Skip to main content

চোখের বালি


#চোখের_বালি#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

আলতো হাতে রিতমের চুলগুলো এলোমেলো করে দেয় আয়েষা। ওর হাতের লাল ঝিরি ঝিরি চুড়িগুলো টুং টাং আওয়াজে বাজতে থাকে। এই শব্দটা বড় প্রিয় রিতমের তাই ইচ্ছে করেই মাঝে মাঝে বড় কাছে চলে আসে ওর আর আয়েষা যেই সরিয়ে দেয় মুখটা লজ্জায় লাল করে অমনি টুংটাং,রিমঝিম কত রকম যে শব্দ।
           ইশ্ আর ভালো লাগেনা,কবে যে তোমায় কাছে পাবো একদম নিজের করে। রাগসঙ্গীতের মূর্ছনায় ডুবে যেতে যেতে একদিন ওকে দেখেছিলো মাথা নিচু করে জল তুলছে। তখনি প্রথমে নজর পড়েছিলো ওর নিটোল হাতে সবুজ সোনালী চুড়িগুলো। পরে জেনেছিলো ও উস্তাদজীর মা মরা ভাগনি,এখন থেকে পড়াশোনার জন‍্য মামার বাড়িতে থাকবে ।
        রিতমের লাভ আ্যট প্রথম দেখা। মানে প্রথম দেখাতেই মন কেড়ে নিয়েছিলো আয়েষা। একবারও মনে হয়নি জাতপাতের কথা। গুরুজী তো ওর কাছে ভগবান তাই আয়েষাকেও ঐ ভগবানের অংশ বলেই মনে হয়েছিলো। মাঝে মাঝেই রেওয়াজের সময় গলা শুকিয়ে যেত ওর। আয়েষার ডাক পরতো। গুরুজী আপনভোলা হলেও আয়েষা কয়েকদিন দেখেই বুঝেছিলো ছাত্রটি দুষ্টুর শিরোমণি আর তাই ঠকাস করে নামিয়ে যেত বড় একটা বোতল আর গ্লাস। নে যত খুশি জল খা এবার,ব‍্যাস একদম জব্দ। তবুও পারেনি আয়েষা ভালোবেসে ফেলেছিলো পাগলটাকে। আসলে ওদের কলেজেই ভর্তি হয়েছিলো আয়েষা ফার্সট ইয়ারে,রিতমের তখন ফাইনাল ইয়ার। ওখানেই আনাগোনা করতে করতেই চেনাশোনা আর মন দেওয়া নেওয়া।
....' মামু কিছুতেই মেনে নেবেনা আমাদের তুমি দেখো। আর আমার আব্বাজান মামুকে ছাড়বে নাকি? তুমি আর এসোনা আমার সাথে দেখা করতে। আমি কলেজ করে বাড়ি চলে যাবো।'
....' ভালোবাসায় আবার জাত কি এষা,এই তো এক রক্ত তোমার আর আমার। সেদিনই তো দেখলাম ব্লাড দেওয়ার সময়।'মামু তো অবাক হয়ে গেছে আমি ব্লাড দিয়েছি বলে। আসলে বুদ্ধিটা তো তোমার।'হাসে আয়েষা,মুগ্ধ হয় রিতম সত‍্যি অদ্ভুত নিষ্পাপ সুন্দরী ও কোন সাজগোজ নেই অথচ চোখ ফেরানো যায়না মুখের থেকে।
     ঈদের দিন সুরমা টেনেছিলো চোখে রিতম মজা করে বলেছিলো,' এ রেশমি জুলফে ও সরবতি আঁখে।'..'এই যে মামু জানে তুমি ফিল্মের গান গাও আমি বলে দেবো এবার।'..'আরে না না গাইনা,মনে এসে গেলো ঐ চোখ দেখে।'
                    চাকরি পেয়েই রিতম বাড়িতে বললো আয়েষার কথা। ক্ষেপে গেলেন বাবা মা আর দুই দাদা,'ছি ছি শেষে বামুনের ছেলে মুসলমানকে বিয়ে করবে! হায় ভগবান আমরা মুখ দেখাবো কি করে?'..অবাক হল রিতম সবাই শুধু নিজেদের মুখ দেখানোর কথাই ভাবলো। ওর মনটা বুঝলোনা। 'তাহলে আমি কি করবো বাবা?আয়েষাকে তো আমি বিয়ে করবোই।'..' নির্লজ্জ ছেলে! বিয়ে যদি করো তাহলে এখানে আর কোনদিন আসবেনা।'
          মেনে নিলেননা গুরুজীও,'শোন আমি গান শেখাই। নিজের ভাগনি ছাত্রকে বিয়ে করছে আর আমি ইন্ধন দিচ্ছি। একথা শুনলে আর কে আসবে এখানে গান শিখতে?' শেষে রিতম আয়েষাকে নিয়ে ঘর বাঁধলো নিজের শহর ছেড়ে আরেক শহরে ওর কাজের জায়গায়। তবুও ভাঙলোনা ওর প্রেম,যত্নে বুকের কাছে টেনে নিয়ে আয়েষাকে বললো,'আমি আছি এষা,পারবোনা দুজনে দুজনকে ভালোবেসে সুখের বাসা বাঁধতে।'
          নিজেদের অনভিজ্ঞতায় নিজেদের মত সুখ আর খুনশুটি নিয়ে কাটলো ওদের দিনগুলো। আয়েষার চোখের সুরমা আরো গাঢ় হলো রিতমের প্রেমে। রিতম ডুব দিলো ওর গাঢ় কালো চোখে। আদরে ভিজিয়ে দিলো বেদানা লাল ঠোঁটদুটো। সারারাত কান পেতে শুনলো চুড়ির রিনিঝিনি। কাটতে থাকলো দিনগুলো,একদিন আয়েষাই বললো,'এই যে শুধু প্রেমে ডুবে থাকলে হবে?আমাদের তো ভালো থাকতে হবে। ভাবছিলাম আমিও যদি কিছু করি তাহলে সংসারটা ভালো করে চলবে।'..রাগ করে রিতম,'সুখ খুঁজতে গিয়ে আমরা হারিয়ে যাবোনা তো এষা। আমার রোজগার যদিও কম তবুও তো চলে যাচ্ছে এষা।'..স্বামীর বুকে মাথা রাখে এষা,' আকাশে উড়ে সেই তো ফিরবো আমরা সুখের নীড়ে। তুমিই তো বলতে মেয়েদের কিছু একটা করা দরকার।'
        ট্রেনিং শেষ করে হসপিটালে চাকরিটা হয়ে গেলো আয়েষার। আয়েষা এখন অনেক বেশি ঝকঝকে আর স্মার্ট। রিতমেরও ভালো লাগে ওকে দেখে। সংসারে এসেছে সুখের সাথে স্বাচ্ছন্দ‍্য। শুধু আয়েষার মনে এক ব‍্যাথা,ওকে কেউ মেনে নিলোনা,সবার কাছেই ওরা ত‍্যাজ‍্য কেউ ওদের চায়না। মনে পড়ে রিতমের মায়ের মুখটা অনেকটা ওর আম্মুর মতই কিন্তু ওর দিকে ফিরেও তাকায়নি মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলো। আচ্ছা মায়েরা সবাই একরকম হয়না কেন?
             রিতম আনা মা বাবার ছবিটা মাঝে মাঝে দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ও,গুরুজনদের অসন্তুষ্ট করে ওদের বিয়ে হয়েছে। সব যেন ভালো হয়।
  মাঝে কেটে গেছে বেশ কয়েকটা বছর মা হয়েছে আয়েষা,এসেছে ওদের ফুটফুটে মেয়ে রিষা। নামটা রিতমের দেওয়া ওদের দুজনের নাম মিলিয়ে। হসপিটাল সংসার ভালোবাসার মানুষ নিয়ে আয়েষার এখন পরিপাটি সংসার। সুন্দর করে গুছিয়ে সবটা সামলায় নিজের হাতে। রিতম বলে,'মায়ের ভাগ‍্য খারাপ এমন বৌ নিয়ে ঘর করতে পারলোনা।'..রিতমের আর কোন যোগাযোগ নেই বাড়ির সাথে,ওর বাবাই বলেছিলেন দিব‍্যি দিয়ে যে আজ থেকে ও মৃত।
                     সেদিন হসপিটালে খুব কাজের চাপ অনেকগুলো খারাপ পেশেন্ট ভর্তি হয়েছে। ওষুধের ট্রেটা নিয়ে পেশেন্টদের বেডের কাছে গিয়ে ওষুধগুলো রেখে যাচ্ছে আয়েষা। ইশ্ বেশ খারাপ দুজন পেশেন্ট, ড্রিপ চলছে। হঠাৎই কানে আসে,'জল একটু জল।' মনটা কেমন যেন হয়ে যায় আয়েষার জল তো এখন দেওয়া যাবেনা,আয়াকে ডাকতে যায় মুখটা একটু ভিজিয়ে দেবার জন‍্য। কিন্তু কাকে দেখছে ও,খুব কাছে এগিয়ে যায় দেখার জন‍্য। পেশেন্টের নামটা দেখে,খুব চেনা। মুখটা মুছিয়ে দেবার জন‍্য হাত বাড়ায়, না না একি করছে ও..ও যে বিধর্মী। এটা হয়না,মাসিকে ডেকে সরে যায় ওখান থেকে। জানতে পারে অনেক সমস‍্যা নিয়ে উনি ভর্তি হয়েছেন বাড়ির লোক এখানে দিয়ে দায় সেরেছে। কখনো এসে একবার উঁকি দেয়। সেদিন রাতে নাইট ডিউটি ছিলো ওর তাই হয়ত একটু বেশিই নজর রাখলো। পরমাদি বললেন,'কি রে চিনিস নাকি?'...'আমার আম্মুর মত দেখতে তাই গো দিদি।'
         এক ঝলক দেখে চিনতে পেরেছিলো আয়েষা ওর শাশুড়িমাকে। কিন্তু কি চেহারা হয়েছে ওনার,ওনার কপালে সিঁদুর নেই তার মানে..সত‍্যি মানুষ কত নিষ্ঠুর বাবার মৃত‍্যুসংবাদটাও ওদের দেয়নি।
               বাড়ি এসে রিতমকে বলে সবটা,ওরা জানতে পারে মা এখন দাদার কাছে ওরাই এনে ফেলে গেছে এই হাসপাতালে। দূরত্বের অজুহাতে আসেও না ঠিকমত। আয়েষা নীরবে সেবা করে যায় ওর শাশুড়িমায়ের সবার অজান্তে। শুধু কখনো জল দেয়না,এখন উনি একটু ভালো,কথা বলেন। সেদিন আবারও উনি জল চান,আয়েষা বলে,' একটু অপেক্ষা করুন আমি মাসিকে ডেকে দিচ্ছি। '..' তুমি দাওনা ডাক্তার দিদি।'...মুখটা কঠোর হয়ে যায় আয়েষার,'আমি মুসলমান মা,আপনার জাত যাবে।'...বিষাদের ছোঁয়া খেলে যায় ওনার চোখে,' ডাক্তারের আবার জাত কি মা?' ততক্ষণে এসে পড়েছে ওনার আয়া সরে যায় আয়েষা শুধু ভাবে এমনটা যদি দশবছর আগে হত।
         রিতম অভিমান করে আছে এখনো আয়েষাই ওকে বোঝায় মা কতটা অসুস্থ ওর উচিত মান অভিমান ভুলে একবার অন্তত কাছে যাওয়া। মায়ের ঋণ কখনোই শোধ হয়না,ওর মা নেই তাই ও বোঝে। আশ্চর্য হয়ে যায় রিতম এতোটা বড় মন আয়েষা পেলো কি করে? আসলে একটু ভালোবাসা পাবার জন‍্য মেয়েটা হয়ত নিজের সাথে বোঝাপড়া করে চলেছে। ' তুমি বলেছো মাকে,তুমি আমার স্ত্রী যার মুখও মা ভালো করে দেখেনি সেদিন।'..' না বলিনি,কি হবে ওনাকে কষ্ট দিয়ে হয়ত ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেবে।'
                 পরদিন আয়েষা যায়না হসপিটালে রিতম যায়। ' মা কেমন আছো?'..চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে প্রমীলার সামনে দাঁড়িয়ে ছোটছেলে একটু আশ্রয়ের জন‍্য এসেছিলো একদিন। সেই পাপেই হয়ত শাস্তি পাচ্ছেন এখন,সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।...' মা এই নাও ওষুধটা খেয়ে নাও।'আয়া মাসি এসে দাঁড়ায়। 'তোমাদের ডাক্তার দিদি কই?ঐ তো ওষুধ দেয়।'...'ও সিস্টারদি আজ ছুটি নিয়েছে।'
          মায়ের কথা শুনে হাসে রিতম,সত‍্যি বোধহয় আয়েষা ম‍্যাজিক জানে। তাই আর না বলে পারেনা,'কার কথা বলছো মা?'..'ঐ যে ফরসা মত,মুখটা খুব মায়াবী। আমাকে খুব যত্ন করে। '...'আচ্ছা মা ও যদি তোমার ছেলের বৌ হয়,তাহলেও কি ওর হাত থেকে ওষুধ খাবে?'
     অবাক হয়ে ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে প্রমীলা।'সত‍্যি মা,ওই তো সেই মুসলিম মেয়েটা যাকে আমি বিয়ে করেছিলাম বলে তোমরা আমায় ত‍্যাজ‍্য করেছিলে।'...প্রমীলার চোখের জল অনেক কথা বলে যায়। রিতম বিকেলে এসেছে রিষা আর আয়েষাকে নিয়ে। বৌমার মাথায় আশীর্বাদের হাত রাখেন প্রমীলা,মুখে বলতে পারেননা আমায় ক্ষমা কোরো। আয়েষার কাছে এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি।
        জীবনের শেষ তিনমাস রিতমের কাছেই ছিলেন প্রমীলা,দাদারা বেঁচেছিলো দায়িত্ব এড়িয়ে। প্রমীলার চোখের বালি সেই অপয়া মুসলমান মেয়েটা কখন যে চোখের মণি হয়ে গিয়েছিলো বুঝতেই পারেননি। অনেক না পাওয়ার মাঝেও প্রমীলার মধ‍্যেই পেয়েছিলো আয়েষা ওর আম্মুকে যখন উনি পরম নির্ভরতায় ওষুধ,জল আর খাবার খেতেন ওর হাত থেকে। দেরিতে হলেও বুঝেছিলেন প্রমীলা আয়েষাই তার সেরা বৌমা যাকে তিনি পায়ে ঠেলেছিলেন।

সমাপ্ত:-

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...