Skip to main content

#সাথে_থেকো_গোপাল#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

গ্ৰামের বড় বাড়ির বৌ ওরা আমার মা আর জেঠিমা। জেঠিমা বড় বৌ,অনেক কম বয়সে সংসারের হাল ধরেছিলো। রান্নাবান্নার হাতেখড়ি হয়েছিলো আমার ভোজনরসিক ঠাকুরদার কাছে। পোলাও,মালপোয়া,পিঠে,ক্ষীর,পটলের আনারকলি সবই ঠাকুরদা চেয়ারে বসে নিজের তত্ত্বাবধানে শেখাতেন। সে এক দিন ছিলো.. বাবার চাকরিসূত্রে আমরা বাইরে থাকতাম মাঝে মাঝে উৎসব অনুষ্ঠানে সবাই হতাম এক জায়গায়। পিসিমারাও আসতো,ভাইবোন মিলে প্রায় পনেরো জন। শুধু মজাই মজা। অন্নকূট,নবান্ন,দুর্গাপূজা,পৌষসংক্রান্তি,জন্মাষ্টামী সবই হত ধূমধাম করে বাড়িতে। মা,জেঠিমা,কাকিমা কর্তামা সবাই ব‍্যস্ত হয়ে পড়ত নারকেল নাড়ু,পিঠে,মালপোয়া,ক্ষীর বানাতে। ক্ষীর বানানোর হাত কর্তামার ছিলো অসাধারণ।  খড়ির উনুনে লোহার কড়াইয়ে বসিয়ে বানানো হত ক্ষীর। অনেকদিন দেশের বাড়ির কোন অনুষ্ঠানে যাওয়া হয়না,যেতে পারিনা হয়ত আর সেই এসন্সটা পাইনা। খুব মনে হয় আমার জ‍্যাঠামণি,বাবার কথা। আমাদের যাওয়ার কথা থাকলে বাবা স্টেশনে নিতে আসতেন। আজও ঐ স্টেশনগুলোতে চোখ রাখলে বাবাকে দেখতে পাই। জ‍্যাঠামণি বসে থাকতেন আমাদের বাড়ির মিলের বারান্দায়,চশমাপরা ব্যাকব্রাশ করা দীর্ঘ চেহারার উজ্জ্বল হাসিমুখের আন্তরিকতা আজও কাঁদায় মনকে স্মৃতির অনুরণনে। পরের দিকে আমাদের বাড়ির বড়গেট দিয়ে ঢোকার মুখেই এসো জামাতা বাবাজীবন বলেই হাসিমুখে করতেন এক আন্তরিক অভ‍্যর্থনা। বাড়িতে ঢোকার মুখে সবাই অপেক্ষা করতো আবার যেদিন চলে আসতাম সেদিনও বিদায় জানাতো সবাই। আজ বড় মনে হচ্ছে জন্মাষ্টমীর কথা,কত আয়োজন আর কত ব‍্যস্ততা সবার। নিষ্ঠাভরে হত ভোগের আয়োজন লুচি,সুজি,রসকরা,পোয়া,তালের বড়া,পায়েস। ঠিক রাত বারোটায় পূজো হত। আমরা ঘুম চোখে উঠে যেতাম। তখন পূজো করতেন আমাদের বয়স্ক নিত‍্য পুরোহিত নিতাই ঠাকুর। এখন ওনার ছেলে পূজো করে। ভোগ নিবেদন,সংকীর্তনে অংশগ্ৰহণ করতো বাবা কাকারা। আসতো আমাদের অন‍্যবাড়ির কাকা কাকিমা আর ভাই বোনেরাও। সে এক অনন‍্য অভিজ্ঞতা আর আনন্দ। আজকাল খুব মনে হয় ভালো দিনগুলো এত তাড়াতাড়ি চলে যায় কেন কে জানে? আমাদের বাড়ির প্রতিষ্ঠিত বিগ্ৰহ গোপাল গিরিধারী। এখনো কোন সমস‍্যা হলে মনেপ্রাণে ডাকি তাকে। আজও তোমার কথা বড় বেশি মনে হচ্ছে গোপালঠাকুর। মনে হচ্ছে বাবা,জ‍্যাঠামণি,দাদু কর্তামার কথা। ভাই বোনেরা সবাই ছিটকে পড়েছি এক এক দিকে আমরা, হয়ত নেই সেই বন্ডিংও। বড় একা লাগে আজকাল আমার জনকোলাহল মুখর কলকাতা শহরের ফ্ল্যাটবন্দী জীবনে। এক সময় ঘন্টা বাজিয়ে লম্বা বারান্দায় বসে একসাথে খেতাম আমরা সবাই,ছিলো অফুরান হাসাহাসি আর মজা। উৎসব অনুষ্ঠানে দিদিরা দিতো আলপনা গাঁথতো মালা। গোপালঠাকুর তুমি আছো তেমনি শুধু আজ অতীত হয়ে গেছে আমার কিছু প্রিয়জন। অত বড় বাড়িতে এখন আছেন কাকা কাকিমা আর এক ভাই আর ভাইবৌ। সবসময় বলি যারা আছে তাদের তুমি ভালো রেখো। গতবছর গিয়ে পেয়েছিলাম জেঠিমাকে,গেট দিয়ে ঢুকে দরজাটা খোলা পেয়েছিলাম। হয়েছিলো অনেক কথা ছবিও তুলেছিলাম। ঐ ঘরটায় কাটিয়েছি ছোটবেলার অনেকগুলো দিন জ‍্যাঠামণির আদরে আর দিদিদের সাথে। এখন ঐ ঘরটাও বন্ধ,সত‍্যি বার্ধক‍্য এক অভিশাপ। সব থাকলেও মানুষ একলা থাকতে পারেনা তাই আমার জেঠিমাও একলা থাকতে না পেরে ছেড়েছে ভিটে একসময় যেখানে এসেছিলো আদরের বৌমা হয়ে। সব ছেড়ে চলে গেছে ছোটছেলের কাছে বাইরে। উঠে গেছে দিদিদের বাপের বাড়ি। আমারও যাত্রা সেই পথেই। বাবা চলে যাবার পর ভালো লাগত না বাপের বাড়ি যেতে,মায়ের জন‍্য যেতাম। মা অসুস্থ তাকে রেখেছি নিজের কাছে সুস্থ করার জন‍্য চেষ্টা করছি আপ্রাণ। আচ্ছা গোপালঠাকুর তুমি তো চিরশিশু তাহলে আমাদের বাবা মায়েদের আদর পাবার দিনগুলো এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল কেন বলতে পারো কি? ওদের আরো কিছুদিন ভালো রাখতে পারতে তো? ওরা তো তোমায় একনিষ্ঠ ভক্তিতে পূজো করে গেছে সারাজীবন।
আজ তোমায় বড় দেখতে ইচ্ছে করে জন্মদিনে কি খাবে কেমন সাজুগুজু করবে সব জানতে ইচ্ছে করে। আমার মা তো এখানে বসেই তোমায়  দেখছে আর সবসময় তোমার কথাই ভাবছে। সবাইকে তুমি ভালো রেখো ঠাকুর কাউকে কষ্ট দিয়োনা।

সমাপ্ত:-



#ষষ্ঠীতে_নষ্টালজিয়া_শ্রীর#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

পাশের বাড়ির নীতা আর সুদীপ না! বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখে শ্রী। বাহ্ কি সুন্দর লাগছে দেখতে নীতাকে! একঢাল চুল আজ আর ছাড়েনি,গরমে লম্বা বিনুনী বাধা,গয়না আর শাড়িতে খুব সুন্দর লাগছে। লাল সাদা ঢাকাইয়ে খুব স্নিগ্ধ লাগছে ওর সাজটা,সঙ্গে সুদীপের পাঞ্জাবীটাও একদম পারফেক্ট ম‍্যাচ। ওহ্ এখন বোধহয় ঢাকাই কাজের পাঞ্জাবীও বেড়িয়েছে। কি সুন্দর সব মিক্স আ্যন্ড ম‍্যাচ করে বিক্রী করে বুটিকগুলো, সত‍্যিই অনন‍্য লাগে দেখতে এখনকার কর্তা গিন্নীদের। সাজগোজ করে বাপের বাড়ি যাওয়ার মজাটাই আলাদা। একসময় ওরও এমনটাই ছিলো,বাপের বাড়ি যাওয়া মানে একটা বিরাট ব‍্যাপার একদম কু ঝিক ঝিক করে চলে যাওয়া তো! কত গোছগাছ, আরো কত কি। কেনাকাটা আর তোড়জোড় তারপর সারাক্ষণ ট্রেনে বসে সবুজ দেখতে দেখতে একদম বাপের বাড়ির দেশে যাওয়া। বাবা যথারীতি হাজির হতো স্টেশনে,ট্রেন স্টেশনের কাছাকাছি এলেই দরজার কাছে ঝুঁকে দাঁড়ালেই দেখা যেতো,ধুতি পাঞ্জাবী পরা এক দীর্ঘদেহী মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। একমুখ হাসি,দূর থেকে দেখা যেতো বাবাকে। এখনো ঐ স্টেশনগুলো পার হলে মনে হয়,ঐ তো দাঁড়িয়ে থাকতো ওখানে বাবা। সাদা পাঞ্জাবীতে একদম ঝকঝক করতো চেহারাটা,একশোজনের মাঝে আলাদা করে চেনা যেতো। না না আজ সে সব শুধুই স্মৃতি,এক অদ্ভুত নষ্টালজিয়া।
      শ্রীর বাপের বাড়িতে ষষ্ঠী নেই,আছে শুধু খাওয়া দাওয়া আর পাওনা গন্ডা মানে প্রাপ্তির আনন্দ। মা যদিও এখনো বলে," তোদের জন‍্য কিছু কিনে নিস ষষ্ঠীর জন‍্য।" সেই কেনাটাকেও বড্ড বেশি অপ্রয়োজন বলে মনে হয় আজকাল তাই ফোনেই কথা হয়ে যায়," তুমি দেখেছো তো মা কত শাড়ী আর ড্রেস আমার। এ জীবনে বোধহয় শেষ হবেনা পরে। আর ইচ্ছে করেনা কিনতে।"......মা ওপাশ থেকে বলে," অল্প কিছু টুকটাক কিনলে পারতিস তো। " আসলে মনগুলোও ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে সময়ের সাথে সাথে। আগে কতসময় কেটে যেতো শাড়ি আর ইমিটেশনের দোকানে ঘুরে ঘুরে এখন মনে হয় এতো কি হবে? শ্রী মনে মনে বলে," আমিও বোধহয় তোমার মতই হয়ে যাচ্ছি মা,তোমার আলমারিতে যেমন কাঁথাস্টিচ ,ঢাকাই আর চওড়া লালপাড় শাড়িগুলো যেগুলো তোমার একসময়ের খুব পছন্দের ছিলো কিন্তু প্রাণে ধরে পরোনি। সেগুলো ন‍্যাপথলিনের আর ওডোলিনের গন্ধে হাঁপিয়ে উঠে বলে একটু বেরোতে দাও আমাদের। " চাহিদাগুলো একটু করে কমছে আমারও।
        আনমনা হয়ে যায় শ্রী একলা ছোট্ট বারান্দাতে দাঁড়িয়ে ভাবে,একসময় গরমের ছুটি মানেই ছেলেমেয়েদের নিয়ে একদম লম্বা ছুটিতে বাপের বাড়ি। ধীরে ধীরে সময় কমতে লাগলো আর এখন তো ছেঁড়া তারে সুরই বাজেনা ভালো করে। বাবার সেই ভালোমন্দের যোগাড় করা মাছ কেনা,আম কেনা। মানে খাটের তলা বোঝাই আম আর ইয়া বড় কাঁঠাল সব এনে হাজির করা,খেতে খেতে হাঁপিয়ে ওঠা একদম। ক্ষীর করো,পায়েশ করো,পোলাও করো। মা ও মেতে উঠতো রান্নায়। আসলে মানুষের জীবন থেকে একটু একটু করে কমছে আনন্দ,তাই হয়ত অনলাইনে আনন্দ খোঁজা। তবে ছোটবেলার স্মৃতি,সেটা বোধহয় সত‍্যিই অমূল‍্য। অনেক না পাওয়ার মাঝেও এতোটা পাওয়া।
            ষষ্ঠীপূজো শ্রীর দাদুর বাড়িতে হতো ঘটা করে,ধ্বংসস্তূপের মধ‍্যে দাঁতবার করা ওর দাদুদের পুরোনো বাড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখছিলো গতবার যখন গিয়েছিলো ওখানে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঠাকূর দেখার আর লোক দেখার মজাই ছিলো আলাদা। ষষ্ঠী মানেই সকাল থেকে হৈ চৈ ব‍্যাপার,দিদারা সব জায়েরা মিলে করতো পূজো। মাটির কি সুন্দর ষষ্ঠীঠাকুর আর তার ছানাপোনা এমন কি পুসি বেড়ালটাও দিদা কি সুন্দর বানাতো। ওদের আবার নাকে নথ পরানো হত। পিঁড়ে পেতে উঠোনে বসতেন মা ষষ্ঠী ছানাপোনাদের নিয়ে বটগাছের ডাল পোঁতা হত তার তলায়। সামনে ছোট্ট পুকুর কাটা হতো। কিই যে মজাই না হত। বাড়িতে ছিলো অনেক মামা মাসি তাদের সাথে সকাল থেকে একেবারে নির্ভেজাল আনন্দ আর মজা। ছোট্ট করমচার থোকা আর দূর্বার গুছি পাখার সাথে লাগিয়ে দিদা একটা অদ্ভুত প্রার্থনা করতো পাখার বাতাস দিয়ে ষাট,ষাট,ষাট একশো টাকার মাইচ বা কিছু একটা বলতো। কতরকমের ফল যে আসতো উৎসবকে কেন্দ্র করে। আর বাবা গেলেই দিদারা উলু দিয়ে স্বাগত জানাতো মাথায় ঘোমটা দিয়ে।
   বাবাদের বাড়িতে যেহেতু ষষ্ঠী ছিলোনা,বুঝতাম বাবাও খুব উপভোগ করতো এই জামাই আদর। আর তার সাথে জামাকাপড়ের পাওনা তো ছিলোই। সামান‍্য কিছুতেই অনেক খুশি হতে দেখতো তখন সবাইকে।
           বাড়িগুলো সব ভেঙে গেছে,উৎসব এখনো হয় তবে হয়ত আলাদা আলাদা করে ষষ্ঠীতলায় বা মন্দিরে পূজো দিয়ে। যুগের সাথে ছুটে হাঁপিয়ে যাওয়া মানুষ এখন বড়ই ক্লান্ত আর আত্মকেন্দ্রিক তাই ঐ অমলিন আনন্দগুলো বাড়ির উঠোন বা ছাদ থেকে মিলিয়ে গেছে বা একটু একটু করে ছোট হয়ে চলে এসেছে হাল ফ‍্যাশনের হোটেলে খাওয়া বা একদিনের হোমডেলিভারিতে। হঠাৎ হঠাৎ খুব নষ্টালজিক হয়ে পড়ে শ্রী,আজো হয়ত তেমন একটা দিন। গতবছর জামাইষষ্ঠীর এসেন্সটা হঠাৎই পেয়েছিলো অনেকদিন বাদে পিশির বাড়িতে,বাবা চলে যাওয়ার পর এক অন‍্য স্বাদবদল। আম,কাঁঠালের গন্ধে আর বোন ভগ্নীপতিদের সাথে মজা করে ভাইবৌয়ের যত্নে খুব সুন্দর কাটিয়েছিলো একটা দিন।
       যারা গেছে তারা তো আর ফিরবেনা কোনদিন আম কাঁঠালের স্বাদগুলো আর উৎসবের দিনগুলো স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে মনের মণিকোঠায়। ভালো থাক স্বদেশে বিদেশে সবাই,উৎসবের বাহানায় একছাদের তলায় জমায়েত হওয়া হাসিমুখগুলো অম্লান থাক ভালোবাসার আর ভালোলাগার আনন্দে।
       ফেসবুক আর হোয়াটসআ্যপের বিজয়া,জামাইষষ্ঠী আর নববর্ষ মিলিয়ে দিক সবাইকে। হোকনা একটু আনন্দ আর হাসি বা কুশল বিনিময় মা,বাবা,ভাইবোন আর আত্মীয়দের সাথে। এই যাঃ পুরোনো কথা ভাবতে ভাবতে শ্রীর মনে হোলো ওরও তো অনেক কাজ এই উইকএন্ডে খাওয়া দাওয়া আর গেট টুগেদার ননদ ননদাইদের সাথে। শ্বশুরমশায় চলে যাবার পর নির্ভেজাল আড্ডা আর আনন্দের একটু অছিলা। মতান্তর আর মনান্তরে সম্পর্কগুলোকে নষ্ট না করে একটু যত্নে ধরে রাখা। আসুক পূজো জামাইষষ্ঠী এভাবেই ঘুরে ফিরে,পেটপূজো আর মনের খোরাকে ভালো থাক সবাই।

সমাপ্ত:-

#শ্রেষ্ঠত্ব_প্রমাণের_জন‍্য_ধর্ষণ!#

পুরুষ তোমরা রক্ষক,কখনো পিতা,কখনো ভ্রাতা কখনো বা স্বামী,একথা কেউ অস্বীকার করেনা। যদিও তোমায় একদিন পৃথিবীর আলো দেখিয়েছিল প্রসব যন্ত্রণা সহ‍্য করে দশমাস দশদিন গর্ভে বহন করে কোন না কোন  নারী। তবুও তোমার স্বীকার করতে লজ্জা হয় কখনো কখনো নারী শ্রেষ্ঠা,নারী প্রকৃতি আর নারীই শক্তি। কই নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে তো কোন নারীকে পুরুষের ওপর অত‍্যাচার করতে হয়না আর সেখানেই পরাজিত তোমরা পুরুষ। কিছু পুরুষ কলঙ্কের কালি মাখিয়ে দেয় সমগ্ৰ পুরুষসমাজের মুখে। আমরা এগিয়ে যেতে পারছিনা,মেয়ে হয়ে এগিয়ে যাবে? মেয়ের মা বাবা কন‍্যার গর্বে বুক ফুলিয়ে হাঁটবে তা কিছুতেই হতে দেওয়া যাবেনা। মেধায় তুমি শ্রেষ্ঠ হতে পারোনা মেয়ে আমাদের সবার মাথার ওপরে তুমি টপার তাহলে ছেলেগুলোর কি হবে? বুদ্ধি তোমার বেশি কিন্তু এসো দেখি শক্তিতে পারো কিনা আমাদের সাথে আর তা পারবেনা জেনেই হরিয়াণার টপার মেয়েটিকে কলেজের ছাত্ররা তুলে নিয়ে গেল। চাষের জমিতে ফেলে একের পর একজন ধর্ষণ করে বোঝাতে চাইল এখনো তুই অবলা নারী,তোর টপার হয়ে প্রাইজ নেওয়া গর্বিত মুখটা আঁচড়ে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে আবার প্রমাণ করলাম সমাজ এগোয়নি আছে সেই মধ‍্য যুগেই যেখানে কৃতদাসী প্রথা ছিলো। ছিঃ ছিঃ ধিক্বার জানাই এমন সমাজকে যেখানে পুরুষদের কম নম্বর পাওয়া কালো মুখগুলোকে লুকাতে হয় নারীর শরীরে। এখনো যে দেশে গাড়ির ড্রাইভার মেয়ে হলে দুবার ফিরে তাকাতে হয় বা বলতে হয় ওহ্ মেয়ে চালাচ্ছে তো তাই এমন অবস্থা। বা মেয়েদের নিয়ে লেখালেখি হলে বলা হয় যত সব নারীবাদীর দল। সরকারের শ্লোগান এক এক রাজ‍্যে এক এক রকম কোথাও বেটি বাঁচাও কোথাও বা শিক্ষাশ্রী আর কন‍্যাশ্রী। আচ্ছা ধর্ষকশ্রী বা কাপুরুষ ধর্ষক বলে কোন খেতাব থাকলে কেমন হত? যা বেশ ফলাও করে দেওয়া হত। সত‍্যিই তো এরা কাপুরুষ আর মানুষের শরীরে নরাধম কীট। আরে মানুষের বাচ্চা হলে তো রেজাল্টের জবাব রেজাল্টে দিত, বারোজন চোদ্দজন মিলে একটি মেয়েকে নেশাচ্ছন্ন করে ধর্ষণ করত না। আসলে এর থেকেই প্রমাণিত পুরুষ কতটা দূর্বল তাই তাদেরকে আড়ালে ধর্ষণ করে বা নারীর শরীর মনকে অপমান করে ,অত‍্যাচার করে, আহত করে বোঝাতে হয় আমার ক্ষমতা আছে এই দেখো আমি তোমাকে আমার থেকে শ্রেষ্ঠ হতে দেবনা। আজ প্রতিবাদে সরব হয়ে বলি পুরুষ তুমি সত‍্যিই বিপন্ন,মেরুদন্ড তোমার সত‍্যিই দূর্বল তাই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন‍্য তোমায় ধর্ষক হতে হয়েছে। এই রোগ বড় ছোঁয়াচে,যাদের এখনো এই রোগ হয়নি তারা প্রতিবাদ করুন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন‍্য। সম্মানে থাক নারী না হলে পক্ষাঘাতগ্ৰস্ত আধমরা সমাজ এগোবে কি করে? পশ্চিমবঙ্গের সরকার হোক বা দিল্লী হরিয়াণার সরকারই হোক মুখে বড় বড় বুলি বন্ধ করে এক একটা করে ধর্ষকশ্রীদের ধরে তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব‍্যবস্থা করুন। এই নরাধম ক্লীব মেরুদন্ডহীন পশুগুলো বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় কি করে? নিজেদের পুরুষত্বের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে ধর্ষণ কলেজ ছাত্রীকে! আবার বলি ছিঃ ছিঃ ছিঃ,পুরুষ তোমরা হেরে যাচ্ছো।

সমাপ্ত:-

         

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...