Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2021

হাউস কিপিং

#হাউস_কিপিং# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# তুমি আসবে বলেই  আকাশ মেঘলা বৃষ্টি এখনও হয়নি তুমি আসবে বলেই কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো ঝরে যায়নি। তুমি আসবে বলেই...ফোনটা বাজতে থাকে আপন ছন্দে।      খুব প্রিয় গান অংশুর তাই অনেকবার বদলে ফেলবে বলেও বদলাতে পারেনি। তবে অফিসে থাকাকালীন মোটামুটি ফোনটা ভাইব্রেশনে রেখে দেয় না হলে আবার এই নিয়ে হয়ত মজা করবে সবাই। বেশ কয়েকবার ক্লায়েন্টকে ফোন করেছে কিন্তু তখন কেউ ধরেনি বারবার বেজে গেছে। লোকেশন দেওয়া থাকলেও  সবসময় একবার ফোন করে নেয় ওরা সঠিক লোকেশনে সঠিক সময়ে পৌঁছনোর জন‍্য। বাইকটাকে সাইড করে ফোনটা ধরে ওপার থেকে আওয়াজ আসে গম্ভীর গলায়,' হ‍্যালো।'    অংশু নরম গলায় বলে,' স‍্যার আমি দশ মিনিটে আসছি।'  -'একটু যদি জায়গাটা বলে দেন সুবিধা হয়।'   ওপার থেকে গড়গড় করে বাড়ির লোকেশন বলে দেন ভদ্রলোক। আরও বলেন উনি এখন বাইরে। বাড়িতে লোক আছে  অংশু যেন ভালোভাবে কাজটা করে। ওদের সাইটে গিয়ে রিভিউ আর রেটিং দেখেই অংশুকে নিয়েছেন।' -' হ‍্যাঁ স‍্যার ডোন্ট ওরি আপনি কাজ দেখে রেটিং আর রিভিউ দেবেন।'           পলাশপুরে বড় হলেও এই কয়ে...

মানুষ মেয়ে

চওড়া লালপাড় গরদের আঁচলে রূপোর মাছে আটকানো চাবির গোছাটা ঝুমঝুমিয়ে বেজে উঠল আরেকবার তার সাথে নাকের নথটাও দুলে উঠলো বিশাখার। নিজেই গজগজ করেন কিছুটা আপন মনেই। চারদিকে ছোটাছুটি করে আর যেন পারা যাচ্ছে না।     আরেকবার চারদিকে চোখ বুলিয়ে নেন ভালো করে হ‍্যাঁ সব ঠিক আছে চারদিক একদম ভরা ভরন্ত। শুধু নতুন বৌ যখন রান্নাঘরে ঢুকবে তখন দুধ উথলানো দেখালেই মোটামুটি রান্নাঘরের নিয়ম সারা।    সেই দায়িত্বটা অবশ‍্য ছোট জাকে দিয়েছেন বিশাখা। সবাই মিলে না করলে সত‍্যি পেরে ওঠা যেত না। তিন জা মোটামুটি হাত লাগিয়েছে সব কাজেই। যদিও এক বাড়িতেই সবার আলাদা সংসার এখন তবুও বাড়ির বড় ছেলের বিয়ে বলে কথা তাই সবাই এগিয়ে এসেছে আনন্দ করেই।         একটু বাদেই ওরা চলে আসবে। আয়নাতে একবার নিজেকে দেখে নেন বিশাখা এলোমেলো হয়ে যাওয়া চুলটাকে একটু সাজিয়ে নেন। মাথার ঘোমটা টেনে নেন খোঁপা পর্যন্ত। মেয়ে সব গুছিয়ে দিয়ে গেছে কি কি পরবে। বিশাখার এক ছেলে এক মেয়ে। রূপাঞ্জন বড় আর অঞ্জলি ছোট। বারবার বলে গেছে ফটোশুট হবে তাই মা যেন ভালো করে সেজে থাকে। বিউটি পার্লারে গিয়ে ঘষামাজা করা খুব একটা পছন্দ নয় বিশাখার তবুও...

মেঘ কুয়াশার পরে

#মেঘ কুয়াশার পরে# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# আজ হসপিটাল থেকে ফেরার পথে নাম না জানা ফুলের গোছা পাহাড়ের খাঁজে ফুটে থাকতে দেখে মনটা ভালো হয়ে যায় অপূর্ণার। ওর এই অপূর্ণা নামটা কেন যে ঠাকুমা দিয়েছিলেন তা জানে না। ছোটবেলায় দু একবার জিজ্ঞেস করেছিল উত্তর পেয়েছিল ঐ অপূর্ণা নামটাই তো পূর্ণ হল তোর ভাই আসার পর। ওরা দুই ভাই বোন অপূর্ণা আর পূর্ণ। ভেবে হাসি পায় প্রথম নাতনি হওয়াতে ঠাকুমার অপূর্ণ সাধের জন‍্য ও অপূর্ণা আর ভাই পূর্ণতা এনে পূর্ণ। তবে অনিকেত ওকে শুধুই পূর্ণা বলে ডাকে। পূর্ণার আদর যত্ন নাকি ওকে সম্পূর্ণ করে রেখেছে। না হলে এক চোখ হারিয়ে আরেক চোখেই তো নিজের সম্পূর্ণ পৃথিবীটা পূর্ণা আর আনন্দর মধ‍্যে দেখে। অনেকবার বুঝিয়েছে পূর্ণা,'সেই কবে ছোটবেলায় ভলি বল খেলতে গিয়ে একটা চোখ নষ্ট হয়েছে সেই কষ্টটা এখনও ভুলতে পারনি না? আর আমি যে তোমার চোখেই আমার সম্পূর্ণ পৃথিবীর মানচিত্র আর কত এলোমেলো স্বপ্ন দেখি। তোমার ছাত্রদের মনেও তো কত স্বপ্নের প্রদীপ জ্বালিয়ে আঁধার থেকে আলোর পথে নিয়ে যাও তুমি।'        খাতাতে নতুন লেখা কবিতাটায় ভালোবাসার শেষ টান দিতে দিতে পূর্ণাকে কাছে টেনে নিয়েছিল অনিকেত। ওর ভর...