Skip to main content

Nimyle

#বন্ধু_হোক_নিম#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

নিমের বহুবিধ গুণের কথা আমরা কমবেশি সবাই জানি। নিম একটি অভূতপূর্ব ঔষধি গাছ। প্রাণী ও উদ্ভিদকূলের জন্য এত উপকারী গাছ এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। এজন্য বলা হয় নিম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বৃক্ষ। নিমের এ গুণাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিমকে ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে। খ্রিস্টের জন্মের ৫ হাজার বছর পূর্ব থেকেই ভারত উপমহাদেশে নিমের অস্তিত্ব ছিল বলে জানা যায়। নিমের গুণাগুণ সম্পর্কে প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের ধারণা থাকলেও নিম নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু হয়েছে হাল আমলে। ভারত উপমহাদেশে নিম নিয়ে গবেষণা শুরু হয় ১৯৪২ সালে। পশ্চিম বিশ্বে গবেষণা শুরু হয়েছে আরও অনেক পরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিম নিয়ে গবেষণা শুরু হয় ১৯৭২ সালে। বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে নিম নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। নিমের ব্যবহার, এর চাষাবাদ নিয়ে মানুষের  আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
       ছোটবেলায় আমরা এত জানতাম না নিম সম্বন্ধে। আমাদের বাড়িতে একটা নিমগাছ ছিলো,আমি নিমগাছের কচিপাতা বেগুন দিয়ে ভাজা খেতে খুবই ভালোবাসি ছোট থেকে। ওটা ভালোবেসেই খেতাম গুণাগুণের কথা মা বলতো। শুধু খাওয়াই নয়,একটু বড় হওয়ার সাথে সাথে মুখে যখন ব্রণ বেরোতে শুরু করলো মা নিমপাতা চন্দনপাটায় ঘসে নিমচন্দনের প্রলেপ মুখে মাখিয়ে দিতো। কখনও নিমপাতা সেদ্ধ জল ঠান্ডা করে মুখ আর চুল ধুয়ে নিতাম। নিমগাছের ছায়াটা আমার খুব প্রিয় ছিলো,ওখানে বসলে শরীরে একটা খুব ঠান্ডা অনুভূতি হত। আমার যখন হাম হয়েছিলো গা চুলকালে মা নিমপাতা দিয়ে আস্তে আস্তে বুলিয়ে দিত শরীরে। মনে হত শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
           আইটিসি দ্বারা আয়োজিত অনুষ্ঠানে সবুজ নিমাইলের গুণাবলীর কথা জেনে সমৃদ্ধ হলাম। নিমাইল এমন একটি ফ্লোর ক্লিনার যার দ্বারা খুব সহজেই নোংরা দাগছোপ এমনকি মেঝেতে লেগে থাকা জুতোর নোংরা তেলকালির ছোপ সহজে উঠে যায়। আর সুরভিত করে মনকে এর অপূর্ব সুগন্ধে যা পুরোপুরিভাবে প্রাকৃতিক। এটা বাচ্চাদের জন‍্য এবং ত্বকের জন‍্যও নিরাপদ।
বাচ্চারা শুধু কেন আমরাও মেঝেতে বসি,মেঝে থেকে কখনও পড়ে যাওয়া খাবার তুলি বা মেঝেতে বসে খাবার খাই আর গল্পও করি। সেক্ষেত্রে নিমাইল দিয়ে পরিস্কার ভাবে ঘর মুছে নিলে ধুলোবালির সাথে সাথে উধাও হবে জীবাণুও। ঘর আর জীবন দুইই থাকবে সুন্দর আর সুরক্ষিত।
             আমি অনেকদিন আগে থেকেই ঘরে নিমাইল ব‍্যবহার করি জীবাণুনাশক হিসেবে বা বাথরুমের দুর্গন্ধ দূর করতে। এখানে এসে জানলাম এটা মেঝের দাগও দূর করে তাই এবার থেকে শুধুই নিমাইল থাক বন্ধু হয়ে। আপনারাও এগিয়ে আসুন,আশাকরি অনেকেই বাড়িতে ব‍্যবহার করেন। ধন‍্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিমাইল টিম ও মমস্পেশো কে।

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...