#ভালো_থেকো_মা#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#
হয়েছে মা? দেখি---
'মা একটু খোলো দরজাটা', ট্রায়াল রুমের দরজায় নক্ করে তিন্নি। খুলছি দাড়া। তিন্নির সাথে আজ আবার শপিং মলে মেখলা, তিন্নির মা, ওর বেষ্ট ফ্রেন্ড। সদ্য যৌবনে পা রেখেছে তিন্নি, এখন তার মন প্রজাপতির মত রঙ্গীন ছটফটে।
মেখলাও খুশী হয় তিন্নিকে দেখে, আবার যেন নিজেকে দেখতে পায় তিন্নির মধ্যে। খুব ভালো লাগে তিন্নিকে দেখে এমন ছটফটে মেখলাও ছিলো শুধু তিন্নির মত এতটা সাহস ছিলোনা।
তিন্নি সাহসী স্পষ্টবক্তা কখনও বা অবাধ্য। তবু মেখলার একমাত্র বন্ধু তিন্নিই। তিন্নিই তো মেখলাকে শিখিয়েছে আবার নতুন করে বাঁচতে।
তিন্নির কাছে মেখলা শিখেছে বয়স বলে কিছু হয়না, সব বয়সে নিজেকে সুন্দর রাখা যায়।
আয়নায় নিজেকে দেখে ভালই লাগে মেখলার আবার বেশ লজ্জাও করে, বিয়ের পর থেকে শাড়ীই তো পরেছে। তাই আবার এতদিন বাদে আবার ফিরে দেখা নিজেকে। জানিনা সুদীপ্ত আবার কি বলবে। সত্যি ! তিন্নি টা না--
তিন্নি হেসে বলে ওয়াও! কি দারুণ লাগছে গো মা , এতদিন কোথায় লুকিয়ে রেখেছিলে নিজেকে? লজ্জা পেয়ে যায় মেখলা। মায়ের হাসিমুখটা দেখে মনের মধ্যে হাজার বাতি জ্বলে ওঠে তিন্নির। মাকে আর কষ্ট পেতে দেবেনা তিন্নি। মনে মনে বলে ,' তোমার সব না পাওয়া আমি তোমায় দেবো মা। ' শুধু পারবোনা ফেলে আসা সময় টুকু ফিরিয়ে দিতে। ইস্ সত্যি যদি পারতাম!
তিন্নি তাড়া দেয় ,' চলো মা এখনো অনেক কিছু কেনা বাকি, তোমার জন্য সুন্দর কানের দুল, স্লিপার। মেখলা হেসে ফেলে,' ওরে পাগলি , এই বুড়ি টাকে নিয়ে পরলি কেন? তোর ড্রেস টা কিনে নে আগে।
তোমায় কত বলেছিনা নিজেকে বুড়ি বলবেনা, এমন বললে একদম আড়ি করে দেবো।রিমা আন্টি কে এখনও কি ভালো লাগে বলতো?ওরে রিমা কত সুন্দরী, আমি কি আর তেমন?নিজেকে তো কখনও দেখলেই না , তুমি যে কত সুন্দর!
আমার মা সবচেয়ে সুন্দর, একদম দ্য বেষ্ট। তাই নাকি? প্রাণখুলে হাসতে থাকে মেখলা। তিন্নি বলে ওহ্! এই হাসিটাই ধরে রেখো মা।
দুই অসমবয়সী বন্ধু আজ পাখনা মেলেছে, মেখলা আর তিন্নি। মা কি খাবে বলো? আমি কিন্তু বিরিয়ানি খাবো। তুমি খাবে তো? বাবার জন্য ও নিয়ে নিচ্ছি , ওকে।বাবা এলে মাইক্রো ওভেনে গরম করে দেবো। মেখলা আদর করে বলে আমার পাকু বুড়ির কত বুদ্ধি।
রেস্তোরায় বসে আনমনা হয়ে যায় মেখলা।
মেখলার মনে পড়ে যায় সেই দিনগুলোর কথা বাইশ পেরোতেই বিয়ে হয়ে যায় মেখলার , বাপের বাড়ীতে আদরে মানুষ হলেও শ্বশুর বাড়ীতে এসে মেখলা বুঝেছিলো একরাতে অনেক বড় হয়ে গেছে সে। স্বাধীন হওয়া তো দূরের কথা অনেক বেশি পরাধীন হয়ে গিয়েছিলো।
এখন ভাবলে রাগ হয়, তখন কোন কিছুই বলার মত সাহস ছিলোনা যখন বিয়ের পরদিন ননদ দের আদেশে দুই কাজের লোকের পায়ে আলতা পরিয়ে দিতে হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মেখলাকে। মেখলা তখন ওদের গুরুজন মনে করে কোন কিছুই মাথায় আনেনি।
বাধ্য মেয়ের মত সব কিছুই মেনে নিয়েছিল মেখলা তবে বেশি বাধ্য হওয়াও মনেহয় ভালোনা, আর এই জন্যই বোধহয় কাজের লোকেদের নানা অত্যাচার হয়েছিল মেখলার নিত্যসঙ্গী।
সংসারের কাজে অপটু মেখলার সারাদিনই ভয়ে ভয়ে কাটতো এই বুঝি কোন ভুল করলো। সংসারে শাশুড়ি না থাকায় সবাই নাক গলাত মেখলার নতুন সংসারে। মেখলা ছিল সবার সমালোচনার খোরাক।
কেন যে মেখলা এত খারাপ হয়ে গেছিলো সবার কাছে এখনও ভাবলে অবাক লাগে। হয়ত তখন জানতোনা সংসারের কূটকচালি। বা কাজের লোক হয়ত নিজের প্রাধান্য কমে যাবে বলে মেখলাকে একটু একটু করে খারাপ করেছিলো সবার নজরে।
ভয়ে টেনশনে কখনও বা মেখলার হাত থেকে পরে ভাঙতো চিনির বয়াম। কখনও বা হাত পুড়ে যেতো আবার কোনদিন বা তরকারি কাটতে গিয়ে কাটতো হাত। খারাপ রুটি বানানোর জন্য প্রতিদিন প্রায় বকুনি জুটতো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডী পেরনো মেখলা এক সময় ভুলতে বসেছিলো , তার গান, আবৃত্তি,তাৎক্ষনিক বক্তৃতা,ছবি আঁকা সব কিছু।
আজ বারবারই মনে হচ্ছে সুদীপ্তর সাথে ওর বিয়ের পর প্রথম দীঘা বেড়াতে যাওয়ার দিনটার কথা। বেড়াতে যাবার আগের দিন সুদীপ্ত একটা সালোয়ার কামিজ এনে দিয়েছিল। ভোরবেলা বাড়ীর সবাই যখন ঘুমিয়ে তখন মেখলা আর সুদীপ্ত বেরোয়। সবার নজর এড়ালেও কাজের লোকের কাছে ধরা পরে যায় মেখলা।
আর পরদিন যখন ফিরে এসেছিল তখন সুদীপ্ত কে অনেক কথা শুনতে হয়েছিল বাবা আর বোনের কাছে মেখলাকে শালোয়ার কামিজ পরিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। মেখলাকেও শুনতে হয়েছিল সে কতটা র্নিলজ্জ। তারপর থেকে মেখলা তার ছোট ছোট খুশি আর আনন্দগুলোকে ঝাঁপি বন্ধ করে দিয়েছিল।
আজ তিন্নি সেই বন্ধ করা ঝাঁপির ঢাকনাটা খুলে দিয়েছে আবার এত বছর বাদে।
দুজনের কেউ সেদিন কোন প্রতিবাদ করতে পারেনি। মেখলা র প্রথম বিয়ের তারিখের দিন কেন যে ননদরা অশান্তি করেছিলো তা বোঝেনি সে। হয়ত সুদীপ্ত তাকে গয়না গড়িয়ে দিয়েছিল সেই কারণে।
সেদিন রাতে মেখলার আর সুদীপ্তর খাওয়া হয়নি, অপমানিত হয়েছিল মেখলার মা বাবাও। চোখের জলে বালিশ ভিজতে ভিজতে কখন যেন মেখলা ঘুমিয়ে পরেছিলো।
কি হলো মা? হরিয়ালি কাবাব গুলো খাও, তোমার পছন্দ বলে এক প্লেট নিলাম। আহ্ বেশ লাগছে বলো খেতে। দারুণ রে। তবে তুমিও কাবাব টা দারুণ বানাও তাইনা? মেখলা হাসে, ' তাহলে বাইরে খাচ্ছিস কেন শুনি?
তোমায় রিলিফ দিলাম মা, প্রতিদিন ই তো রাঁধো আজ না হয় একটু রেষ্ট নিলে। মেখলা কে জড়িয়ে ধরে তিন্নি।
নানা ভাবে সবার কাছে হেনস্থা হয়েও কখনও জীবনের থেকে মুখ লুকিয়ে থাকেনি মেখলা। কতই বা মাইনে পেত সুদীপ্ত তখন, সংসারে সবটুকু দিয়েও মন পেতোনা । তার ফলে মেখলার কপালে জুটতো খাবার খোঁটা। ওদের কে মাঝেমাঝেই বাড়ী থেকে চলে যেতে বলতেন শ্বশুরমশাই।
মেখলা ছেলেমানুষ হলেও অবুঝ ছিলোনা কখনো সুদীপ্তকে বলেনি আমায় নিয়ে চলো এখান থেকে। কখনো চায়নি সে তার জন্য সুদীপ্ত ভুলে যাক শেকড় কে। সুদীপ্ত সহানুভূতি জানালে সবসময় বলতো,' আমি সব সামলে নেবো, দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে একদিন।
সত্যি সব ঠিক হয়েছে তবে সময় লেগেছে অনেক বছর। কিন্তু মেখলা সাহস হারায় নি।
মেখলা এখনও বিশ্বাস করে ভালো কাজ আর সঠিক পথে চলা অনেক আনন্দ এনে দেয় জীবনে। তবে তিন্নি ওগুলো মানেনা। তিন্নি বলে অধিকার কেড়ে নিতে হয়।
এই যে মম কোথায় হারিয়ে গেলে? খাবার টা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো।
কি সব হিজিবিজি ভাবো মা? সত্যিরে আর ভাববোনা। বাহ্ বেশ ভালো বানিয়েছেরে। ভাগ্যিস আমার পাকু বুড়ীটা ছিলো, তাই তো আবার আমি ম্যাজিক স্টিক টা পেলাম।
সুদীপ্ত অফিস থেকে এসে বলে খুব ঘুরে বেড়াচ্ছিস মাকে নিয়ে আমাকে বাদ দিয়ে , তারপর কি করলি শুনি? তিন্নি বলে, মা বাবা কে ড্রেসটা পরে দেখাও না। লজ্জা পায় মেখলা, ওরে বাবা পরে পরবো। না না প্লিজ মা।
মেখলা কে নতুন সাজে দেখে সুদীপ্ত খুশীই হয় ,বেশ মানিয়েছে তো তোমাকে। চল্লিশ পেরনো মেখলাকে এখনও সুন্দর দেখতে হয়ত বা এখন আগের থেকেও বেশী আকর্ষণীয় , কারণ এখন মেখলার বুদ্ধি আর ব্যক্তিত্ব ওকে করেছে অনন্যা।
সুদীপ্ত মনে মনে শ্রদ্ধা করে মেখলাকে। মেখলা লজ্জা পেয়ে বলে আর কি করবো বলো, পরেছি তিন্নির হাতে।
উপভোগ করো মেখলা জীবন। তোমায় তেমন ভাবে কিছুই তো দিতে পারিনি। অনেক না পাওয়া কে মিটিয়ে নাও তিন্নির হাত ধরে।
সত্যি মেখলা কখনও থামেনি। ভোরবেলা উঠে উনুনে আঁচ দিয়ে রান্না করে মেখলা বেরতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ওখানকার পুরো পড়াশোনা শেষ করে। বি এড এর কোর্স টাও করে নেয় মেখলা। বাড়ীতে অশান্তির ভয়ে সংসারের কাজ যতটা পারতো করে রাত জেগে পড়তো মেখলা।
যাতায়াতের ভাড়া বাঁচিয়ে কখনও বা কিনতো রঙের বাক্স, ফেব্রিক কালার।তাই দিয়ে ছোট ছোট স্বপ্নের আঁচড় কাটতো মেখলা। কখনও বা ক্লাশের ফাঁকে বসে লিখতো কবিতা গল্প।
বাইরের বাধা বিপত্তি হাসিমুখে পার হয়েছে মেখলা সব সময় এক আকাশ স্বপ্ন চোখে নিয়ে।
তবুও ঝড় উঠেছিল মেখলার জীবনে যখন একদিন ধরা পড়েছিল একটা টিউমার মেখলার শরীরে বেড়ে উঠছে যেটা ম্যালিগন্যান্ট।এক মূহুর্তে সব আলো নিভে গিয়েছিলো মেখলার জীবন থেকে। হয়ত মেখলার দেখা স্বপ্নেরাও হারিয়ে যেতে বসেছিলো।
সুদীপ্ত কে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলো মেখলা, শুধু বলেছিলো তিন্নির জন্য আমায় বাঁচতে হবে , আমি লড়াই করবো শেষ পর্যন্ত।
মেখলা র চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলো সুদীপ্ত। পর পর কেমো নিয়ে উঠে গিয়েছিলো মেখলার সুন্দর চুল গুলো। তিন্নি ব্লান্ট কাট করে দেয় মেখলাকে। বলে মা, ছোট চুলে তোমায় কি মিষ্টি লাগছে মা।
মেখলা হেসে বলতো তাই নাকি রে? কান্নায় বুজে আসে তিন্নির গলা। মেখলার গলা জড়িয়ে বলে ',
আমার সোনা মা'
প্রায় দুবছর লড়াই করে মেখলা। তিন্নি মায়ের দিকে তাকাতে পারতো না। এর মাঝেই মেখলার জীবনে এলো একটুকরো খুশীর ঝলক। জয়েন্টে খুব ভালো র্যাঙ্ক করলো তিন্নি। মায়ের গলা জড়িয়ে বললো, তোমায় ছেড়ে আমি দূরে কোথাও পড়তে যাবোনা মা। আমি না থাকলে তোমায় কে দেখবে?
কান্নায় গলা বুজে আসে মেখলার, ওরে পাগলি আমি তো এখন অনেকটা ভালো, তুই নিজের ভবিষ্যত নষ্ট করিস না। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবার তিন্নি , আমি যাবোনা মা। মেয়েকে শান্ত করার জন্য এবার তিন্নির মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে মেখলা। বলে ,ওরে তোর ছেলেমেয়েদের না দেখে আমি যাবোনা।
মায়ের কোলে মুখ গুজে তিন্নি বলে তাই যেন হয় মা।
তিন্নি কলকাতাতেই খুব ভালো কলেজে ভর্তি হয়ে যায়। মেখলা তিন্নির দিকে তাকিয়ে ভাবে সেদিনের পুঁচকে তিন্নি কত বড় হয়ে গেছে। এখন ডাক্তারি পড়ছে। জোরে শ্বাস ফেলে মেখলা এক চিলতে শান্তির শ্বাস। ভাবে এবার নিশ্চয় সব ভালো হবে।
একদিন সুদীপ্ত আর তিন্নিকে কথা বলতে দেখে , ওদের কাছে গিয়ে বসে মেখলা। তিন্নি বাবা আর মাকে একসাথে জড়িয়ে ধরে বলে, বাবা এবার বলো'। সুদীপ্ত আর তিন্নির যেন আজ খুশি ধরেনা। অনেকদিন বাদে মেখলার খোলা জানলায় আজ রামধনুর রঙ।
সুদীপ্ত বলে , তুমি এখন পুরোপুরি সুস্থ মেখলা ডক্টর বলেছেন। শুধু মাঝে মাঝে রুটিন চেক আপ করলেই হবে। আমরা জিতেছি মেখলা। তোমার স্বপ্নেরা আবার পাখা মেলবে নীল আকাশে।
অন্ধকার কে ভয় পেলেও পথ হারায়নি মেখলা। খুব যত্ম করে লুকিয়ে লুকিয়ে স্বপ্নকে লালন করে রেখেছিল সবার আড়ালে। মন ভালো করার হাজার দাওয়াই ছিলো মেখলার ঝুলিতে। মন খারাপ হলে আরও বেশি কাজের মাঝে ডুবে যেত মেখলা।
মিথ্যে হয়নি মেখলার স্বপ্ন, তিন্নি বড় হবার পর একটু একটু করে মেখলা এগিয়ে গেছে। রান্না করতে এখন আর মেখলার হাত পুড়ে যায় না। ইন্ডিয়ান, চাইনিজ ,কন্টিনেন্টাল কি রান্নাই না পারে এখন মেখলা। এককালে যাকে ননদরা কুরূপা বলত সেই মেখলা এখন ঝকঝকে স্মার্ট কিছুটা নিজের চেষ্টায় আর অনেকটাই তিন্নির জন্য।
অসুখ থেকে সুস্থ হওয়ার পর মেখলা বোঝে জীবন বড়ই ছোট, ফুস করে জীবন প্রদীপ নিভে যেতে পারে যে কোন সময়। তাই মেখলা আর নষ্ট করতে চায়না একটি মূহুর্তও। জীবনের স্বাদ নেয় চেটেপুটে।
মেখলা এখন একটা এন জি ও চালায়। তার পাশাপাশি সুন্দর করে সংসার করে। মেখলার দেখা স্বপ্ন গুলো সাজিয়ে দিয়েছে ওই বাচ্ছাগুলোর মধ্যে আর তিন্নির চোখে।
তিন্নিই মাকে ফেসবুক আর হোয়াট্স আ্যপে আ্যকাউন্ট খুলে দিয়েছে। সেখানে পুরনো অনেক বন্ধুদের খুঁজে পেয়েছে মেখলা।
সারাদিন যে কিভাবে কেটে যায় বোঝেনা মেখলা। বন্ধুরা মেখলাকে খুব পছন্দ করে ওর পজিটিভ আ্যটিটিউড এর জন্য। আর মিষ্টি ব্যাবহারের জন্য। আজ মেখলা অনেক বেশি সুন্দর তার ব্যক্তিত্বে।
তিন্নির মন ভরে যায় মাকে মূল স্রোতে ফিরতে দেখে।
কিন্তু তবুও আজ আবার মেখলার মনে মন খারাপের হাওয়া, বেষ্ট ফ্রেন্ড কে ছাড়া কি করে বাঁচবে মেখলা?
মায়ের মন খারাপ দেখে তিন্নি বলে ,'আমার মিষ্টি খুকুমনি মা,তবে কি আমি এম ডি করতে দিল্লী যাবোনা? তুমি যা বলবে তাই হবে।
হেসে ফেলে মেখলা,'ইস্ কত বাধ্য মেয়ে আমার! নারে সোনা তুই যা, পাখা মেলে দে আকাশে।
মাত্র তো তিনটে বছর তারপর আমি কলকাতায় প্র্যাকটিস্ করবো মা।
তুমি ভালো থেকো মা। মেখলা চোখ ভর্তি জল নিয়ে হেসে ফেলে ,'ওরে ভালো থাকার মন্ত্র তো তোর কাছেই শেখা। তাই আমাকে তো ভালো থাকতেই হবে।
আনন্দে দুই চোখে জল এসে যায় তিন্নির। মেখলার গলা জড়িয়ে বলে, ' আমার মিষ্টি সোনা মা খুব ভালো থেকো।'
Comments
Post a Comment