Skip to main content

অন্দর কি বাত

#অন্দর_কি_বাত#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

"এই রোকো রোকো সাইকিল

কিউ শুনাই নহি দেতা হ‍্যায়

রোকো জলদি।
কাহা যাতা হ‍্যায় বাতাও।"

      মহা জ্বালা তো..কাউকে সাথে নিয়ে গা মাখামাখি করে যাচ্ছেনা। পেছনে বসে কেউ কোমরও জড়িয়ে ধরেনি তবুও সাইকেলে দমাস করে এক ডান্ডা মারলো ঐ হতচ্ছাড়া পুলিশ।

        ঘন্টুদাও কম যায়না..." হাম তো একেলে হ‍্যায়। কোই আদমি আগে পেছু নাহি হ‍্যায় তো কেয়া সমস‍্যা হুয়া শুনি যে আপ সাইকেলকো শুদু মুদূ ডান্ডা মারা?"

"ভীড় ভাড় করনা মানা হ‍্যায় মালুম নেহি?"

"ভীড় কাহা কিয়া?
একা একা যা রহা।"
" ও ঠিক হ‍্যায়..
মগর কাহা যা রহা হ‍্যায় ও বাতাও।
আর ও ক‍্যায়া হ‍্যায় তুমহারা সাথ?"

"আরজেন্ট কাম হ‍্যায়।
আর সাথ মে কোন আদমি বা লেড়কি নেই এক পুটলি হ‍্যায়।"

 "আরে ওহি তো বাত।
ইয়ে কনটেনমেন্ট জোন হ‍্যায় ইহা পর পোটলি লেকে কাহা যা রহা?"

           পুলিশের সাথের চামচাটা আরো বদমায়েশ বলে কিনা," উতরো,উতরো খোলো অভি পুটলি, মালুম হোতা হ‍্যায় ছুপকে কুছ লেকে ভাগতা হ‍্যায়।"

  " সাইকেলসে নামকে তো গিয়া হ‍্যায় অনেকক্ষণ তবে পুটলি হামারা পারসোনাল হ‍্যায় ও কিউ খুলেগা?
নহি খুলেগা ইয়ে অন্দর কি বাত হ‍্যায়।''

   " সাহাব মালুম হোতা হ‍্যায় দারু হ‍্যায় ইসমে,ইসি লিয়ে নহি খোল রহা হ‍্যায় ।"
      " অন্দর জানেকা মন হ‍্যায় ক‍্যায়া তুম্হারা?

  মহা চিনে জোকের খপ্পরে পড়া গেছে তো! এরা তো মনে হচ্ছে দেখেই ছাড়বে। অগত‍্যা কাপড়ে মোড়ানো কার্টুনটা একটু ফাঁক করে ঘন্টুদা। সক্কাল সক্কাল কি বিপদ মাইরি।
       কেন যে মরতে ভজাকে কথা দিয়েছিলো মাল বাড়িতে পৌঁছে দেবে সকাল সকাল।শুনে শান্তির হাসি হেসে ভজা বলেছিলো.." খুব উপকার করলি মাইরি যা সমস‍্যায় পড়েছিনা!"
                   
              কনস্টেবল আর তার চ‍্যালা উঁকি মেরেই হঠাৎই চেঁচিয়ে ওঠে.." ইয়ে তো অন্দর কা মামলা হ‍্যায়। নেহি নেহি চলো থানামে,অন্দর মে বাত করনা।"
          কি কেলো মাইরি..." হম তো বোলা অন্দর কা বাত হ‍্যায়।ঝুট নেহি বোলা তবে কিউ এয়সা জোর করকে হামকো অন্দর করতা হ‍্যায় শুনি?"
                  
            " সাইকিল লেকে পহেলে চলো তো থানেমে তব বাত করনা।"
        অগত‍্যা ওদের জোরজুলুমে ঘন্টুদাকে থানায় আসতে হয়। একটা পুটলি কেসে ফেঁসে যে একেবারে থানায় আসতে হবে সকালে কি ভাবতে পেরেছিলো?
             ঘন্টুদা কিছু বলার আগেই ওরা পুটলির মানে কার্টুনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মনে মনে হাসে ঘন্টুদা মনে হচ্ছে যেন বিলিতি মালের কার্টুন। তবে এক নিমেষে ফাঁকা হয়ে যায় পোটলা পুটলি সব।
           হায় ভগবান এরা কি! যা পায় তাই নেয়

থানার বড়বাবু আক্ষেপের সুরে বলেন.." সবই তো লুট হয়ে গেলো।আমি তো কিছুই পেলামনা। আচ্ছা কাল আপনি আরো কিছু নিয়ে আরেকবার আসতে পারবেন?"
        " মানে স‍্যার?ঠিক বুঝলাম না?"
" মানে আপনার স্টকে কি আরো মাল আছে?
        এতক্ষণে মগজে ঢোকে ঘন্টুদার আসলে লকডাউনে মগজও লক হয়ে গেছে।
       " হ‍্যাঁ স‍্যার আছে।দোকান তো সেই কবে থেকে বন্ধ। একটা কর্মচারী আছে তাকেও মাইনে দিতে হচ্ছে। তাই পরিচিত বন্ধুদের হোয়াটস আ্যপ করেছিলাম কারো যদি ইনার বা ইয়ে কিছু মানে বারমুডা বা লুঙ্গি গামছা লাগে তাহলে বাড়িতে ডেলিভারি দেবো। তাই কিছু ইনার নিয়ে যাচ্ছিলাম আর কি।"
             " তা মশায় এত আপত্তি করছিলেন কেন দেখাতে?ওরা বললো এসে। মনে হচ্ছিলো গোপন কিছু।"
             অন্দরের অন্তর্বাস তো তাই ইয়ে রাস্তায় বের করতে কেমন ইয়ে লাগছিলো। আসলে সরকার তো এখনও এগুলোকে আ্যলাউ করেনি মালের মতো।
                      " আমার কথাটা একটু মাথায় রাখবেন..আর ইয়ে লেডিস নাইটি আর ইয়ে যদি থাকে তাহলেও।"
            থানা থেকে পকেটে ক‍্যাশ আর ফাঁকা সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে ঘচাং ফু বলে একটা চিৎকার করতে ইচ্ছে করলো ঘন্টুদার আজই গিয়ে টুনটুনিকে বলতে হবে..." এই যে ডার্লিং, সবসময় ইনার,বারমুডা আর লুঙ্গি বেচি বলে ক্ষমা ঘেন্না কোরনা। লকডাউনে হাই ডিমান্ডে এখন এইগুলোও আছে। গৃহের অন্দরে থাকতে থাকতে অনেকেরই অন্দর কি মামলা এখন ঢিলে....থাক বাবা ভুক্তভোগীরা বুঝছেন সেটা।
       এই যাহ্ সবই তো লুট হয়ে গেলো! ভজার কি হবে?😇😇😇
       কি আর হবে? আজকের মতো একটা ভুজুং ভাজুং দিতে হবে"🤔🤔🤔🤔©রুমাশ্রী সাহা চৌধুরীর
ভালো লাগলে নামসহ শেয়ার করুন।
সমাপ্ত
          
.

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...