Skip to main content

অনুভবে সুখ

#অনুভবে_সুখ#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

"আজকাল কি আর রান্নাবান্নায় মন দাওনা আগের মত নাকি?আর হবেই না বা কেন যত নষ্টের গোড়া তো ঐ ফোনটা। দেখছি তো সব,ফেসবুক করতে গিয়ে কখনো ভাত পুড়ে যাচ্ছে। কখনও রুটি ঝলসে যাচ্ছে।"...একুশ বছরের বিবাহিত জীবনে বহুবার এমন কথা শুনে শুনে আর উত্তর দিতে ইচ্ছে করলোনা সোনালীর। অবশ‍্য এর অনেককিছুই ঐ ইন্টারনেট মানে যেটা নষ্টের গোড়া সেখান থেকেই শেখা। 'নিস্তব্ধতা কখনও বলে যায় হাজার কথা,যদি সত‍্যিই তুমি চেনো আমার চোখের ভাষা তবে হয়ত বুঝে নিতে মনের লুকোনো ব‍্যাথা।'এমন কত কথাই পড়ে ওখানে। তবে একুশের পুরোনো দাম্পত্যে অভ‍্যস্ত প্রবীর সোনালীকে সয়ে বেঁচে আছে ওর অভ‍্যেসে। তাই সুখ পেতে পেতে এতটাই অভ‍্যেস হয়ে গেছে কখনও অগোছালো অনিয়মিত সোনালীকে দেখতে ভালো লাগেনা ওর। আর হবেই না বা কেন এতগুলো বছর তো এভাবেই কেটেছে। ওর অফিসে যাওয়ার আগে ঘাম মুছতে মুছতে ছুটোছুটি করে রান্না করে খাবার গুছিয়ে খেতে দিয়ে পাশে বসে থেকেছে সোনালী তার মধ‍্যেই চলেছে হাতদুটো। মানে খাওয়ার টেবিলেই চটজলদি শশা,পেঁপে কেটে কখনো রুটি তরকারি অথবা পরোটা বা চাউমিন গুছিয়ে দিয়েছে যত্নে।
হয়ত তার মাঝেই আবার ছুটে গেছে বাকি রান্নাগুলো করতে অথবা মেয়ের টিফিনটা গুছোতে। কোনমতেই বরের ব‍্যাগটা গুছোতেই মেয়ে হয়ত হাঁক দিয়েছে," মা,আমার টাইটা পাচ্ছিনা। আর মোজাগুলো কোথায় রাখো বলতো? এদিকে একবার এসো খুঁজে দিয়ে যাও।"
             তার মাঝেই শুনেছে শাশুড়িমায়ের গজগজ," সকাল থেকে উঠে কি যে করে কে জানে! তরকারি কেটে সবই তো গুছিয়ে দিই হাতের কাছে। তবুও এখনো সারতে পারলোনা। না নিজে খেলো,না আমার খাওয়া হলো।"
           প্রবীর চলে যাওয়ার পর তাড়াতাড়ি করে শাশুড়িকে রুটি তরকারিটা এগিয়ে দেয় সোনালী।
কতবার শুনেছে," বৌমা এত বছর তো এই বাড়িতে আছো। নিজে হাতে করে তোমাকে সব শিখিয়েছি। তবুও তোমার রান্নার হাত তৈরি হলোনা।আজকাল যেন কোন রান্নারই স্বাদ পাইনা।".." মা সকালে অত সময় পাই কোথায় পরিপাটি রান্না করার। এইটুকু করতেই তো আমার তাড়াহুড়ো লেগে যায়।"..ঠোঁট ওল্টান উনি," তাই তো প্রেসারকুকারে সর্বস্ব সেদ্ধ করে কি যে এক জোলো ঘ‍্যাট বানাও কে জানে।..এমন রান্না তোমাদের বাপের বাড়িতে চলে আর সেটাই তোমার রয়ে গেলো।"..এই এক জ্বালা মেয়েদের কিছু হলেই বাপের বাড়ির কথা উঠে আসে। " মা আমি এখন এই বাড়ির বৌ,বাপের বাড়ির কথা বলছেন কেন? সবটাই তো আপনাদের মত করি।"..."আমাকে তো দুএকটা পদ করতে দিতে পারো। তাও তো দেবেনা।"..ছোট করে উত্তর দেয় সোনালী," আপনার ছেলেই বারণ করেছে আপনার হাইপ্রেসারের জন‍্য উনুনের ধারে যেতে।"
                 নাহ্ একুশ বছরেও কখনও ফুল মার্কস পায়নি সোনালী কারো কাছ থেকেই। তাই এখন সব কথার জবাব দিতে আর ভালো লাগেনা। শুধু মাঝে মাঝে নিমন্ত্রিত কেউ ভালো কিছু বললে প্রবীর বলে," যাক তোমাদের দৌলতে আমাদেরও জুটলো একটু ভালো কিছু। নাহলে আজকাল আর সময় কোথায় বউদের সারাদিনই তো ফেসবুক নিয়ে খুটুর খুটুর করছে। জুটেছে ওখানে বন্ধুবান্ধব কি করে কে জানে! আমি তো সারাদিন কাজের চাপে ঐ সব খোলারই সময় পাইনা।"
                মুন্নিই একসময় মাকে ফেসবুকে আ্যকাউন্ট খুলে দিয়েছিলো। তখন তেমন খুলতোই না। এখন স্মার্টফোন হয়ে সুবিধে হয়েছে। মাঝেমধ‍্যেই উঁকি মারে মুখপত্রিকায়। আজকাল হয়ত ওটাই উঁকি মারার একটা খোলা জানালা।
              রান্না নিয়ে মাঝে মধ‍্যে মেয়েও বলে," ওহ্ মা একটু ইউটিউব দেখে ভালোমন্দ তো খাওয়াতে পারো। ওহ্ সেই বোরিং ঝোল ভাত ডাল।"কে জানে বরের শরীরের দিকে নজর দিতে গিয়ে আজকাল কি একটু বেশিই স্বাস্থ‍্যসম্মত রান্না করে ফেলছে! পরেরদিন তাই একটু তেল টেল দিয়ে রসিয়ে কষিয়ে রান্না করলো। শাশুড়িমা খুশি হলেও বর আর মেয়ের মন পেলোনা।" ওহ্ তোমাকে ভালো করতে বলেছি বলে এত তেল দেবে! এর পরেই তেলের অর্ডার মারবে। সবে ভুড়িটা একটু কমছিলো।"
                        যাক নিজের আর মায়ের রেসিপি মিলিয়ে আবার চেষ্টা করে সোনালী আহারে বাহার আনার। দুজনের টিফিনবাক্সে একটু রকমারি স্বাদ এনে সকালে মুড়ি চিবোতে চিবোতে স্বস্তির শ্বাস ফেলে। শাশুড়িমা পুজোর ঘরে একটু চট করে ফেসবুকে উঁকি মারা এবার।
           সেদিন কলেজ থেকে লাফাতে লাফাতে মেয়ে আসে," বাবা তোমার রান্না খেয়ে তো অনিক একদম মুগ্ধ! কাল থেকে আরেকটু বেশি করে খাবার দিয়ে দিয়ো।"
         অনিকের কথা জানে সোনালী,খুব কম দিনেই মুন্নির বেস্টফ্রেন্ড হয়ে গেছে। " আসলে ওর মা নেই তো,হস্টেলে থাকে বেচারা তাই হয়ত ভালো লেগেছে।"অদ্ভুত একটা ভালো লাগাও এলো মনে,আসলে প্রশংসা শুনতে বোধহয় সবারই ভালো লাগে। আর সংসারে এই প্রশংসা টাই মেয়েরা পায়না। যেমন প্রবীরই হয়ত ভাবে বেশি প্রশংসা করলে বৌয়ের ল‍্যাজ মোটা হয়ে যাবে। আবার শাশুড়িমাও নিজের গুরুত্ব হারাবেন বলে হয়ত প্রশংসা করতে ভয় পান।
                 তারপর থেকেই মুন্নির টিফিনটা একটু বেশিই যেত। বাড়িতে অনেকটাই কাজ কমে গেলো বছর না ঘুরতেই সোনালীর। হয়ত অনেকটাই একাও হয়ে গেলো, মেয়েটা চাকরি নিয়ে হায়দ্রাবাদ চলে গেলো। বাড়িতে এখন ওরা দুজন আর শাশুড়িমা। তাই কাজের বাইরে ফেসবুক আর মেয়ের সাথে কখনও গল্প। আজকাল অদ্ভুত লাগে সোনালীর মুন্নির ফোন পেয়ে। "আচ্ছা মা বলতো পোস্তটা কেমন করে করো?এই যে তোমার একচামচ তেলে চিকেনটা ওটা? আর বেগুনের বাসন্তী বাহার?আসলে আমার কয়েকজন বন্ধুকে বলেছি খাওয়াবো রান্না করে।"
     " মুন্নি তুই এত কিছু পারবি? মানে পারিস আজকাল?"
"এখন তোমার রান্না খুব মিস্ করি মা,একটা সময় কত জ্বালাতাম তোমায় বলতো খুব খারাপ লাগে গো। আসলে নিজে চাকরির পর এসে যখন রান্না করি তখন মনে হয় তুমি কত চট করে সব করে ফেলতে। মায়েরাই বোধহয় সবচেয়ে বেস্ট শেফ হয় জানো মা?আমি ভিডিও কল করবো তুমি দেখিয়ে দেবে।"
                     মেয়েকে ভিডিও কলে প্রায়ই রান্না শেখায় সোনালী। খুশি হলেও টিপ্পুনি কাটে প্রবীর," বাবা হায়দ্রাবাদে তো তোমার প্রচুর ফ‍্যান,ফোনে মেয়ে রান্না শিখে বন্ধুদের খাওয়াচ্ছে। বুঝলে আজ অফিসে খেলাম অভয়ের বাড়ি থেকে রান্না করে আনা মাংস। দারুণ রান্না করে বৌদি।"
             বাড়িতে বরের সুগার প্রেসার কোলেস্টরল হাই বলে স্বাস্থ‍্যসম্মত খাবার রান্না করে সোনালী। আর সে কিনা অফিসে প্রায়দিনই ভালোমন্দ খাচ্ছে। আসলে ব‍্যাপারটা তাই হয় কথায় আছে ঘর কা মুরগী ডাল বরাবর।
           এর মাঝে একদিন অনিক ফোন করেছিলো কনফারেন্স কলে। " কাকিমা আমি কিন্তু খুব মিস্ করছি রুটি আর পোস্ত ছড়ানো আলুপটলের ছেঁচকি।"একটু লজ্জা পায় সোনালী," আচ্ছা এরপর একদিন এসো বিরিয়ানী খাওয়াবো।"..." মা আমি ওকে খাইয়েছি রান্না করে।তুমি আর বেশি প্রশ্রয় দিয়োনা ওকে।"
              কে জানে কেউ তো ভালো বলেনি তেমন ভাবে কোনদিন ওর কোন কিছুই।
             আজ মাদার্সডে ফেসবুকে খুব লেখালেখি হচ্ছে আগের কদিন ধরেই । সোনালীর মা নেই,শাশুড়িমা কোনদিনই তেমন ভাবে ওকে কাছে টেনে নিতে পারেননি। সহ‍্য করাটা একটা অভ‍্যেস হয়ে গেছে। সকালেই উঠে পরতে হয় সোনালীর ওটাই রুটিন। প্রবীরকে চা দিয়ে ছুটোছুটি করছে। রান্নাঘরে প্রেসারকুকারটা হাঁকডাক করছে। হঠাৎই প্রবীরের ফোনটা বেজে ওঠে। নিশ্চয় আজও অফিসে খাওয়া দাওয়া তাই ফোন এসেছে। একটু উঁকি মারে সোনালী।
       " না না এই তো চা খাচ্ছি। কি বলছিস মাকে ডাকবো। আরে রান্না করছে তো।"
      হাঁক দেয় প্রবীর গ‍্যাস বন্ধ করেই আসে সোনালী। প্রবীর তখনও কথা বলছে বলতে বলতেই পেপারটা ওল্টায়। চশমার ফ্রেমটা একটু ওপরে তুলে ভালো করে দেখে। ততক্ষণে ফোনটার স্পীকার অন করেছে প্রবীর।"হ‍্যাপি মাদার্স ডে মা..বাবা পেপারটা খুলেছে একবার দেখো।"..মাদার্সডের জন‍্য বেশ কয়েকটা রান্না..ক‍্যাপশন এক চামচ তেলের রান্নায় আজকের পার্টি,ওমা এই রান্নাগুলো তো ও নিজেই করে বাড়িতে। কিন্তু এই ছবিটা তো ওর আর শেষের নামটাও তো..."কি হলো মা?দেখলে রান্নাগুলো?
               চোখটা একটু ছলছল করে ওঠে আনন্দে সোনালীর। অবাক হয়ে তাকায় প্রবীর আটপৌরে সোনালী কখন যে অন্দরমহলের তেল হলুদ আর জলে ভাসানো তরকারি নিয়ে পেপারে রান্নার কলমে উঠে এসেছে বুঝতেই পারেনি। আসলে বোঝেনি সোনালীও নিজে এইসব কখন হলো।
             মুন্নিও হয়ত মায়ের মূল‍্য বুঝতে পারেনি কাছে থেকে। বন্ধুদের চোখেমুখের প্রশংসায় একটু একটু করে চিনেছিলো মাকে। শিখেছিলো কি করে চটজলদি রান্নাঘর থেকে মুক্তি নিয়ে বাকি কাজ সারা যায় আর খুঁজে পাওয়া যায় অবসর।
              ওর শাশুড়িমা ততক্ষণে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। " কি হয়েছে রে? দিদি ফোন করেছে এত সকালে?".."ঠাম্মুকে হ‍্যাপি মাদার্সডে বলো বাবা।"...."ধুর ওসব কোনদিন বলেছি নাকি মাকে?"..ওদিক থেকে ধমকায় মেয়ে," আমি বলছি বলো,কাউকে ভালোবেসে কিছু বললে হাগ করলে সম্পর্ক ভালো হয়।"
ওপার থেকে বাড়ির মিষ্টি ছবিটা দেখে মুন্নি তবে অনেকটাই ক্রেডিট অনিকের। নিজের মা নেই বলেই হয়ত ওর মাকে নিয়ে একটু বেশিই ভাবে।
            প্রবীরের সাথে সাথে আজ শাশুড়িমাকে প্রণাম করলো সোনালী। এই বাড়িতে এত বছর থেকে অনেক কিছুই তো শিখেছে ওনার কাছে।
     প্রশংসা করতে জানলে বোধহয় সবচেয়ে বেশি মন জয় করা যায় প্রতিপক্ষের,যেটা আমরা অনেকেই বাড়ির লোককে না করে বাইরের লোককে বেশি করি।
    সমাপ্ত:-
     

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...