#কেরোসিন_কেস#
রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#
ও টুনির মা তোমার টুনি কথা শোনেনা যার তার সাথে ডেটিং করে...গাইতে গাইতে মাকে ডাক দেয় চেত্ত..." ও মা,কি গো আজ উঠবেনা নাকি গো,আরে পেটে তো ছুঁচো ডন মারছে মাইরি। এই লকডাউনে হয়েছে এক কেলো।লকডাউন বলে মা সকালের জলখাবারটাই পুরো হাপিস করে দিয়েছে। ঘুম থেকে ওঠেইনা। একেবারে এগারোটা বারোটায় উঠবে তারপর শুধু ট্যালটেলে জলে চিনি ছাড়া একটু চা ভিজিয়ে একখানা বিস্কুট হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলবে.." এই শোন কাজকর্ম সব বন্ধ আর কিছু চাইবিনা। সরকার বারবার কইছে বাজারে না যেতে।তুইও যাবিনে আর তোর বাবাও যাবেনা।"
চেত্তর অবশ্য খুব একটা বেশি ইনকাম না, একটা বড় দোকানে দারোয়ানগিরি করে। মানে টুনি ওকে তাই বলে অবশ্য কথাটা শুনে হেব্বি রাগ হয়ে যায় চেত্তর মানে চিত্তর। কি অশিক্ষিত মেয়ে মাইরি সিকিউরিটিকে দারোয়ান বলে! সারাদিন কত সুন্দরী হেবি হেবি সব মেয়ে দেখতে পায় ওখানে ওটাই তো খোরাক।যদিও মালিক কড়া করে বলে দিয়েছে একদম মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে লক্ষ্মণ দেওরের মতো।
টুনি বলাতে একদিন বলে দিয়েছে.." আমি তোমার মত নই বুঝলে,এদিকে পটিয়েছো আমাকে আবার অন্যদিকেও ইন্টুমিন্টু করে যাচ্ছো। আমি সবাইকে মা বোনের মত দেখি,মুখের দিকে তাকাইনা।
" শুধু বাজে কথা না!ক্যালানে বদমাশ একটা,আমি তোমাদের দোকানে গেলে আবার আমাকে মা বোন ভেবোনা।"
কানে হাত দিয়ে বড় জিভ বার করেছিলো চেত্ত।
মা বাবা দুজনেই ঘুমোচ্ছে নাকে তেল দিয়ে,আর ওর চোখে রাজ্যের চিন্তায় ঘুম নেই।চৈত্র মাসে সব জায়গায় সেল কত লোক আসে দোকানে কেনাকাটা করতে সবাইকে নমস্তে করতে করতে আর দরজা খুলতে ঘাড় ব্যথা হয়ে যায় সেখানে দোকানই তো বন্ধ। সব ঐ কুটি কুটি চোখের বেটে বক্কেশ্বর চিনাদের কারসাজি,আরে বাঙালির বাচ্চাদের চিনিসনা..আমরা রক্ত দেবো করোনাকে নেবোনা। মাথা চুলকোয় চেত্ত কি যেন একটা বলেছিলো নেতাজী ঠিক মনে পড়ছেনা এই তালেগোলে।
এদিকে টুনির সঙ্গে বিয়েটা কবে থেকে ঝুলে আছে। টুনিটাও দুদিন যোগাযোগ করছেনা। হলোটা কি? ওর পার্লার তো এখন বন্ধ সারাক্ষণ বাড়িতে সাজছে ঠোঁটে লাল মাখছে আর ছবি দিচ্ছে। বলছিলো অবশ্য ফোনে টাকা নেই,দোকান বন্ধ।
ভেবেছিলো সামনে মাসে বিয়েটা করে নেবে তা বোধহয় আর হবে না ওদিকে শ্যাম বললো পটলা নাকি টুনিদের বাড়ি মাঝেমাঝেই সিটিং দিচ্ছে। পটলা কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ করে চেত্তর রাইভাল পটলা,একদম সহ্য হয়না আপদটাকে টুনিটা মাঝেমাঝেই ওর কথা বলে আর হেসে গড়িয়ে পড়ে। পটলা নাকি ওকে আইনক্সে সিনেমায় নিয়ে যেতে চায়।
টুনিদের বাড়ি ওদের বাড়ি থেকে অনেকটা।এখন তো হেঁটেই তো যেতে হবে তাই প্রায় আধঘন্টা লাগবে।ধ্যাৎ আজ আর যাবেনা।এখনো চা ও জোটেনি কপালে ওদিকে বাইরে ঠাটা পড়া রোদ্দুর।কাল বরং মর্ণিং ওয়াক করতে করতে যাবে সকালে,গায়ে লাগবেনা।টুনিকে সারপেরাইজও দেওয়া হবে।আর সকালের জলখাবারটা ওদের বাড়িতেই সেরে নেবে।ভাবতেই জিভে বেশ জল এলো। কাল হবু জামাইকে নিশ্চয় নুচি টুচি খাওয়াবে ওরা,সাথে গরম গরম আলুর দম। ইশ্ কতদিন খায়নি!আগে ডিউটির ফাঁকে মাঝেমধ্যে কচুরী সাটাতো পঞ্চুর দোকানে। এখন তো সেটাও গেছে। রাতে রুটি আর চচ্চড়ি খেয়ে খেয়ে পেটে চড়া পড়ে গেছে মাইরি। মনের আনন্দে চেত্ত গান জুড়ে দেয়,মম চিত্তে নিতি নেত্যে ধুৎ এটাও ভুলে গেছে।
ভাত খেতে বসে মায়ের সাথে বেশ অশান্তি হলো.." ধ্যাৎ, বড্ড কিপ্টেমি শুরু করেছো কিন্তু মা প্রত্যেকদিন ঐ বাগানের শাক,আর গুচ্ছের আলু কিনে এনেছো তাই গেলাচ্ছো। আরে ডিমটিম দাও।"
" খেঁকিয়ে ওঠে মা,বাপের তোর দুজনেরই তো কাজ নাই।আরো একমাস সব বন্ধ থাকলে খাবি কি শুনি? তারপর তো বিয়ের জন্য ক্ষেপেছিস। তাকেই বা খাওয়াবি কি?"
রাগ হলেও কিছু বলেনা চেত্ত বিয়ের কথা শুনে। টাকা ওর কাছেও কিছু আছে,আর বাবারও ব্যাঙ্কে আছে কিপ্টেমি করে জমানো টাকা।আসলে খরচ করবেনা। যাকগে,কাল টুনিদের বাড়ি ফেরত নিজেই কয়েকটা ডিম আনবে ভাবলো।তাতেও তো রক্ষে নেই তারপর বলবে পেঁয়াজ কাঁচালঙ্কা আন। এদিকে টুনি ফুলশয্যাতে একটা সোনার জিনিস চেয়ে রেখেছে। ফুলশয্যা কথাটা মনে করেই গবগব করে আলুসেদ্ধ শাকভাত খেয়েই উঠে গেলো চেত্ত।
মনটা যেন কেমন উড়ে উড়ে গেলো,বিউটি পার্লার থেকে ফিরিতেই ওর বন্ধুরা টুনিকে সাজিয়ে দেবে বলেছে।আর টুনিই বা কম কি সাজুনি। ওহ্ তারপর টুনি ঘোমটা দিয়ে খাটে বসে থাকবে,ওর ঘোমটা খুলবে চেত্ত।লজ্জায় লাল হবে টুনি। আর তারপর ঐ গানটাই শুধু বাজবে যতই ভাবো আমায় বোকা ভোলা আরে তুই যে আমার কোকাকোলা, ধুর মনে পড়ছেনা ঐ যে শ্রাবন্তী না কে যেন গেয়েছিলো,দারুণ মস্তি ছিলো কিন্তু গানটাতে। নাকি হাম তুম এক কামরে মে বন্দ হ্যায়।ধ্যাৎ হিন্দী বাংলা কিছুই ঠিকমতো আসছেনা টেনশনে।
আবার একবার টুনিকে ফোন করার চেষ্টা করলো,খুক খুক করে কে এক মরাখেগো কাশলো জম্মের কাশি হয়েছে ব্যাটার সারছেইনা। আর এর জন্যেই করোনা যাচ্ছেনা।যতই বলুক কাশি হলে এক মিটার দূরে থাকো।কাশি হলে কাছে থেকোনা।কেউ যদি ফোনে সারাক্ষণ মুখের কাছে কানের কাছে কাশে তাহলে তো সুস্থ লোকেরও কাশি হবে। আর কাশলেই তো পুরে দিচ্ছে কোথায় যেন কেরোসিন সেন্টারে,সেখানে আবার ফ্রীতে থাকা খাওয়া।
বাবাকে বলাতেই বাবা কান মুলে দিয়েছিলো," হতচ্ছাড়া,পড়াশোনা করলিনা ভালো করে।ওটা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার কেরোসিন সেন্টার নয়। একবার যদি গুষ্ঠি শুদ্দু ধরে নিয়ে যায় বুঝবি হতভাগা জীবন একেবারে কেরোসিন করে ছেড়ে দেবে।"
পরদিন যথারীতি সকালে বাবা মা ঘুমাচ্ছে আর ঘুমাবেই না কেন সবে তো সাতটা এখনো হয়ত চারঘন্টা ঘুমোবে।হেব্বি চিপ্পুস আর ল্যাদখোর হয়ে গেছে মাইরি,শুয়ে থেকে পয়সা এনার্জি সব বাঁচাচ্ছে এদের তো করোনাশ্রী পেরাইজ দেওয়া যায়। ধুৎ নিকুচি করেছে আজ ঐ চায়ের।আজ টুনিদের বাড়িতেই চা খাবে।
ফুলফুল শার্টটা পরে চুলটা ভালো করে আঁচড়ে আয়নায় থোবড়া দেখে চেত্ত। অনেকদিন বাদে আজ ডেরেস পরে বেশ বাবু বাবু দেখাচ্ছে। এতদিন তো বারমুডা পরে হাড়হাভাতে লাগছিলো।তারমধ্যেই টুনি বায়না করতো," একটা ভিডিও কল করোনা গো।"
" সে কি করোনা আবার ভিডিও কলেও হচ্ছে নাকি?"
রেগে ফোন কেটে দিয়েছিলো টুনি। তারপর আর কথা হয়নি। যাক গুটিগুটি পায়ে রওনা দেয় একবার ভেবেছিলো হাবুর কাছে বাইকটা নিয়ে যাবে।তারপর ভাবলো দরকার নেই পুলিশ বাইকের হাওয়া ফেলে ক্যালাচ্ছিলো দেখেছে টিভিতে।
আধঘন্টার আগেই পৌঁছে গেলো টুনিদের বাড়ির কাছাকাছি চেত্ত। রাস্তার ধারের গাড়িতে মুখটা দেখে নেয়,বেশ ঘেমে গেছে।রুমাল দিয়ে মুখটা মুছে নিয়েছে। বাড়িতে ঢোকার মুখেই টুনির বোন টেপিকে দেখতে পেলো হাউমাউ করে উঠলো ওকে দেখে তারপর ওর হবু শ্বশুর বাড়ির ভেতরে নিয়ে গেলেন। টুনিটা কোথায় গেলো?কতদিন সামনাসামনি দেখেনা। ও কিছুক্ষণ বাদে মহারাণী এলেন নাইটির ওপর ওড়না দিয়ে।
এ কথা ও কথার পর শ্বশুরমশাই বলতে শুরু করলেন বিয়ের কথা.." বুঝতেই পারছো যা দিনকাল এলো,পুরো মাটি করলো করোনা।তা বে টা কবে করতেছো?"
" ইয়ে বাবা বলছিলেন সামনের মাসে ভালো দিন দেখে...তবে যা পরিস্থিতি তাতে হয়ত কিছুদিন দেরি হবে মনে হচ্ছে।"
ওর কথা শুনে মুখ বাঁকিয়ে কচু কলা দেখায় টুনি।
একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় চেত্ত তাহলে কি টুনি টুনটুনি হয়ে কলা দেখিয়ে ফসকে যাবে!
টুনির বাবা বলে," এয়েছো যখন তখন থাকো এবেলা ও বেলা যাবেখন বুঝলে।"
আহা এটাই তো চাইছিলো মনে মনে প্রেম,খাওয়া,আড্ডা সবই হবে আজ এই লকডাউনে একদম খুলে যাবে করোনার তালা।ঐ খুকখুকে কেশো ব্যাটাছেলের জন্য শান্তিতে কথাও কওয়া যায়না ফোনে।
অনেকক্ষণ বসে আছে কই বেশ ঘনঘন দুধের চা তো এলোনা এখনো। ওদিকে এতোক্ষণ হেঁটে এসে তো পেটে ইঁদুর ছুটছে। কিছুক্ষণ বাদে চা পায় ততক্ষণে টুনির সঙ্গে প্রেমের টুনিবাল্ব বেশ চকচক করে জ্বলে উঠেছে। টুনি ওর ফোনটা নাড়াচাড়া করে নিজের ফেসবুক খুলে একটা সেলফিও পোস্ট করে ফেললো কায়দা করে ওড়না পেঁচিয়ে.. লকডাউন সেল্ফি।এলেম আছে মাইরি কে বলবে নাইটি পরে আছে!
তবে চা টা দুধ চা হলেও ট্যালটেলে তবুও ওদের বাড়ির তুলনায় ভালো। অনেকক্ষণ চা খেয়েছে মিনিট পনেরো একাই বসে আছে প্রায় এগারোটা বাজতে যায়,কিন্তু লুচির দেখা নাই কেন। ক্ষিদেতে গানটাও আসছেনা ঠিক নাহলে ঠিক গাইতো..টুনিরে আমি একলা তক্তপোষে বইস্যা বইস্যা ঠ্যাং নাচাইরে,লুচির দেখা নাইরে লুচির দেখা নাই। বাড়িটা বেশ চুপচাপ, কিছুক্ষণ বাদে টুনি আসে হাতে একটা গ্লাস.." খেয়ে নাও এটা।"
" কি এটা? কি খাবো?"
" ছাতুর সরবত খাও।রোদে এসেছো পেট ঠান্ডা থাকবে।"
সামনে টুনি দাঁড়িয়ে ঢকঢক করে গিলে ফেললো সরবতটা। মাথায় তখন আগুন জ্বলছে তবুও কিছু করার নেই। আবার টুনি ভেতরে চলে যায়। ওর বাবা আসেন..." একটু বোসো বাবা দুপুরের ব্যবস্থা হয়ে যাবে একটু বাদেই লকডাউনের বাজার তো।"
তারপর উল্টোপাল্টা কিছুক্ষণ বকতে থাকে হাই ওঠে চেত্তর। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলো বুঝতেই পারেনি।ঘুমের মধ্যেই স্বপ্ন দেখে টুনিকে মাথায় মুকুট পরা হঠাৎই টেপি এসে ডাকে.."ভেতরে এসো। তোমাকে বাবা ডাকচে।"
ভেতরে উঠোনে যাওয়ার পর দেখে চারটে গোল দাগ। ওমা এখানে বসে খাওয়া হবে নাকি! একটা আসনে ওরা বসিয়ে দেয় চেত্তকে মুখে বেঁধে দেয় একটা মাস্ক..মাস্কের ভেতর থেকেই বলে ওঠে," ওমা মুখে ঠুলি বেঁধে খাবো কি করে?"
" খাবে বাবা,একটু বাদেই খাবে। কইরে নিয়ে আয়।"
আয় বলতে যা এলো তাতে বড় বাথরুম পেয়ে গেলো প্রায় চেত্তর ওমা টুনিই তো।তবে মুখে মাস্ক আর মাথায় টোপর কপালে চন্দন। ওদিকে মাস্ক পরে পুরোহিত হাজির। থপ করে চেত্তর উল্টোদিকে বসিয়ে দেওয়া হলো টুনিকে একমিটার দূরে।একদিকে ঠাকুর মশাই একদিকে ওর বাবা। চেত্তর অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছিলো কিন্তু মুখে ঠুলি বাঁধা কিছুই বলা হলোনা একদম দ্রুতবেগে সম্প্রদান,গাছের টগরফুলের মালা দিয়ে মালাবদল আর সিঁদুর দান হয়ে গেলো।
এবার চেত্তর মুখের মাস্ক খুলে দেওয়া হলো..রেগেমেগে চেত্ত বললো," এটা কি হলো? এইভাবে বিয়ে! শেষে এই চত্রি মাসে।"
"ঠাকুরমশাই বললেন বারোটা থেকে চারটের মধ্যে খুব শুভযোগ আছে আর পনেরো দিন পার হয়ে গেছে এমার্জেন্সীতে শুভকাজে বাধা নেই..করোনালগ্নে বাজার মন্দা তাই কম দক্ষিণাতে একমিটারের দূরত্বে বসে শুভকাজে অসুবিধা নাই।"
ওর বাবা ওকে যতই বোকা বলুক চেত্ত এটুকু বুঝলো ওকে হাতে পেয়ে ওর সেয়ানা শ্বশুর মাগনাতে একদম বিয়ে সেরে ফেললো। কিন্তু টুনিকে তো ওরা ট্যাকে গুজে দিলো।তবে বাবা কি বলবে এবার? বাড়ি যাবেই বা কি করে?
ওর শ্বশুরমশাই দাঁত বার করে বললেন," দুটো খেয়ে চলে যাও বাবা দুটিতে দুগ্গা দুগ্গা করে।বাড়িটা বড় ফাঁকা হয়ে যাবে গো....পটলাকে বলেছিলাম ওদের অটোতে এমার্জেন্সী লিখে এনেছে অসুবিধা হবেনা।"
সন্ধ্যের মুখে বাড়ির সদর দরজার কড়া নাড়ে চেত্ত,ঘোমটা টানে টুনি।
"ওমা দরজা খোলো।"
" ষাড়ের মত চ্যাঁচাস কেন শুনি?"
দরজা খুলে থ হয়ে যায় ওর মা চ্যাঁচামেচি শুরু করে বেরিয়ে আসে ওর বাবা এবার সত্যিই নার্ভাস লাগে চেত্তর।কার মুখ দেখে যে বাড়ি থেকে গিয়েছিলো!
বাবা দাঁত বের করে মাকে বলে," চ্যাঁচাও কেন? শিগ্গিরি ঘরে বৌ এনে দোর দাও। নাহলে করোনা কেসে ফেঁসে যাবে।"
বেজার মুখে বরণ করে বৌমাকে শাশুড়ি। আড়ালে ডেকে চেত্তকে ওর বাবা বলে সাবাশ বেটা যাক এই মন্দার বাজারে বিয়ের খরচটা বেঁচে গেলো। কাচুমাচু মুখে চেত্ত বলে," কিন্তু বাবা,বৌ ভাত? ফুলশজ্জে?"
" কি আর করা যাবে,বৌ ভাত বেড়ে দেবে একমিটার দূর থেকে। আর বাগানের ফুল ছড়িয়ে ফুলশজ্জে করে নিস তবে একমিটারের কথাটা মনে রাখিস বেপাড়ার মেয়ে তো।"
যেমন বাবা তেমন শ্বশুর দুটোই কিপ্টের ডিম আর সেয়ানার হাতবাক্স। ওর কেমন যেন শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবার,ওরে বাবা শ্বাসকষ্ট হলে তো কেরোসিন সেন্টারে না না কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠিয়ে দেবে। থাক বাবা এখন একমিটারটা মেনে চলাই ভালো,লকডাউন উঠলে দেখা যাবে।
আপনারা কি কেউ চিত্তর মতো লাইনে আছেন নাকি? তাহলে নিখরচায় বিয়েটা সেরে ফেলতে পারেন এই সুযোগে।তবে মনে রাখবেন একদম জনসমাগম নয়..সাতজন অব্দি ছাড় পাবেন।
সমাপ্ত:-
Comments
Post a Comment