Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2023

সঙ্গিনী

ট্রেনের জানলার বাইরে দাঁড়িয়ে হাত নাড়ে মিমিষা,সিগন‍্যাল হয়ে গেছে। একটু বাদেই হয়ত ছাড়বে। নামার আগে সবার আড়ালে একটা উষ্ণতার আলিঙ্গনে বেঁধে দিয়েছে শুভায়ুকে তারপর বলেছে,' খুব মিস্ করব এই দিনগুলোতে। একটুও ভালো লাগবে না আমার।' -' তাহলে এতদিনে আমার প্রেমিকার অকপট স্বীকারোক্তি পেলাম। এতদিন তো সে মোটেই আমাকে পাত্তা দিত না। মনে হত আমি কোথাও চলে গেলেই সে বাঁচে। আমি নাকি তাকে জ্বালাই,পরীক্ষার আগে পড়তে দিই না। সে এবার এম এসসি তে পাশ করতে পারবে না আমার জন‍্য এমন কত কথা..'  -' বলেছি তো,তবে আর ভালো লাগছে না এখন একমাস দেখা হবে না বলে।'  -' এইজন্যই মাঝে মাঝে বিরহ ভালো,স্বয়ং কালিদাস এই কথা বলে গেছেন।'   শুভায়ুর হাতটা চেপে ধরে মিমিষা,' বুঝেছি কাটা জায়গায় নুনের ছিটে দিচ্ছ।'    শুভায়ু হাসে তারপর বলে,' এবার আসুন ম‍্যাডাম,ট্রেনের সিগন‍্যাল হয়ে গেছে। আমিও তোমাকে মিস্ করব। তবে দেখা তো হবেই মাত্র একমাস বাদেই।'     ট্রেন ছেড়ে দিয়েছিলো,স্টেশনে দাঁড়িয়ে হাত নেড়েছিল মিমিষা। ট্রেনের দরজায় অনেকটা সময় দাঁড়িয়েছিল শুভায়ু। একটু একটু করে অস্পষ্ট হয়েছিল মিমিষা। শহরের সীমানা ছাড়ি...
কাঁধে ঢাউস ব‍্যাগটা নিয়ে মলের সিঁড়ি দিয়ে উঠছে মেয়েটা পেছন থেকে দেখে আজও চিনতে কোন ভুল হয়নি নৈঋতের। তবে অবহেলায় ফেলে আসা অতীতকে আবার নতুন করে না দেখে ফেলাই ভালো। তাই মাকে বলে,' মা এদিকে নয়,চল তোমাকে লিফ্টে করে নিয়ে যাব।'   সঞ্চিতাও মেয়েটাকে দেখছিলেন,নৈঋত মাকে খেয়ালই করেনি। তবে এবার খেয়াল করল যে মা এখনও হাঁ করে ওপরের দিকে তাকিয়ে আছে। আর হ‍্যাঁ ওকেই তো দেখছে চোখ গোল গোল করে। অথচ ওর কোন খেয়াল নেই,ভারী কোমরটাকে দুলিয়ে মাথার পনিটেল নাড়িয়ে চলে যাচ্ছে সামনের দিকে।    খুব তো বড় বড় কথা বলেছিল যে ওর অনেক বন্ধু আছে,একটা বন্ধু জীবন থেকে চলে গেলে ওর কিছু আসে না। তাহলে এই ভ‍্যালেন্টাইন ডের দিন সেই একখানা ঢাউস ব‍্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন শুনি?   মাকে এবার তাড়া দেয়,গম্ভীর গলায় বলে,' মা কী দেখছ বলত? আমি যে এতগুলো কথা বললাম তুমি কী কোনটাই শুনলে না?'    হঠাৎই মা ওর হাতটা চেপে ধরে,' ঐ যে দেখেছিস..মহুল না? আরে ঐ যে।'  -' মা কী হচ্ছে? চল ঐদিকে,হ‍্যাঁ আমি দেখেছি। তবে তুমি এবার চল। ও যদি এদিকে তাকায় তো কী ভাববে?'  -' ভাবার কী আছে? একটা সময় কত আমাদের বাড়িতে এসেছে। খুব খে...

kashmir trip

ভূস্বর্গ কাশ্মীরের আকর্ষণ বোধহয় অমোঘ তাই কয়েকবার যাওয়া হলেও বারবারই হাতছানি দেয় কাশ্মীর তার সৌন্দর্যের ডালি বাড়িয়ে। তাই দুহাজার পনেরোর পর আবার কাশ্মীরে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে আমরা ব‍্যস্ত হয়ে পড়লাম। দুহাজার এগারোতে গেছিলাম কাশ্মীর বেড়াতে আর একটু মিলিয়ে নিতে যে ছোটবেলায় বাবা মায়ের হাত ধরে যে কাশ্মীর দেখেছি তা এখনও কতটা সুন্দর। ভরিয়ে দিয়েছিল ভূস্বর্গের মনভোলানো সৌন্দর্য্য। দুহাজার পনেরোতে গেছিলাম অমরনাথ যাত্রায় আর তার সাথে ঘুরে এসেছিলাম লেহ এবং লাদাক,অভিভূত হয়েছিলাম আরেকবার। তবে এবার গিয়ে বুঝতে পারলাম এ যাওয়াই শেষ নয় আরেকবার যেতে চাই অপরূপার রূপের সন্ধানে। পরে যদি সত‍্যিই কখনও যেতে পারি তবে চুপিচুপি বলব আবার সে কথা।   আসলে কাশ্মীরের সাথে আমরা যে জায়গারই তুলনা করি না কেন তা বোধহয় ফিকে পড়ে যায়।কাশ্মীরের রূপ,রঙ আর মোহ বোধহয় সম্পূর্ণ আলাদা। কোন কিছুর সাথেই বোধহয় মেলে না এই রূপের মাধুর্য। গাছে গাছে লাল আপেল ঝুলছে,সবুজ পহেলগাও যাবার পথে বেগুনী রঙের কেশরের ফুল দেখতে দেখতে যাওয়া এই সৌন্দর্য যেমন অতুলনীয়,ঠিক তেমনি অতুলনীয় বরফ বিছানো সাদা পথের পাশে জমে যাওয়া ন‍্যাড়া গাছের সারি দেখা। অথবা ঝুরো ব...