Skip to main content

সিদ্ধান্ত

#সিদ্ধান্ত#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

"মা তোমার আর আমার সেল্ফি দেখে একজন কি বলেছে জানো?"
        চুলটা আটকাতে আটকাতে পর্ণা জিজ্ঞেস করে.." কে?
কি বলেছে শুনি?"
          " বলবোনা,আগে কি দেবে বলো?অনেকদিন বাদে এসেছো এবার?"
"এই  পুকুস খুব পাজি হয়ে গেছিস,কথায় কথায় এত ঘুষ নেওয়া কিন্তু ভালোনা।"
     " ঘুষ নেওয়ার মতোই তো কথা। আমাকে একটা ড্রেস কিনে দিতে হবে। অনেকদিন কিছু কিনে দাওনি কিন্তু। মা এখানে একা একা থাকতে আমার আর ভালো লাগেনা।"
    " তুই তো বায়না করলি এখানে থেকেই পড়বি।
    তাইতো তাড়াতাড়ি ফ্ল্যাটটা রেডি করা হলো।
      আমি কি করি বল।
      আমারও তো মন খারাপ করে তোর জন‍্য।
     আর তোর বাপি আর ভাইও খুব মিস্           করে তোকে।
আর তো একটা বছর শেষ হলেই বাঁচি বাবা। ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরবি।"
          মায়ের কথা শুনে মনে মনে হাসে পুকুস।আর কি ঘরে ফেরা হবে? এখন থেকে হয়ত এই শহরেরই পাকাপোক্ত ভাবে থেকে যেতে হবে।
                  'স্বপ্নেরা আজ রঙ মেখেছে উড়তে চাইছে আকাশে। মনটা কানে কানে এসে বলে গেছে তাকে...'সে কাউকে ভালোবাসে।'

     "কি রে বললিনা তো কে কি বলেছে?"

" বলছিলাম যে আমার বন্ধু বলছে তুমি আমার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর। একদম আমার বড় দিদির মতো লাগে তোমাকে।"
   হেসে ফেলে পর্ণা,"এই কে বলেছে রে এইসব?নিশ্চয় তার কোন মতলব আছে তাই তেল
মারছে।
বয়েস হচ্ছেনা নাকি?
কে রে সেই বন্ধু,দ‍্যাখা তো দেখি।"
         পুকুস মানে প্রত‍্যুষা যেদিন দেখিয়েছিলো ওর বন্ধুকে সেদিনই ওর গোয়েন্দা মা পর্ণা বুঝেছিলো ডাল মে কুছ কালা হ‍্যায়।তবে ছেলেটা বেশ ভালো,হয়ত একটু বেশি বেশিই ভালো। খুব সুন্দর,বাড়ির অবস্থা ভালো,শিক্ষিত,ভালো চাকরি করে।
             আলাপ করে ভালো লেগেছিলো পর্ণার।নিশ্চিন্ত হয়েছিলো কিছুটা মেয়ের পছন্দে। যদিও ছেলেটা হবু শাশুড়িমাকে মোল্ড করার চেষ্টা করেছে তবুও মেয়ের পছন্দটা ভালোই।
          " কি মা তোমার আ্যডমায়ারার কেমন?পছন্দ তো?"
        " তোর কি ওকে পছন্দ?
         নাকি এমনি বন্ধু?
         কি রে?"
মাকে চিরকালই বেস্টফ্রেন্ড বলেই ভেবেছে ওরা দুই ভাইবোন।আসলে মা বাবা চিরকালই বন্ধুর মতোই মিশেছে ওদের সাথে।
     " আমার ওকে খুব ভালো লাগে মা। ও আমাকে পছন্দ করে।"
''শুধুই পছন্দ? মানে প্রপোজ করেনি?"
           " মা তুমি কিন্তু খুব গোয়েন্দাগিরি করছো!
            ফিউচার প্ল‍্যানিং কিছু হয়নি তেমন তবে প্রপোজ করেছে।"
  পর্ণাকে ফিরে আসতে হয়েছে বাড়িতে পুকুসের সাথে প্রতিদিনই বেশ কয়েকবার কথা হয়।মাঝে মাঝে কথা হয় পার্থর সাথেও।
      " সবাই ভালো তো তোমরা?
        পুকুসকে একটু দেখো একা থাকে।"

  " হ‍্যাঁ আন্টি,আমি খোঁজখবর রাখি সবসময়।তুমি ভেবোনা কিছু। মাঝে তো ওর জ্বরও হয়েছিলো।"
" সে কি! দেখেছো কিছু বলেনি তো আমায়।ফোনটা ওকে দাওতো দেখি।"
     পার্থকে চোখ পাকায় পুকুস,বালিশটা ছোড়ে ওর দিকে।
" না মা হাল্কা টেমপারেচার ছিলো,একটা দুটো ট‍্যাবলেট খেয়েই ভালো হয়ে গেছে।"
          " বাবা শুনলে খুব রাগ করবে।জানলে বাবাকে পাঠিয়ে দিতাম।তুই একা একা ওখানে..."
           পার্থ ওর দিকে তাকিয়ে হাসে,ওর কোলে মাথা রাখে পুকুস।অনেকটা ঘনিষ্ঠ ওরা..." মা ভেবোনা একদম আমি ভালো আছি।"
              সেদিনের কথা মনে করে সারা শরীর জুড়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি হলো পুকুসের। ওর খুব জ্বর পার্থ এসেছিলো।ওকে বিছানা থেকে তুলে নিয়ে মাথা ধুইয়ে দেওয়া গা স্পাঞ্জ করানো,খাইয়ে দেওয়া সবটা ও করেছিলো।তারপর হারিয়ে গিয়েছিলো কিছুক্ষণ ওরা এক স্বপ্নের জগতে।দুজনে ডুবে গিয়েছিলো এক একান্ত নির্জনতায়।পুকুস নিজেকে সঁপে দিয়েছিলো নির্ভরতায় পার্থর কাছে।
                      মাঝে কেটে গেছে বেশ কয়েকটা মাস এর মধ‍্যে মনের টান আর ঘনিষ্ঠতা দুইই বেড়েছে। শহরে কেউ কারো ব‍্যাপারে মাথা ঘামায়না তাই পার্থ মাঝে মাঝেই আসে।পর্ণারাও ঘুরে গেছে এর মধ‍্যে,একদিন পার্থর মায়ের সাথে ফোনে কথাও হয়েছে। তবে ভদ্রমহিলার একটু গা ছাড়া ভাব মানে ছেলে বড় হয়েছে ওর নিজস্ব মতামত আছে যা ভালো বুঝছে করছে।তবে ওনাদের কোন আপত্তি নেই এই ব‍্যাপারে। কিন্তু ওদেরকে একবারও বাড়িতে আসতে বললেননা দেখে অবাকই হলো।
            " মা, অত ভেবোনা।হাই সোসাইটির ব‍্যাপার স‍্যাপার আর্ধেক সময় বাড়িতেই থাকেনা।
তোমাকে ডাকবে কি?
পার্থর কাছে শুনেছি বাড়িতে ওরা যে যার মত থাকে।
কেউ কারো ব‍্যাপারে নাক গলায়না।
এটাই তো ভালো মা।
আমার পার্থ থাকলেই হবে।"
                 কে জানে বাপু,দুজনেই বড় তাই ওরা বুঝুক ভেবেও পর্ণার মধ‍্যবিত্ত মন বিদ্রোহী হয়ে উঠলো যখন শুনলেন চাকরির জায়গা থেকেই দুবছরের জন‍্য বাইরে পাঠাচ্ছে পার্থকে। তারপর এসে বিয়েটা করবে।
      " শোনো পার্থ তুমি বরং রেজেস্ট্রীটা করে যাও।
মানে আমাদের সবারই তাই ইচ্ছে।
বিয়েটা নাহয় ফিরে আসার পর হবে।
পুকুসের কোর্সটা হয়ে গেলে তো বিয়েটাই দিয়ে ওকেও একদম পাঠিয়ে দিতাম।"
       " আন্টি,এতো তাড়ার কি আছে?ফিরে এসেই নাহয় একসাথে সবটা হবে।"
  অবশ‍্য পুকুসের বাবা আপত্তি করে বলেছিলেন," অত দূরে যাচ্ছে,কি জানি কি হয়! রেজেস্ট্রী করাটা কি ঠিক হবে?"
        " কি যে বলোনা তুমি!
মেয়েরও তো তাই ইচ্ছে,তারপর অত ভালো ছেলে যদি হাতছাড়া হয়ে যায়?
তার থেকে আইনত বিয়েটা হয়ে রইলো।
কে জানলো বিয়ে হয়েছে?
ফিরে এসে সোশ‍্যাল ম‍্যারেজটা হয়ে যাবে।''
              তাই পার্থকে চাপ দিয়ে রেজেস্ট্রীটা করিয়ে নিয়েছিলো পর্ণা। শান্তির শ্বাস ফেলেছিলো.." সারাক্ষণ আসছে যাচ্ছে,একসঙ্গে থাকছে কতদূর কি হয়েছে বলা যায়না। বিয়েটা তো হয়ে গেলো। ব‍্যাস নিশ্চিন্ত।"

        প্রথম একটা বছর নিশ্চিন্ত থাকলেও একদিন পুকুস ফেসবুকে দেখেছিলো পার্থর সাথে ওর এক বান্ধবীর ঘনিষ্ঠ ছবি। খুব ঝগড়া করেছিলো এখান থেকেই।
" আচ্ছা,আমি কি তোমার সম্পত্তি,যে আমার কোন বন্ধু থাকতে পারবেনা?
এখানে লোকে খোলামেলা মেশে,কিস্ করে,হাগ্ করে এটা খুব কমন।"
           একটু একটু করে সন্দেহ আর মনোমালিন্য বাড়ছিলো।আজকাল পার্থকে ফোন করলে ফোন ধরে অন‍্য কেউ শুনেছিলো ওর নাম পামেলা পার্থর কোলিগ।খুব ভালো মেয়ে আর ভালো বন্ধু। একদিন পুকুসের মোবাইলের হোয়াটস আ্যপে এসেছিলো কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি পার্থর নম্বর থেকে। পার্থকে জিজ্ঞেস করাতে বলেছিলো.." কই আমি তো পাঠাইনি।
হয়ত চলে গেছে।"
  " চলে গেছে মানে? তাহলে পামেলা পাঠিয়েছে?"

" তুমি যে এত মিন আমি ভাবতে পারিনা। জাস্ট ডিসগাস্টিং বলে ফোনটা কেটে দিয়েছিলো পার্থ।"

   পর্ণাকে সব বলেছিলো পুকুস,ছবিগুলো দেখিয়েছিলো..." মা ইউ টুক আ রং ডিসিশন।"
  কেঁদে ফেলেছিলো পর্ণা," আমি জানি শেষে সব দোষ পড়বে আমার ঘাড়ে। তোর বাবাও আমাকে দোষ দিচ্ছে।"
      " কিন্তু আমার লাইফটা যে শেষ হয়ে গেলো মা।একদম শেষ।"
   " কিসের শেষ? রেজেস্ট্রী করা আছে,ইয়ারকি নাকি আমি কেস করবো।দিয়ে আসবো তোকে ওদের বাড়িতে। দেখি কি করে ওরা!"
      " আর ইউ ম‍্যাড মা আমি কিছুতেই যাবোনা ওদের বাড়ি।এর থেকে আমার মরে যাওয়া ভালো। এত অপমান!"
     " তুই একটুও ভাবিসনা আমি কিছুতেই ডিভোর্স দেবোনা ওকে। এতবড় শয়তান! অথচ আমরা এতো ভুল করলাম? ওর সর্বনাশ হবে কিছুতেই ভালো হবেনা দেখিস।"
        মাকে বোঝাতে পারেনা পুকুস যেখানে ভালোবাসা মরে গেছে সেখানে অধিকার নেবার কোন ইচ্ছে ওর নেই।এ শুধুই নারীত্বের অপমান।
                মাঝে কেটে গেছে দুটো বছর।পার্থ এখন একটা ছেঁড়া পাতা পুকুসের কাছে। ভালোবাসা হারিয়ে বিয়ে বিয়ে খেলার চুক্তিপত্রকে ছিঁড়ে ফেলে আইনত মুক্তি দিয়েছে পার্থকে। মায়ের কোন কথাই আর শোনেনি। কপালে সিঁদুরের ছোঁয়া আর বেনারসী পরে বিয়ে বিয়ে খেলার আগেই খেলাঘর ভেঙে ডিভোর্সীর তকমাটা পেয়ে গেলো।
          সামলে নিয়েছিলো পুকুস অনেক কষ্টে। রাতের পর রাত ঘুম হয়নি,মাঝরাতে উঠে স্নান করেছে ঘুমের ঘোরে আসা পার্থর ছোঁয়াগুলো মুছতে।কখনো মনে পড়েছে পামেলার সাথে ওর ঘনিষ্ঠতার ছবিগুলো।
                লকডাউনের অনেকগুলো দিন পার হয়ে গেলো।বেশ কিছুদিন মা বাবা ভাইয়ের সঙ্গে বাড়িতেই আছে পুকুস। হঠাৎই সেদিন ফোন করেছিলো বিপাশা অনেকক্ষণ কথা হয়েছিলো।
          পর্ণা সামনের ঘরে বসে টিভিতে খবর দেখছিলো।পুকুস এসে গা ঘেঁষে বসে মাকে জড়িয়ে ধরে।
  " তুই কাঁদছিস কেন?
  কি হয়েছে সোনা? বল কি হয়েছে?"

" মা একটা কথা বলবো,তুমি তোমার অভিশাপ ফিরিয়ে নাও মা। ফিরিয়ে নাও।"
    " কোন অভিশাপ রে?"

" ঐ যে তুমি বলেছিলে না পার্থর সর্বনাশ হবে।
ও খুব অসুস্থ মা,একটা আ্যক্সিডেন্ট হয়েছে।
খুব সিরিয়াস।
তুমি ওকে ক্ষমা করে দাও মা।"
              মেয়ের মাথায় আস্তে আস্তে হাত বোলায় পর্ণা," কিছু ভাবিসনা সব ঠিক হয়ে যাবে।"
          মনে মনে ভাবে যে ভালোবাসা এতো নিখাদ আর খাঁটি ছিলো হয়ত বা ছিলো এক চঞ্চল পাহাড়ি ঝর্ণার মতো। তা কেন যে চিনতে পারলোনা পার্থ! হয়ত দুর্ভাগ্য ওরই।©রুমাশ্রী সাহা চৌধুরী
ভালো লাগলে নামসহ শেয়ার করুন।
সমাপ্ত:-
      

             
       

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...