Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2023

রাজযোটক

ছোটবেলা থেকেই মায়ের কাছে সবসময় শুনতাম মেয়ে তো নয় যেন তালগাছ। ছয় বছরের মেয়েকে লোকে দশবছর বলে দেখে। আমি ভাবতাম আমি কী দোষ করেছি বাপু? তবে মাঝে মাঝে ভগবানকে খুব দোষ দিতাম যখন দেখতাম ক্লাশ ফাইভে পড়া আমিটাকে লম্বু হবার অপরাধে একদম সিনিয়ার গ্ৰুপে ফেলে দেওয়া হল স্কুলের স্পোর্টসে।      অত‍্যন্ত উদ‍্যমের সাথে দৌড় শুরু করেও নাইন টেনের বাঘা মেয়েদের সাথে দৌড়ে আমি হাঁফিয়ে পড়লাম অবশেষে আমার পজিশন প্রথমই হল তবে সেটা শেষের দিক থেকে। মা অবশ‍্য এটা বলেই আমাকে স্বান্তনা দিল বলল প্রথম তো হয়েছিস মানে শেষের দিক থেকে। আমি লজ্জা পেয়ে বললাম কী যে বল মা,আমি তো লাস্টই হয়েছি। তবে যাক কনসোলেশন প্রাইজটা শেষে আমাকে মা দিয়েছিল। আমি তাতেই খুশি হয়েছিলাম। অবশ‍্য তারপর থেকে নিজেই বুঝেছিলাম আমার দৌড়ের কতদূর দৌড় তাই আর কষ্ট করে দৌড়োতে মাঠে না নেমে মস্তিষ্কের দৌড়ে নেমেছিলাম। মাকে বলেছিলাম আমার দ্বারা দৌড়নো হবে না,আমি ভালো করে পড়াশোনা করব। যাক খেলার প্রাইজ বলতে ঐ দু একবার কলসি মাথায় ব‍্যালেন্স করে পেয়েছি। আর তাতেই খুব খুশি হয়েছিলাম।    বয়েসের থেকে বেশি লম্বা হয়ে যাওয়াতে মা আমাকে আর ওয়ানে পড়তে পাঠাননি ...

invitation list

Path bari My friend circle:  School- Kankana Moitrayee Sunanda Sharmistha Jhuma Joyeeta Banani Susmita. Mamidi Swapna di Hira di Mou das Sagarika di Tulika Ratan Bubun Bhramar Pallabi  Shila দশরথ Nandita Saha Keya Ajanta Dipak Beni Durba Nanda Rupadi Sumita di  Arati di Iladi Swapna di school. Chandrima Monojkaku Poli Sanyal ( astrologer) Dasarath Dipak. বঙ্কিম দা সুবীরদা (ফেসবুক)

নতুন গুড়

নতুন গুড়ের গন্ধে ভাসতে থাকে সুনীতির মন,আহা দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে তাতে নতুন গুড় দিয়ে কড়াইয়ে ভাসিয়ে দিতেন শাশুড়িমা সুন্দর করে গড়া অনেকটা ঝিনুকের খোলের মত দেখতে পুলি। নিজের হাতে পিঠেপুলি,পায়েস আর পাটিসাপটা করে বৌমাদের খাওয়াতে ভালোবাসতেন মা। অবশ‍্য সুনীতি নিজেও বসে পড়তেন পিঠে গড়তে শাশুড়িমার সাথে।  উনি বলতেন,'আরেকটু পাতলা করে বাটিগুলো গড়ো বৌমা না হলে শক্ত হবে।' -' মা দেখুন তো এমন হয়েছে? আচ্ছা না হলে আপনি বাটি বানান আমি ক্ষীরটা ভরে দিই।'   বাটি ভরা লালচে শক্ত ক্ষীরের পুরকে আটোসাঁটো করে চালের গুড়োর বাটিতে ভরতেন সুনীতি। পিঠে যাতে শক্ত না হয় সেইজন্য ফুটন্ত গরম জলে চালের গুড়ো সেদ্ধ করার সময় ময়দা মিশিয়ে দিতেন শাশুড়িমা। তারপর দুধের সাগরে প্রেমে ডগমগ করতে করতে ফুটতে থাকত পিঠেরা। সুনীতিরা এ দেশীয় মানে ঘটি আর শাশুড়িমা ছিলেন বাঙাল। তাঁর হাত ধরে কত রান্নাই না চেখে আর চোখে দেখেছেন। তবে সেই স্বাদ আনতে পারেননি রান্নায়। কিন্তু তিনি পরপারে চলে যাবার পরেও তাঁর ঐতিহ্য টুকু ধরে রাখার চেষ্টা করেছে প্রাণপণে। যদিও একটা সময় নিজে পাকা গিন্নী হওয়ার পর খোটাখুটি লাগলেই বলেছেন,' মা এ বাড়িতে প্রচুর ন...
রাতে ঘুম আসে না কুন্তীর মেয়েটা কাল চাকরির পরীক্ষা দিতে যাবে সেই চিন্তায়। কতদিন বাদে আবার পরীক্ষা হচ্ছে,মেয়েটা তার বড় ভালো ছিল লেখাপড়ায়। কিন্তু তাতে হলটা কী? কবে থেকে পাশ করে ঘরে বসে আছে একটা চাকরির পরীক্ষাও তো হয়নি। ওদের সাথে একই ক্লাশে থাকা অনেক ছেলেমেয়েরা এমনি বেকার হয়ে বসে মহুয়ার মতই। তবে মহুয়ার মনে খুব আশা বারবারই মাকে বলেছে," মা এবার দেখো আমার চাকরিটা হয়ে যাবেই। 

আনন্দীর আকাশ

অফিস ফেরত সেদিন জোর করেই অর্চা নিয়ে গেল ওর ওখানে। বলল, এই শোন মাঝেমাঝেই তুই শ্রী মার্কেটে আসিস জামা বানাতে দিস ব্লাউজ বানাস। আর আমার বাড়িতে আসিস না। আজ তাড়াতাড়ি ছুটি হয়েছে তোকে একদম আমাদের বাড়িতে নিয়েই যাব। একটু টিফিন করে তারপর তোর টেলারিং শপ ঘুরে যাবি। অর্চাকে না করতে পারল না আনন্দী কিন্তু বেশ একটু অস্বস্তি হল তার। তাই বলল শোন না আজ জোর করিস না আসলে আমার বরও আজ তাড়াতাড়ি ফিরবে আর আমাকে বাড়িতে না দেখলে তার মাথা গরম হয়ে যায়। এক কাপ চা আমার হাতে তাকে খেতেই হয়।    বরের গল্প দিনরাত করে আনন্দী,ওর বর এই আর সেই,ওকে চোখে হারায় আরও কত কী। অথচ ওর বাড়িতে আজ পর্যন্ত কোনদিনই নিয়ে যায়নি। কোন না কোন ছলছুতো করে এড়িয়ে গেছে। অবশ‍্য পারমিতা একদিন চুপিচুপি বলেছিল আরে নিয়ে যাবে কী বলত? আমাকে তো কিছুতেই নিয়ে গেল না,একদিন হঠাৎই ওদের পাড়াতেই দেখা হয়েছিল বলল ওকে নাকি ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তারপর ঢুকলো একটা গলির মধ‍্যে,ইশ্ ঐ গলিতে কী মানুষ থাকে নাকি? মনে হয় বাড়িঘরের অবস্থা খুব খারাপ বুঝলি তাই ডাকে না আমাদের।        বরের গল্প করে কোথায় যেন জিতে যায় আনন্দী,ওর বর ওকে চোখে হারায় বলতে ব...