#একলা_বৈশাখ#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#
রিপোস্ট
"জানু মাই সুইটহার্ট প্লিজ এতো তাড়াতাড়ি ফোনটা রাখিসনা, এখনতো সবে বারোটা বাজে সোনা।"
তাই নাকি জান,মাই কুচুপুচু মনা, আমার মা যা রাগী না! এক্ষুনি ইন্সপেকশানে আসবে আর এসে যদি দেখে যে আমি ফোনালাপ করছি তাহলে ফোনকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে ছাড়বে। মানে সিমটা খুলে নিয়ে ফোনটাকে মৃত করে ছেড়ে দেবে।"
...." আচ্ছা বেশ তাহলে মেসেঞ্জারে আয় বা হোয়াপে।"
...." সে গুড়ে বালি সোনা,রাত্রি এগারোটার পর সব বন্ধ করে দেয়। মানে রাত এগারোটার পর নেটে থাকা পানিশেবল অফেন্স,মা জানতে পারলে সব ঘেঁটে দিয়ে যাবে।"
সারাক্ষণ শুধু মা আর মা মাথাটা গরম হয়ে যায় বল্টুর মানে বিরাটের। বল্টুটা ওর ডাক নাম। সবে সবে প্রেমটা একটু জমে উঠেছে কিটুর সাথে কিন্তু একটুও শান্তি নেই। জ্বালিয়ে খাচ্ছে ওর পুলিশ মা,বাপরে কত জম্ম পাপ করলে এমন পুলিশ শাশুড়ির খপ্পরে পড়তে হয় কে জানে বাপ। লাভ হলো তো হলো শেষে ঐ পুলিশের মেয়ে। না না একদম ভয় পাবেনা ঠিক করেছে বল্টু,ওই বা কম কিসে, দরকার হলে প্রেমের জন্য জান কবুল করবে তবু হাল ছাড়বেনা। আর কিটু যা কিউট একটা মেয়ে ওকে তো ছাড়তেই পারবেনা। তা ওর মা পুলিশ, দারোগা আর গোয়েন্দা যাই হোক না কেন? লুকিয়ে লুকিয়ে শাশুড়ির প্রোফাইলও দেখে ফেলেছে ফেসবুকে ইতিমধ্যে,হুঁ আর পারিনা ডিপিটা দেখলেই তো পিলে চমকে ওঠে বাবা ডিপিতেও হাতে ডান্ডা নিয়ে দাঁড়িয়ে একেবারে যাচ্ছেতাই। তাড়াতাড়ি করে প্রোফাইলটা ঘুরিয়ে দেয় বল্টু ওরে বাবা কভার পিকচারে লেখা আছে, "আমার প্রোফাইল ঘাঁটতে এসেছিস যা ফোট"। কে জানে আবার প্রোফাইলেও কোন গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছে কিনা। দরকার নেই প্রোফাইল ঘেঁটে। কিটুকে ওই কথা বলাতেই কিটু তেড়ে একটা ধমক লাগালো," মাথামোটা কোথাকার একটা! এইবুদ্ধি নিয়ে এসেছে পুলিশের মেয়ের সাথে প্রেম করতে আরে ছোঃ ছোঃ।"...." বেশি ছোঃ ছোঃ আর করিসনা তুই কি করে বুঝবি,আমার কি অবস্থা! কি মরতে যে তোকে ভালোবেসেছি।"
কিটু মনে মনে বেশ উপভোগ করে ব্যাপারটা, "বেশ হয়েছে, একটু ভয়ে ভয়ে থাকাই ভালো তাহলে ভবিষ্যতে কোনদিন বধূনির্যাতন করতে পারবেনা।" তাছাড়া ওর মা যোগমায়াকে শুধু ও কেনো ওর বাবাও খুব ভয় পায়। বাবা তো মাঝে মাঝেই বলে মা মাগো সবই মায়া,সবই মায়া।
" আচ্ছা তোর মা আর বাবার একসাথে কোন ছবি দেখলাম না তো, শুধুই তো তোর মায়ের ডান্ডা হাতে ছবি। তুইও নেই,আর তোর বাবাও নেই। "
...." আবার তুই গেছিলি মায়ের প্রোফাইল ঘাঁটতে!পারিস বাপু। আচ্ছা আজ আসি রে, মা ডিউটি থেকে ফিরে আমাকে না দেখলে আজ সত্যিই ডান্ডাপেটা খাবো।"
..."তোর বাবাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে রে। আচ্ছা আঙ্কেলের কোনো আ্যকাউন্ট নেই ফেসবুকে?"
" ফেসবুকে আ্যকাউন্ট তুই পাগল! বাবা সারাদিন যোগ করে আর মায়া মায়া করে কাটায়। বাবার চোখে সবই মায়া। ওহ্ তুই বাবাকে দেখিসনি না ? তাইতো আমার প্রোফাইলে তো শুধু একটা পুতুলের ছবি,আর নামও অন্য। আচ্ছা দাঁড়া" মোবাইল বের করে বাবার ছবি দেখায় কিটু।
ফিক করে হেসে ফেলে বল্টু। " এই হাসলি কেনো রে?"
" না না আমার হবু শ্বশুর তো পুরো টাকলু,সবটাই কি তোর মা ছিঁড়ে ফেলেছে নাকি?"
..." ভালো হবেনা বলছি,কাল থেকে একদম এদিকে আসবিনা। মাকে বলে দেবো সব, একদম ঠ্যাং খোঁড়া করে দেবে।"
একটু ঘাবড়ে যায় বল্টু," না জানু,আসলে আঙ্কেলকে দেখে আমার খুব মায়া হচ্ছে, মাথাটা একদম খালি হয়ে গেছে। আমি তাই বলছিলাম..." আর একটাও কথা নয়,বাবার টাইফয়েডে চুলগুলো গেছে আর কিছুটা বংশগত।"
প্রেমটা কিছুতেই জমাতে পারছেনা বল্টু,সারাদিন মনটা আনচান করে জানেমন কিটুর জন্য। সারাক্ষণ মেয়েটা ভয়ে ভয়ে থাকে। এই বোধহয় কেউ জেনে ফেলবে,দেখে ফেলবে। হঠাৎ করেই একদিন বল্টুর নজরে পরে যায় রাত বারোটার পরও শাশুড়ির নামের পাশের সবুজলাইট জ্বলছে। ওহ বাহ্ বর মেয়ে সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে উনি ফেসবুক করছেন। এ নির্ঘাত পরকীয়ার নেশা,আর হবেই না কেনো ওই টাকলু বর দেখে কি কারো মন ভরে। ওমন বরকে নিয়ে একটা সেলফিও তোলা যায়না। তারপর থেকে একটু নজর রাখে মেসেঞ্জারে,প্রোফাইলটা ভাগ্যিস বোধহয় পাবলিক। একদিন কিটুকে বলেছিলো ব্যাপারটা,এইসা মুখঝামটা খেয়েছে যে আর সাহসে কুলায়নি। কিটু তো রীতিমতো ওর চরিত্র নিয়ে কেস ঠুকে দিলো," লুজক্যারেকটার একটা,আমার মায়ের প্রোফাইল এতো কিসের দেখা শুনি? আর কোনদিন মায়ের সম্বন্ধে বাজে কথা বললে একেবারে ব্রেকআপ হয়ে যাবে বলে দিলাম। "
বাড়ি ফিরে গজগজ করে বল্টু,খুব মাতৃভক্ত মেয়ে। যেদিন দেখবে মা মাঝরাত পর্যন্ত চ্যাটে থাকে সেদিন বুঝবে আমার কথা সত্যি কিনা?
অনেক আগে থেকেই কিটুকে তেল মারছে," ওইই শোননা, বছরের প্রথম দিন মানে পয়লা বোশেখের দিন কিন্তু একটু বেরোবো। বছরের প্রথম দিন সবাই কত মজা করে সেদিন একটু না বেরোলে হয়। মানে শুভদিনে একটু প্রেম মানে ইয়ে না করলে ঠিক জমেনা। আসবি তো?"
" দেখছি যদি ম্যানেজ করতে পারি। মায়ের ডিউটি থাকলে বেরোবো তবে বেশিক্ষণ থাকতে পারবোনা কিন্তু। "...." তাতেই হবে,শাড়ি পরে আসবি কিন্তু,আমিও একটা পাঞ্জাবি পরবো ভাবছি। " হুঁ আর পারিনা, প্রেমের শেষ নেই একেবারে গদগদ। আচ্ছা ভেবে দেখবো।"
যাক বাঁচোয়া,মাকে ম্যানেজ করেছে কোনরকমে কিটু, তিতলিদের হালখাতায় যাবে বলে। ডিউটি যাবার আগে একটু দাবড়ে গেলো মা ওকে। যাক দুপুরের দিকে শাড়ি পরে বেরোলো কিটু,উঃ কি মুশকিল যে শাড়ি সামলানো। শ্যামবাজারের মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলো বল্টু একেবারে পাঞ্জাবি পরে হিরো সেজে। নাহ খুব একটা মন্দ লাগছেনা দেখতে। সোজা ভিক্টোরিয়ায় চলে যায় তবে কিছুক্ষণ থাকতে থাকতেই উশখুশ করে কিটু,না না এমনি তো যাওয়া যায়না। কিছুই তো খাওয়া হোলোনা। তাই ঠিক করে চাঁদনীচকে চিনে রেস্তোরাতে ঢুকে খেয়ে ফিরবে। হঠাৎই চোখটা একটু কচলে নেয় বল্টু, হুঁ একদম ঠিক দেখছে সালোয়ার কামিজ পরে রাস্তা পার হচ্ছে ওর হবু শাশুড়িমা। না না একদম ঠিক দেখছে একটুও ভুল না,তবে এটা আবার কে, সঙ্গে সানগ্লাস পরা এক ভদ্রলোক। যাক এতোদিনে পাওয়া গেছে,"বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান,আজকে তোমার আমি বধিব পরাণ।"
এক গুঁতো দেয় কিটুকে," এই যে মহারানী দেখ সামনে,আন্টি না, ওই যে।"
অবাক হয়ে যায় কিটু, মা তো ইউনিফরমে বেরোলো। কখন আবার ড্রেসচেঞ্জ করলো! সত্যিই তো,আর সাথেই বা কে মুখটা তো দেখা যাচ্ছেনা। ওর বেলায় শুধু কড়াকড়ি আর শেষে এই বল্টুটার কাছে প্রেস্টিজটা এভাবে যাবে,হয়ত ব্রেকআপই হয়ে যাবে এবার।
পা চালিয়ে হাঁটে কিটু পেছন পেছন বল্টুও এগিয়ে আসে,বেশ হয়েছে আজ মা মেয়ের ঝামেলা লাগবে আর শাশুড়ির থোঁতা মুখ ভোঁতা হবে। একটু দূর থেকে দেখে ওরা মা ঐ ভদ্রলোককে সাথে নিয়ে চীনে রেস্তোরায় ঢুকছে,ওরাও ফলো করে পেছন পেছন আসে। বল্টু সমানে বলতে থাকে," দেখেছিস জানু এই দেখ বলেছিলাম না, নিশ্চয় এক্সট্রা ম্যারিটাল ব্যাপার স্যাপার, তোর বেলায় যত, ইশ্ ভালো লাগেনা আর! এই বয়সে আঙ্কেলটা কোথায় যাবে বলতো। মাথায় চুল না থাকার কি শাস্তি!"
গা পিত্তি জ্বলে যায় কিটুর,গলাটা শুকিয়ে যায়,ইশ্ বাগে পেয়ে কেমন খোঁচা মারা কথা বলছে বল্টুটা, শেষে ওর সামনেই প্রেষ্টিজটা গেলো!তবুও গলায় জোর এনে বলে," এইই চুপ কর মায়ের অফিসেরও কেউ হতে পারে।"
..." তা হতেই পারে,ভদ্রলোকের মাথার পেছনটা দেখেছিস,একমাথা চুল। হেব্বি স্মার্ট কিন্তু দেখতে লাগছে,লাল গেঞ্জি পরেছে আবার!"
কনুই দিয়ে একটা গুঁতো মারে কিটু,"একদম চোপ আর কোন কথা নয়,আমার মাথায় আগুন জ্বলছে আর উনি ঘি ঢালছেন।"
ততক্ষণে ওরাও এসে পড়েছে রেস্টোরেন্টের সামনে,বল্টু আর কিটু দেখে ভদ্রলোকের হাত ধরে মা একেবারে কেবিনে ঢুকে যায়। কেবিনের গায়ে লেখা নামটা দেখে মেজাজটা খিঁচড়ে যায় কিটুর বাবাঃ "একান্ত আপন" নামের বলিহারি। মা আর জায়গা পেলোনা শেষে গিয়ে একান্ত আপনে গিয়ে ঢুকলো।
কিটুর ফিউজ হয়ে যাওয়া মুখটার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে বল্টু বললো," চল আমরা গিয়ে "কিছুক্ষণে" বসি।"
ওটা অকুপাইড স্যার,আপনারা "চোখের বালিতে" বসুন।
ভীষণ অস্থির লাগে কিটুর মাঝে মাঝে মায়ের হাসির আওয়াজ পাচ্ছে। গা টা চিড়বিড় করছে কিটুর হঠাৎই উঠে দাঁড়ায়," আমি একটু আসছি।"
...." কোথায় যাচ্ছিস?"
" আসছি একটু ওয়াশরুম থেকে।"
একান্ত আপনের পাশ দিয়ে যেতে যেতে পরদার ফাঁক দিয়ে নজরে এলো ভদ্রলোকের লাল গেঞ্জিটা আর মায়ের ওড়না। বেসিনে গিয়ে ঘাড়ে জলের ছিটে দিয়ে ফিরে আসে মাথাটা দপদপ করছে রাগে। বল্টু ততক্ষণে চিকেন মাঞ্চুরিয়ান আর চাউমিনের অর্ডার দিয়েছে। কিছুই ভালোলাগেনা কিটুর একান্ত আপনের পাশ দিয়ে যেতে যেতেই মাথাটা এতো গরম হয়ে যায়,আর ধৈর্য ধরতে পারেনা, একেবারে পর্দা ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়ে। ওর মা দরজার দিকে মুখ করা চেয়ারটায় বসে,তাই ঢুকেই একদম মায়ের মুখোমুখি, ভদ্রলোকের দিকে তাকাতে প্রবৃত্তি হয়না ওর।ওকে দেখেই ওর মা ধমকে ওঠে," একি কিটু,তুই নাকি তিতলিদের বাড়ি যাবি এখানে কি করছিস,তোর সাহস তো মন্দ নয়। আজকাল খুব মিথ্যে বলতে শিখেছিস!"
...." আগে নিজেকে দেখো মা তুমিই বা এখানে কেন?ডিউটির পোশাকে বেড়িয়ে এখন এখানে! আমি তো ভাবতেই পারছিনা। বাবা জানে,তুমি এখানে অন্য কারো সাথে এসেছো?"
মেয়ের প্রশ্নে একটু থতমত খেলেও,মেয়ের উত্তেজিত চেহারা দেখে হা হা করে হেসে উঠলো যোগমায়া,সাথে ঐ ভদ্রলোকও। হাসিটা শুনে একটু চমকে মুখ ফেরায় কিটু তারপর যা দেখে তা দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো,নিজের গায়ে একবার চিমটি দিয়ে দেখলো সত্যি বেঁচে আছে তো নাকি অক্কা পেয়েছে। আবার পুরো একশো আশি ডিগ্ৰী ঘুরে দেখে সব ঠিক দেখছে তো!
একান্ত আপনের হাসিতে যোগমায়ার সাথে যোগ দিলো এবার কিটুও," ওমাআআ বাবা শেষে তুমি এমনভাবে বোকা বানালে আমাকে পয়লা বৈশাখের দিন। আমি তো নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিনা। " একটু লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করেন কিটুর বাবা মাখনবাবু। যোগমায়া বলেন," আরে মাথায় চুল নেই বলে তোর বাবার খুব মনে দুঃখ,সারাক্ষণ এটা ওটা ট্রাই করছে, তাই আজ নিউমার্কেট থেকে ঐ ইম্পোর্টেড উইগটা কিনে দিলাম আমার তরফ থেকে পয়লা বৈশাখের গিফ্ট। নতুন সাজে নতুন বছরে। ভালো হয়েছে না?"
..." উফ মা একদম বদলে গেছে, দারুণ লাগছে। তবে যে ও বলছিলো তুমি নাকি অন্য কার সাথে..."
" কে বলছিলো, বল কে বলছিলো,কি বলছিলো? সত্যিই তো, তুই কার সাথে এখানে এসেছিস শুনি?" ওদিকে বল্টু হাসির আওয়াজ শুনে পরদার বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে ততক্ষণে,কি ব্যাপার দেখতে। কিন্তু যা শুনলো তাতে মোটামুটি ওর মাথার চুল খাড়া হয়ে যাবার জোগাড়। উরিব্বাস এটা নাকি ওর টাকলু হবু ফাদার ইন ল,এতো একেবারে ফিল্মি ব্যাপার মাইরি। এই যাহ্ এতো সাঙ্ঘাতিক কেস খেয়ে গেছে,কিটু তো এবার ওর মাথার চুলগুলোই হয়তো সাফ করে দেবে। হে ভগবান! এতো সাঙ্ঘাতিক কেলো,ভাবছে কি করবে, এমন সময় মায়ের জেরায় ঘাবড়ে গিয়ে বাইরের দিকে আঙুল দেখায় কিটু। মেরা ডান্ডা কিধার হ্যায়,রেগে গিয়ে হিন্দী বলতে থাকে যোগমায়া। তাড়াতাড়ি পিঠের ব্যাগ থেকে ডান্ডাটা বার করে হঠাৎই বাইরে বেড়িয়ে আসে পেছনে মাখনবাবু আর কিটু। ডান্ডাহাতে যোগমায়ার ভয়ংকরী মূর্তি দেখে বল্টু একদৌড়ে চোখের বালি পেরিয়ে সোজা ফুটপাথে তারপর একলাফে চলন্ত বাসে উঠে একেবারে শ্যামবাজারে গিয়ে হাঁফ ছাড়ে। এদিক ওদিকে তাকিয়ে মাকালীর মন্দিরের সামনে হাতজোড় করে বলে," শেষে ১লা বোশেখের দিন একলা করে দিলি মা।"ইচ্ছেখেয়ালে শ্রী
সমাপ্ত:-
Comments
Post a Comment