Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2023

নর্থবেঙ্গল ট্রিপ

হঠাৎই প্ল‍্যান আর বেরিয়ে পড়া,তবে সবটাই হয়েছিল আমাদের স্কুলের পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস‍্য জয়িতার জন‍্য। দলে টেনেছিল দু একজন ছাড়া মোটামুটি সবাইকেই। আমিও রাজি হয়ে গেছিলাম। যদিও উত্তরবঙ্গ আমার ভালোবাসার জায়গা মন ভাসে মাটির গন্ধে,সবুজে ভেজে চোখ আর আমের সুবাসে মেশে ছোটবেলার গন্ধ। মালদা থেকে ভালুকা রোড পর্যন্ত প্রতিটা স্টেশনে মিশে আছে ছোটবেলার কত স্মৃতি আর ভালোবাসার কথা। জায়গার খোঁজ করতে করতে শেষ পর্যন্ত ঠিক হল তাবাকোশিতে যাওয়া হবে কারণ আমাদের হাতে সময় কম আর তাবাকোশির সৌন্দর্য অসাধারণ। চারদিকে চা বাগান ঘেরা একটা সুন্দর নিরিবিলি জায়গা। রাতে বৃষ্টির শব্দ আর রঙ্গভঙ্গ নদীর জলের আওয়াজ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। যদিও আমি গতবছর ঘুরে এসেছি তাবাকোশি তবুও এই সুযোগটা মিস্ করতে মন চাইলো না। সবাই মিলে যাব একসাথে,আর সবাই মহিলা সুতরাং এটার আবার একটা অন‍্যরকম আনন্দ আছে। জয়িতাই টিকিট কাটলো,এনজিপিতে রিটায়ারিং রুম বুক করল এবং ফেরার টিকিট বন্দেভারতে কাটলো। তাবাকোশিতে হোমস্টে ঠিক করা,গাড়ির সাথে কথা বলা সবই ও করল। বুঝলাম আমাদের সর্বকনিষ্ঠা সদস‍্যটি খুবই পারদর্শী সব ব‍্যাপারেই। আর সফর শেষেও একটা কথাই বললাম সবটাই তোর জ...

কাজল নয়না

-সত‍্যি বহ্নিদি আমার মনে হয় তোমার ঐ কাজলকালো চোখের দীঘিতে হাঁস না হলেও যদি মাছি হয়েও ডুবে যেতে পারতাম তো বেশ হত। -'ইশ্ খুব ফিচেল হয়েছিস তাই না? দাঁড়া তোর হচ্ছে। আরে আমার চোখের দীঘিতে মাছি হয়ে ডুব মারলে তো আমার চোখ দুটোই তো যাবে। তারপর মরে গিয়ে সারাক্ষণ চোখ গেল,চোখ গেল বলে কাঁদব।' -বালাই ষাট,অমন কথা বলতে নেই,তুমি এমন বললে তো সন্দীপ দা আমাকে পেটাবে। হায় রে যদি এই বান্দা ছেলে হত..তবে সন্দীপদাকে লেঙ্গী মেরে তোমাকে ইলোপ করতাম। আই লাভ ইউ বহ্নিদি।       বহ্নিদি কথাগুলো শুনে পাহাড়ি ঝর্ণার মত খিলখিলিয়ে হেসে উঠেছিল। বহ্নিদির চোখদুটোও হেসেছিল হাসির দোলায়। চোখে টানা কাজলের রেখা যেন আরও মায়াবী করে রেখেছিল চোখদুটোকে।        আমাদের পাড়াতে দুটো বাড়ি পরেই বহ্নিদিরা থাকত। এখনকার মত তখনকার পাড়া কালচার ছিল না। বেশ বিকেল হলেই আমরা জমায়েত হতাম,তাতে খেলাধুলার সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনার কথাও হত। আবার নানাবিধ চক্রান্তও হত,মানে কাদের গাছের জামরুল পেকেছে,কাঁচা আমের মাখা কাদের গাছের আমে ভালো হয় এইসব নানাবিধ গল্পও হত। ছোট থেকেই দেখেছি বহ্নিদি আমাদের টিমলিডার আবার আদর্শও বলতে পারো। তাই আ...

দাগ ভালো

'এই মিস্টিটা খেয়ে দেখুন,আমাদের কৃষ্ণনগরের একদম নামকরা মিস্টির দোকানের সরপুরিয়া।'     সুবোধবাবু একের পর এক মিস্টির সুখ‍্যাতি করে যাচ্ছেন আর প্লেট এগিয়ে দিচ্ছেন ছেলেপক্ষের দিকে। দেখছেন এরা বেশ খাদ‍্যরসিক,আয়েশে মুখে মিস্টি পুরে বলছেন,' হ‍্যাঁ সত‍্যি দারুণ। যদিও আমার সুগার তবে আপনি যেভাবে বলছেন তাতে আর না খেয়ে থাকতে পারছি না। হ‍্যাঁ তা অনেক তো খাওয়া হল এবার মেয়েকে আনুন,দিনের আলোতে মেয়েকে দেখব বলে সকাল সকাল চলে এলাম। যা দিনকাল পড়েছে,আজকাল সবাইকে সুন্দরী লাগে বুঝলেন মশাই,সবই মেকআপের জাদু।'  -' হেঁ হেঁ তা যা বলেছেন,তবে আমার মেয়ে খুব সাধারণ,মানে এই পড়াশোনা নিয়ে থাকে। অত সাজগোজের বালাই নেই। দেখলেই বুঝতে পারবেন।' -'দেখুন আমাদের আধুনিক পরিবার মেয়েরা সাজবে এটাই তো ভালো। কিন্তু ঐ যে মুখোশে আসল মুখ ঢাকা পড়ে যাবে তাতেই আমার আপত্তি। আরে বাবা যার সঙ্গে চব্বিশ ঘন্টা থাকতে হবে তাকে মুখটাই দেখানো ভালো।'     ছেলের বাবার কথা শুনে একটু দমে যান সুবোধবাবু। ভদ্রলোক পেশায় প্রধানশিক্ষক,এখনও দুবছর চাকরি আছে। ওদের একমাত্র ছেলে আজ আসতে পারেনি,হঠাৎই অফিসের ট‍্যুরে দিল্লি যেতে হয়েছে বলে...