#ননীর_পুতুল# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপ করার অভ্যেস কোনদিনই লীলার ধাতে ছিলোনা,আর একটা সময় তো ফোনই ছিলোনা।হাতে চিঠি লিখে আদানপ্রদান হতো ঐ ডাকবাক্সে তারপর পিয়ন এসে বাড়িতে দিয়ে যেতো। তারপর এলো বাড়িতে রিসিভার ওয়ালা হ্যালো ফোন।কালো হাতল ধরে মনের দেওয়ালের ফোকর দিয়ে এপারের কথা ওপারে বলা আর সেটাই বেশ। চেয়ারে বসে কানে ধরে কথা বলো যতখুশি।লীলার কর্তাটি অবশ্য ব্যস্ত মানুষ হলেও শৌখিন ভীষণ আর বৌ অন্ত প্রাণ ছিলেন। তাই কিছুদিন বাদেই ঐ কালো মোটা হা তল বাদ দিয়ে সরু সুন্দরী সোনালী হাতলের ফোন আনলেন। লীলার স্বামী সমীরণ যাকে চিরকাল হ্যাঁ গো ওগো শুনছোই সে করে এসেছে সেই দাপুটে পুলিশের বড় কর্তার কাছে আদরের বৌটি চিরকালই একটা নরম তুলতুলে খরগোশের মত।আজকালকার মেয়েদের হয়ত ভালো লাগবেনা কিন্তু লীলা চিরকালই মোমের বাবা বললো এই শাড়িটা পরো,এই গয়নার ডিজাইনটা মোমের বাবার পছন্দ করে বানানো,মোমের বাবা এই তসরটা ভাগলপুর থেকে এনেছে এমনই গল্প করতে ভালোবেসেছেন। যদিও তারই মেয়ে মোম মানে মৌমিতা বরকে নাম ধরে ডাকে মাঝে মাঝে তুই তোকারি করে আবার ক...