ওকে প্রথম দেখেছিলাম আমার ছেলের কে.জি স্কুলে।ফর্সা লক্ষ্মীমন্ত বৌ যাকে বলে বেশ ভাব হয়ে গেছিলো। আমাদের দুই ছেলের মারামারি আর ভাবের মাঝে আমরাও জমে যেতাম পিএনপিসিতে।কত কি যে জমা থাকতো ঝুলিতে তারপর দেখা হলেই সব বলে ফেলা।কখনো রান্না করে ও আনতো কখনো আমি। মন ভালো না লাগলেই ছুট দিতাম ছেলের হাত ধরে ওর বাড়িতে। একটা সময় ছেলেদের অন্য স্কুল হলো তবুও কথা ফুরোলোনা। তবে একটা সময় হারালাম সেই বন্ধুকেও চাওয়াপাওয়ার ভিড়ে। স্মার্টফোনে ওর ছবিটা মাঝেমাঝে দেখি কথা হয়না।কি জানি দোষ কার ছিলো? অনেক ভেবেছি,কারণ খুঁজে পাইনি। এ ঘটনা যখন তখন এইসব ফোনটোন ছিলোনা চিঠিই ভরসা। অফিস থেকে এসে ঘরে ঢোকার আগেই শ্বশুরমশাইয়ের চিঠিটা পায় সমীর মণির শরীরটা বিশেষ ভালো যাচ্ছেনা,তাছাড়া বাচ্চা হওয়ার সময় ও থাকলে ভালো হয়। মণির মুখটা খুব মনে পড়ে সমীরের।পরেরদিন অফিস থেকে বেরিয়েই ট্রেন ধরে।ইশ্ কতটা রাত হয়ে গেছে! চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার টর্চ জ্বালিয়ে হাঁটা লাগায়।হঠাৎই টর্চটাও নিভে যায়,কি করবে ভেবে পায়না। দূরে একটা টিমটিমে আলো দেখতে পায়,ঘোমটা সরে গেলে অবাক হয় মণি! এই শরীরে তুমি অবাক হয়ে বলে। মণি লাজুক হেসে বলে ছেলে হয়েছে,আম...