বসন্তে রঙের মাখামাখিতে পুরুলিয়া দেখে কিছু রঙ সাথে নিয়ে এসেছিলাম হয়ত সেই রঙটুকু সম্বল করেই কাটিয়ে দিয়েছি এই এতগুলো মাস। প্রথমটা মনে হয়েছিলো বেশ তো ছুটি পেলাম অবশেষে নিশ্চয় মুক্তি মিলবে এই একটা মাসের শেষে। কিন্তু একটা সময় হতাশ হলাম।
সারাদিন রান্নাখাওয়া,বাইরে বেরোনো নেই।আমার স্কুলের ছাত্রীদের সাথে সেই মুঠোফোনে দেখা সাক্ষাৎ। একটা সময় দেখলাম ওরা অনেকটা বড় হয়ে গেছে আর আমি অনেকটা বুড়ো। দৈর্ঘ্যে বড় হবার তো আর বয়েস নেই প্রস্থে বেড়ে চলেছি আহ্লাদে। তার মাঝে মাঝেই হানা দেয় ভয় কখনো অবসাদ,কখনো বা কোন প্রিয়জনের মৃত্যুতে মন হয় খুব ভারাক্রান্ত। তবুও জীবনকে জিততে এগিয়ে চলতে হয়,এখন আর ছুটতে পারিনা তবুও চেষ্টা করি এগিয়ে চলতে।
আলমারির সাথে অনেকদিনের আড়ি। মনে হয় কি হবে এসবে? কত মানুষের ঘরে ঘরে বিষাদ আর মৃত্যু,এইসব ভাবনা হঠাৎ হঠাৎ চেপে বসে মনের মাঝে। ভালো লাগেনা,সত্যিই ভালো লাগেনা।কবে যে যাবে এই করোনা?
তাই আবার ফ্ল্যাটবন্দি মনটাকে মুক্ত করতে একদিনের জন্য ছুট ছুট।কোথায় আর যাবো? মানুষের সাথে মানুষের আড়ি..কেউ বললেও সাহস পাইনা যেতে কারো বাড়ি।কারণ করোনা নিয়ে যে নিত্য বাস করি। তাই চলো বাইরে কোথাও মানে যেখানে গাড়ি নিয়েই যাওয়া যায়। আগের বার মন্দারমণি ঘুরে এসেছি এবার তাজপুর। ঐ একটু অন্যরকম একটা দিন কাটানো আর কিছুনা...
Comments
Post a Comment