতে আছে? যদি তা হত তাহলে বাজারের ভিড় কমাতে পুলিশকে লাঠি ধরতে হতনা। যাক সেসব কথা।
      সুদূর প্রবাসে গিয়ে মা বাবাকে ছেড়ে একলা বাচ্চা নিয়ে থাকা বৌটি যদি একটু কেক করে খায় অথবা কেউ একটু ডালগোনা কফির ছবি করে খেয়ে শেয়ার করে ভালো থাকে থাকনা ক্ষতি কি? আমার মেয়ে সুজি,পাউরুটি আর আলুসেদ্ধ দিয়ে রোল বানিয়ে হোয়াটস আ্যপে স্ট‍্যাটাস দেয় দিকনা। হয়ত ওতেই ও বা ওরা একটু ভালো আছে। রান্নাটা ওদের ভালোবাসা, ডিপ্রেশন কাটানোর দাওয়াই। এই তো কিছুক্ষণ আমার গায়ে গায়ে আদর কেড়ে ঘরে থাকা চালের গুড়ো আর সুজি দিয়ে রাভা ধোসা বানিয়ে একটুকরো আমার মুখে দিয়ে যদি ও ভালো থাকে থাকনা। ভোজনপ্রিয় বাঙালির পয়লা বৈশাখের ভুরিভোজ নেই,নেই গোলবাড়ির কষা মাংস,নেই রাস্তার ঝালঝাল ফুচকা অথবা বিরিয়ানি।তাতে যদি কেউ ঘরে দুটো ফুচকা বানিয়ে বা আলু ডিম বিরিয়ানি করে খায় খাক। ঘরবন্দী মানুষের বদ্ধ মনগুলো একটু ভালো থাকনা। এই যেমন আমি আজ ফ্ল্যাটের গাছের ফুল তুলে ঠাকুরকে ফুলের মালা গেঁথে দিতে দিতে হারিয়ে গিয়েছিলাম কোন ছোটবেলায় ভীষণ ভীষণ আনন্দ হলো পুজো করতে আজ।যথারীতি এই করোনার বাজারে মাত্র দুটো পদ একটা সাদা শুক্তো আর ডিমের ওমলেটের ঝোল বানাতে একটা বাজালাম। এই যাহ্ একদম হাড়ির খবর দিয়ে ফেললাম বকবক করতে করতে। ঐ আমার এক স্বভাব একবার বকতে শুরু করলে আর থামিনা। সবটাই পেশার দোষ,স্বভাবটাই খারাপ হয়ে গেছে।©রুমাশ্রী সাহা চৌধুরী

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...