Skip to main content

শ্রীচরণে শু

#শ্রীচরণে_শু#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

সেদিন ড্রয়ার ঘাঁটতে ঘাঁটতে কয়েকটা খাম দেখে মনটা হঠাৎই মেঘের পালকে ভর করে উড়ে গিয়েছিলো পঁয়ত্রিশ বছর আগে কল্লোলবাবুর।কাকলির লেখা প্রথম চিঠি বিয়ের পর পরই বাপের বাড়ি থেকে। সম্বোধন শ্রীচরণেশু...তাতেই যদিও বোল্ড আউট হয়ে  গিয়েছিলেন,তবুও দীর্ঘ পনেরো দিনের বিরহের পর যখন দেখা হয়েছিলো চিঠিটা আদরে বুকপকেটের ভেতর থেকে বার করে বলেছিলেন," বানানটা শ্রীচরণেষু, শ্রীচরণেশু নয়। দেখো আবার,আজই এসেছি সবে.. তাই শ্রীচরণে শু মানে জুতো দিয়ে চলে যেতে বোলোনা। স্বামীর বাহু বন্ধনে লজ্জায় জিভ কেটেছিলো কাকলি।
    কাল রাতে চিঠিগুলো পড়ার ফলেই মনে হয় ভোরের দিকে একটা মিঠে স্বপ্নে মনটা আবেশে মেখেছিলো। হঠাৎই একটা আওয়াজ শুনলেন প্রথমে ভাবলেন বসন্তকাল তো নিশ্চয় কোকিল ডাকছে কুহুস্বরে। তারপর মনে হলো,ভোরবেলা তাই কাকগুলো বোধহয় গলা সাধছে।ঘুমে জড়ানো গলায় বলে ওঠেন," একটু ঘুমোতে দে বাপু কা কা করিসনা।"..আচমকা একটা ঠ‍্যালা খেয়ে ঘুমের বারোটা বাজলো,ওরে বাবা এতো কাক কোকিল কোনটাই নয় মানে কাকলি।"সারা রাত নাক ডেকে জ্বালিয়ে মারলে আবার ভোরের বেলাও শান্তি নেই। তখন থেকে নাকও ডাকছে আবার বিড়বিড় করে বকছেও।আর আমি কাক? কা কা করি? আজ তোমার হচ্ছে।"..একুশের কাকলিকে দেখে কুপোকাৎ হয়েছিলেন পঁচিশের কল্লোল। আহা আহা কি মেলবন্ধন কল্লোল আর কাকলি। একদিন তো ভুল করে কাজ করতে করতে আপিসের খাতায় কল্লোল+কাকলি লিখে খুব বকুনি খেয়েছিলেন বড় সাহেবের কাছে। সারা আপিসে চাউর হয়েছিলো ব‍্যাপারটা, কল্লোল আর কাকলি ওহ্ হেব্বি মাখো মাখো প্রেম একদম রাজযোটক। কি মিস্টি গলায় না তখন কথা বলতো কাকলি,আর হবেই না বা কেন কাকলি মানে তো পাখির ডাক। সেই কুহুতান শুনে কল্লোলের মনের ঢেউ আছড়ে পড়তো প্রেমের গভীর সাগরের তীরে। সারা বছর জুড়েই শুনতেন কুহু কুহু কোকিলের কলতান।
         তবে চিরদিন কারো সমান যায়না,কাকলি মানে এখন আর পাখির ডাক নয় মানে ফাটা ঢোল,না না ফাটা কাঁসি অথবা পাখি হলেও  দাঁড়কাকের আওয়াজ ছাড়া কিছুই ভাবা যায়না।
   "এই যে ওঠো তো,দেখি কে আজ তোমায় চা খাওয়ায় অত রসিয়ে দেখছি। মুখ হাত পা ধুয়ে হাঁটতে যাও,নির্ঘাত আবার সব কিছু হাই হয়েছে তাই নাকও হাই হাই করে ডাকছে। হবেনা বাড়িতে শুয়ে বসে থাকা আর ভালোমন্দ খাবারের অর্ডার মারা।"..মিউ মিউ করেন কল্লোলবাবু বললেন,"তা তুমি যাবেনা হাঁটতে। চলো একসঙ্গে হেঁটে আসি তোমারও তো হাঁটু ব‍্যাথা।"
..." এই যে আমার কথা তোমায় ভাবতে হবেনা,আমি হাতিবাগানে যাবো। সেলের বাজারে একদিনও যাওয়া হলোনা। আর কি মাস তো শেষ প্রায়। ওখানেই হেঁটে নেবো। আর তুমিও যাবে আমার সাথে। প্রত‍্যেকবার অফিসের দোহাই দিয়ে কেটে পড়ো এবার তা হচ্ছেনা।এখন তো রিটায়ার করেছো।".." উফফ্ আমাকে নিয়ে আবার টানাটানি কেন। ঐ ঘুরে ঘুরে সায়া ব্লাউজ কেনা আমার পোষাবেনা।"..."তাই নাকি,শুধু সায়া ব্লাউজ,তোমার কিছু কিনিনা? গেঞ্জি,জাঙিয়া,রুমাল,মোজা,বারমুডা সবই তো আমাকেই কিনতে হয়। সে বেলা?"
          বেগতিক দেখে তেল মারেন কল্লোলবাবু," তুমি হচ্ছো গিয়ে আমাদের কান্ডারী। মানে আমাদের মেয়েরা তো এখন বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে, তাই শুধু আমার ইয়ে মানে ত্রাতা,দাতা,গ্ৰহীতা সবই তুমি তাই এইটুকু যদি না করো।"তেলেও আজকাল ভেজাল তাই কাজ হলোনা তেমন, অগত‍্যা কাকলিকে নিয়ে না মানে ওনাকে নিয়ে কাকলি বেরোলোই। সঙ্গে লম্বা লিস্টি মোটামুটি সারা বছরের বালিশ পাশবালিশের ওয়াড়,বিছানার চাদর,ঠাকুরের জামা,পূর্ণিমার শাড়ি থেকে কাপড় মেলার ক্লিপ,মগ,সেপটিপিন,দড়ি না না গলায় দেবার নয় কাপড় ঝোলানোর। এই সব করে সারা হাতিবাগান চষে ফেললো কাকলি,কে বলবে রাতে শুয়ে হাঁটু ব‍্যাথায় উঃ আঃ করে। মেয়ে জামাইদের কথা বলতেই বললো," ওদের টাকা দিয়ে দিয়েছি বাপু যা খুশি কেন বাপু।".."সে কি তুমি কোথায় টাকা পেলে? আমি তো এখনো অফিসের পুরো টাকাটা পাইনি বললাম এবার একটু টেনে চলো।"
     মুখে একটা লম্বা হাসি হেসে বললো কাকলি সেই বিয়ের আগের মত মিস্টি গলায়," ও আমি ম‍্যানেজ করে ফেলেছি।"..হাতে দড়ির বান্ডিল,বগলে বিছানার চাদর আর ব‍্যাগভর্তি জিনিস নিয়ে মুটে গিরি করেও কাকলির দিকে তাকিয়ে মনটা কেমন যেন ভিজে গেলো কল্লোলবাবুর সত‍্যিই এতবছর ধরে এই মানুষটাই তো ওনাকে,মেয়েদের আর এই বাড়িটাকেও সুন্দর করে ম‍্যানেজ করে টিকে আছে। " তুমি কিছু কিনলেনা,শুধু ঐ একশোর সায়া আর দেড়শোর নাইটি!"আত্মতৃপ্তির হাসি ঝরে পড়ে কাকলির মুখে," সায়াগুলো বেশ হয়েছে না? শাড়ি তো কত পড়ে আছে নতুন মেয়েরা দেয়। আর যাই বা কোথায়?"..কল্লোল কি এই বসন্তের শেষে একটু বেশিই রোমান্টিক হয়ে গেছেন কাকলির হাসিমাখা মুখটা দেখে? তাই মন চাইলো বলতে,"আমার জন‍্যও তো একটু সাজতে পারো।" নাহ্ অতটা সাহস হলোনা তাই বললেন," চলো আজ বরং পরোটা আর কষামাংস খেয়ে বাড়ি যাই। মনে আছে একসময় হাতিবাগানে এলেই এখানে খেতাম। স্মৃতির পেলব মাখন আরো বেশি স্বাদ ছড়ালো নরম পরোটা আর নষ্টালজিক কষা মাংসে। রাতে আজ একটু কাকলিকে কাছে টানতে ইচ্ছে হলো কিন্তু যা জবাব পেলেন তাতে অগত‍্যা পাশবালিশই ভরসা।
" এই তো বেশ ঘুমিয়ে পড়েছিলে আবার কি হলো?পাশে জল রাখা আছে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। মাংস খেয়েছো শরীর খারাপ করবে।"...কি করে বোঝাবেন আজ জল নয় একটু চুমু খেলে ভালো হত অথবা মন চাইছে কাকলির আদরমাখা স্পর্শ নিতে। ধ‍্যাৎ যাচ্ছেতাই মহিলা একটা! নিজে উঠে ঢকঢক করে জোয়ানের আরক আর জল খেয়ে ওনার মুখেও ঢেলে দিলো দু চামচ। তারপর মুখে একটা হজমি গুলি দিয়ে বললো," এটা চুষতে চুষতে ঘুমিয়ে পড়ো পাশ ফিরে, নাহলে আবার নাক ডাকবে।"
                মাঝে কেটে গেছে নীলপুজো আর চৈত্রসংক্রান্তি পর্ব। ঘরদোর ঝেড়ে আর সাবুমাখা খেয়ে কাকলি একটু মিইয়ে পড়েছে। অবশ‍্য তান্ডব বন্ধ হয়নি দরকার হলে শুধু আলমারি,দরজা জানলা কেন তোষক পাপোশ সবই জলে চুবিয়ে ঘষে ফেলে।
                       পয়লা বৈশাখের দিন সকালে ঘুম ভাঙতে একটু দেরিই হয়ে যায় কল্লোলের চমকে পাশ ফেরেন কই কাকলি তো আজকে ডাকলোনা?  বিছানাতেও তো নেই কোথায় গেলো? তাড়াতাড়ি উঠে বাইরে এসে বুঝলেন কাকলি বাথরুমে। যাক্ নিশ্চিন্ত হয়ে পাশবালিশ ধরে আবার চোখ বুজলেন অনেকদিনের অভ‍্যেস কাকলির ডাকে মানে দাঁত খিঁচুনিতে ওঠা। বিয়ের প্রথম প্রথম ব‍্যাপারটা খুব ইয়ে ইয়ে মানে অপুর সংসারের মত ছিলো আরকি এখন মোটামুটি... ওঠো,হাঁটো আর ফাইফরমাশ খাটো।
                     একটা পরিচিত গন্ধে চোখটা খুললেন,লাল পাড় ঢাকাই অগোছালো ভাবে গায়ে জড়িয়ে এলো চুলটা মুছে সিঁথিতে সিঁদুর আঁকছে কাকলি। মনটা কেন যেন এলোমেলো হয়ে যায় কল্লোলবাবুর,এখনও কাকলিকে দেখলে কখনও কখনও বুকে ঝড় ওঠে তাহলে। কিন্তু আজ কাকলি ডাকলোনা কেন? বুঝতে পারলেন পুজোর ঘরে যাচ্ছে কাকলি অনেকটা সময় কাটাবে ওখানে। আস্তে আস্তে উঠে মুখ হাত পা ধুয়ে স্নানটাও সেরে নেন। সারা বাড়িতে তখন চন্দনের গন্ধের মিস্টি ছোঁয়া,ধূপ জ্বালিয়েছে কাকলি। পূজো সেরে একটু চমকেই যায় স্বামীকে দেখে কাকলি তসরের পাঞ্জাবী পায়জামা পরে একদম ফিটফাট।"কোথাও বেরোবে নাকি তুমি?একটু দাঁড়াও।"প্রতিবারের মত যত্ন করে একটা প্রণাম করে নেয় স্বামীকে আজও,বহুবছরের অভ‍্যেস এটা। যদিও মেয়েরা হাসাহাসি করত বলত,"পতি পরম গরু..তবে বছরে দুতিনটে দিন গরু থেকে গুরু হয়ে যায় তুমি পারো বটে মা!"
                 আজ  কল্লোলবাবুর আবার নতুন করে কাকলির হাতদুটোই ধরতে ইচ্ছে করলো। যত্নে হাতদুটো ধরে বললেন," কয়েকদিন আগে পাওনা টাকাটা ব‍্যাংকে এসেছে তাই তোমার জন‍্য এটা।"..খুশিতে হয়ত বা একটু আলতো ভালোবাসার ছোঁয়ায় চোখটা ভিজে যায় কাকলির," অমৃতপাকের বালা! এর তো অনেকটা দাম!".. মনে ছিলো সেই দিনগুলোর কথা যখন কাকলির সব গয়নাগুলোই মোটামুটি শেষ দুই মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে। হাতের বালাদুটো ওজন করার সময় নাড়াচাড়া করেছিলো অমৃতপাকের বালা নিয়ে বলেছিলো," দেখুন তো এই বালাদুটোর কেমন দাম হবে?"..দাম শুনে বলেছিলো," এত দাম! আচ্ছা পরে না হয় একটা কিনবো। খুব সুন্দর ডিজাইনটা।"..কিছু না বললেও মনটা ভারী হয়ে গিয়েছিলো কল্লোলবাবুর নিজের অক্ষমতায়। ঐ বালা কিনে দেওয়া তো দূরের কথা উল্টে কাকলির বিয়ের বালাটাও তো রাখতে পারলেন না। তাই বললেন,"তোমার ঐ হাতদুটো যে তার চেয়েও অনেক দামী কাকলি, কত যত্নে লড়াই করে আগলে রেখেছো দুইহাত দিয়ে দশভূজার মত এই সংসারটা। চলো আজ একটু দক্ষিণেশ্বরে যাই মায়ের দর্শন করে আসি।"
        সত‍্যি আজ আর না করতে পারেনা কাকলি মনে মনে ভাবে মানুষটার হলো কি? চুলটা খোঁপা করে হাল্কা সাজে কাকলি। ছোট লাল বাটিকের বটুয়াটা হাতে নিয়ে বেরোবে বলে জুতোটা খোঁজে। কোথায় গেলো জুতোটা বেরোনোর সময় যত ঝামেলা,নিশ্চয় পূর্ণিমার কাজ!
       হাসতে হাসতে এগিয়ে আসেন কল্লোল," এই যে দেবী শ্রীচরণে শু দিয়ে আসুন তাড়াতাড়ি।"..অনেকদিনই ভেবেছে কাকলি পায়ে ব‍্যাথার জন‍্য এই জুতো কিনবে কিন্তু তা আর হয়নি দোকান থেকে দাম শুনে বেড়িয়ে এসে বলেছে," বাবা বলে কি এরা এত দাম!"
                যত্নে জুতোয় পা রাখে কাকলি,সত‍্যিই কি নরম আর আরাম। আজ মনে পড়ে গেলো এ বাড়িতে প্রথম দুধ আলতার থালায় পা দিয়ে ঢোকার কথা। হঠাৎই শুনতে পান," শ্রীচরণে শু দিয়ে এসো তো তাড়াতাড়ি। এখনও যে অনেকটা পথ হাঁটতে চাই এভাবেই পাশাপাশি।"হাসি আনন্দ আর ভালোবাসার খুনশুটিতে কল্লোল আর কাকলির সাথে হয়ত এভাবেই নতুন বছরে পা রাখবো আমরাও নতুন আশা নিয়ে।
সমাপ্ত:-
                         
            

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...