ছোটবেলার দুর্গামন্ডপ,একচালায় ডাকের সাজের দুর্গাঠাকুর সবই এখন অতীত। মা,বাবা চলে যাবার পর দীর্ঘদিন গ্ৰামের বাড়ির পুজোর নস্টালজিক স্বাদে বঞ্চিত মন। কলকাতার থিমের পুজোর ভিড়ে মাঝেমাঝেই উঁকি মারে ছেলেবেলার সেই দিনগুলো। গ্ৰামের একটা পুজোকে কেন্দ্র করে কত হইচই আর বাড়িতে আত্মীয়স্বজনের মেলা। তারপর বিজয়া দশমীর মেলার আনন্দটুকু দুহাতে ধরে মাকে বিদায় দেবার পালা বিজয়াদশমীর মিষ্টিমুখে। দীর্ঘদিন কলকাতা শহরে থাকার সুবাদে এখন আমি মোটামুটি শহুরে,তবুও কোথায় যেন এখনও মাটির গন্ধমাখা মনটা মাঝেমধ্যেই উঁকি দেয় স্মৃতির ঝাঁপি নিয়ে। ছুটে যেতে ইচ্ছে করে একছুট্টে ছোটবেলার দিনগুলোতে। কিন্তু সময় বড় কঠিন,যা যায় তা যায়ই আর ফেরত আসে না কখনও। তবুও আমরা অনেক কিছু হারিয়ে ভালো থাকতে শিখে যাই,অনেক কষ্ট আর কান্নাকে লুকোতে শিখি হাসিমুখে। তাই নাইবা হল গ্ৰামের সেই দিনগুলো ফেরত পাওয়া,দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালে ক্ষতি কী? কর্তার উদ্যোগেই আমরা দুজনে আজ বেরিয়েছিলাম ডাব্লুউবিটিসির বাসে গ্ৰাম বাংলার ঠাকুর দেখতে ধান্যকুড়িয়া আর আড়বালিয়াতে। সকাল আটটায় এসি বাস ছাড়ল ধর্মতলা ট্রামডিপো থেকে। বাসে ওঠার কিছুটা বাদে এলেন পরিবহনমন্ত্রী তিনি য...