#সোনালী_স্বপ্ন#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#
"এখন আমার এক কাজ হয়েছে রে,বসে বসে সুন্দরী মেয়েদের ছবি দেখা। বেশ লাগে কিন্তু।"
" ভালো করে দেখে শুনে এনো জানোই তো চকচক করলেই সোনা হয়না। আমার খোঁজেও একটা মেয়ে ছিলো তুমি যদি বলো.."
" তোর খোঁজে আবার কে? ঘটকালি করছিস কবে থেকে?"
"এই মানে, তুতুল তো মাঝে মাঝেই আমাদের বাড়ি আসে।আমাদের লাগোয়া বাড়িতেই থাকে মিতু,তুতুল ওকে দেখেছেও। মেয়েটা খুব ভালো,মিশুকে তবে ওর বাবার এখন অবস্থাটা ভালো নয়।হঠাৎই কোম্পানী বন্ধ হয়ে গেলো। মেয়েটা পড়াশোনাতেও খুব ভালো।তাই তো আসে বুবুকে অঙ্ক করাতে ।ওখানেই তুতুলের সাথে আলাপ হয়েছে। পড়াশোনার কথাও হচ্ছিলো দেখলাম। তুমি একবার দেখতে পারো।
" তুতুলের জন্য তুই শেষে তোর মেয়ের দিদিমণির কথা বলছিস?ছেলে আমার খড়গপুর থেকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার।"
" তবুও তুমি তুতুলকে একবার জিজ্ঞেস কোরো। দেখো যদি ওর মত থাকে। বেশ গল্প করছিলো আমাদের বাড়ি এসে।"
" তুইও যেমন,গল্প করলেই পছন্দ হবে এমন কোন মানে আছে? তুতুলটা একটু আড্ডা মারতে চিরকালই ভালোবাসে।"
দিদির কথা শুনে আর কথা বাড়ায়না স্নেহা। দিদির মেজাজ আর দেমাকের কথা খুব ভালো করেই জানে।
ওর বর কথাটা শুনেই ওকে বকুনি দিলো.." তোমার পরের উপকার করা কবে যাবে?তারপর আজকালকার দিনে কেউ ঘটকালি করে নাকি?তুতুল যথেষ্ট বড় ওর মিতুকে পছন্দ হলে ও নিজেই বলবে বাড়িতে।তারপর যদি ভালো না হয় তখন কি করবে শুনি?"
সব কথাগুলো সত্যি,মিতুটা খুব ভালো মেয়ে।তাই স্নেহা ভেবেছিলো যদি ওর একটা গতি হয়ে যায়। দিদির সংসারে মানিয়ে থাকতে পারতো খুব হাসিখুশি ভালো একটা মেয়ে। একটা দীর্ঘশ্বাস পড়লো অলক্ষ্যেই। সত্যিই তো তুতুল যথেষ্ট বড় ওদের ভালোমন্দ ওরা বুঝুক।
বোনকে একদম মুখের ওপর না করে রত্নারও মনটা কেমন করে।তাই বোনকে বলে ওর একটা ছবি হোয়াটস আ্যপ করে পাঠাস তো দেখবো একবার। অযথা বাড়ি গিয়ে হাজির হয়ে কি দরকার!
ছবিটা দেখে মুখ বাকান.." এতো একদম সাদামাটা শালোয়ার কামিজ পরা বেণী ঝোলানো একটা মেয়ে।পুরোনো সিনেমার নায়িকাদের কায়দায় সাজগোজ করে।"
ম্যাট্রিমনিতে অনেক সম্বন্ধ এসেছে,একটা একটা করে বায়োডেটা দেখতে থাকেন। অনেক দেখেশুনে পাঁচটা মেয়ে পছন্দ করেন। নিজেরই পছন্দ হয়নি,তাই ছেলেকে আর কিছু বলেন না রত্না। বাবার কাজ নেই,মেয়ে ছাত্র পড়িয়ে রোজগার করে সেই বাড়িতে কি আদর পাবে ছেলেটা জামাই হয়ে?উল্টে ওদের সংসার টানতে টানতেই হয়ত জেরবার হবে ছেলেটা। তাছাড়া ঐ মেয়ে পছন্দ থাকলে নিজেই বলতো। দুদিন গল্প করেছে বলেই হয়ে গেলো! স্নেহাটাও যেমন!
তুতুলের সাথে কথা বলে দেখেশুনে মোটামুটি তিনটে মেয়ে দেখতে যাবেন বলে ঠিক করলেন। একজন মোটা অথচ ফটোতে মনে হয়নি। আরেকজন বেশ অনেকটাই বেটে কিছুতেই ছেলের সাথে মানায়না। তাই আরো দুটো মেয়ে দেখার পর মোনালিসাকে ভালো লাগলো রত্নার।ঠিক যেমনটা চেয়েছিলেন একদম স্মার্ট সুন্দরী শিক্ষিতা সবটাই।
বিয়ে,বৌভাত সব ভালো ভাবেই কেটে গেলো।স্নেহার শুধু মনে হলো শুধু রূপ আর রঙেই দিদি মুগ্ধ হলো।কে জানে এই মেয়ে আদৌ সংসারী হবে কিনা? একটু কথাও বলেনা ভালো করে কারো সাথে।
" মোনালিসাকে কি সুন্দর লাগছে না বল তুতুলের পাশে?কাপল ড্রেসে দুজনকে দেখতে একদম সিনেমার নায়ক নায়িকা লাগছে।"
" হ্যাঁ দিদি খুব সুন্দর ,ফর্সা ঝকঝকে রঙ একদম টানটান চেহারা। আর তুমিও তো সাজিয়েছো মন ভরে।"
" দশটা,পাঁচটা নয় রে একটা ছেলের বৌ তাই সব সেরা জিনিস দিয়ে সাজিয়েছি।"
ওরা দুই বোন তবুও কোথাও একটা অদৃশ্য ফারাক দুজনের মধ্যে।রত্নার সামাজিক অবস্থান স্নেহার থেকে অনেকটাই ভালো। সেই অহঙ্কারের ছাপ কথায় বার্তায় ফুটে ওঠে।
" বিয়ের সমস্ত জিনিস,তত্ত্ব এমনকি আত্মীয় স্বজনকেও দিয়েছি ভালো ভালো শাড়ি। পাবার আশা তো কোনদিনই করিনি শুধু দিয়ে গেছি। আমার ছেলেটা ভালো থাকলেই হলো।"
তবে সব ইচ্ছে কি আর পূরণ হয় মানুষের এটাই হয়ত সত্যি। বৌভাতের পরদিনই সকালে চা করে বার দুয়েক ছেলের বন্ধ দরজার সামনে দিয়ে ঘুরলেন রত্না। তখন প্রায় নটা ছুঁই ছুঁই,সকালের চা টা একসঙ্গেই খান সবসময়।
একটু বাদেই ছেলে দরজা খুলে বেরোনোর পর আবার চা হলো।" হ্যাঁ রে মোনালিসা ওঠেনি এখনো? ও কি খাবে সকালে?"
" ও উঠলে তুমি জিজ্ঞেস করে নিয়ো। আর মা ও শনি রবিবার এগারোটার পরই ওঠে ঘুম থেকে। তাই বললো তুমি আর ডাকাডাকি কোরনা বুঝলে।"
রত্নার মনে হলো পুরোনো কথা..বৌভাতের পরের দিন ভোরবেলা উঠতে হয় বৌমা, কেউ ওঠার আগেই উঠে একদম স্নান করে জামাকাপড় ছেড়ে নেবে। একটু বেলাতে কোনদিন ওঠা মানেই এক গর্হিত অপরাধ। বাঁকা কথা কত শুনতে হয়েছে।
তাই আচ্ছা বলতেই ছেলে বললো.." ও হয়ত তোমাকে বলতো,আমিই বললাম তাই। আর ও প্রোটিন বেশি খায় আর লো কার্বোহাইড্রেট ডায়েট করে তাই চিকেন আর মাছ দুধ দই এগুলো বেশি করে খাবে।সাথে ড্রাই ফ্রুট আর ফল। আমি ফলটল গুলো এনে দেবো। বাবাকে বোলো মাছ মাংসটা আনতে।ওগুলো আমি ভালো চিনিনা। বাবাই তো কেনে।"
চিকেন আর সব্জি দিয়ে প্লেট সাজিয়ে ফল কেটে রেডি করে রাখেন রত্না। আবার কি পুরোনো দিনের কথা মনে হয়?হয়ত হয়।যখন শাশুড়ি ছিলো তখন বড় ঘরের বৌ হয়েও একটা কথাই শুনতেন স্বামী সন্তানকে খাওয়ানোর পর যা থাকবে সেটুকু খাবে।না থাকলে খাবেনা। আর ওনার ট্রেনিংয়ে থাকতে থাকতে অভ্যেসটা অমনি হয়ে গেছে। ভালো জিনিস টেবিলে সাজানো থাকলেও হাতে করে নিয়ে খেতে ইচ্ছে করেনা। কে আর হাতে ধরে দেবে।
তবুও ঘর আলো করা সুন্দরী মেয়ে এনেছেন ফর্সা,লম্বা,সুন্দর ফিগার সবাই বৌ দেখে এককথায় সুন্দর বলে গেছে এটাই তো অনেক পাওয়া। তুতুলও হয়ত সেটা বুঝে গেছে তাই ফল ড্রাই ফ্রুটস আনতে দ্বিধা করেনা।
বৌমাকে খুশি করা মানেই ছেলে খুশি থাকবে এই ভেবে কোন ত্রুটিই রাখেননা। ওদের সুখেই তো সুখ। তবুও এত করেও কেন যেন মোনালিসাকে ওরা সুখী করতে পারলেননা।
নিজের সব ব্যাপারেই খুব সাবধানী মোনালিসা এমন কি তুতুল কতটা আদর করবে সেটাও যেন বাধা ধরা। " ছাড়োনা আমার ভালো লাগছেনা।".." আমার খুব ইচ্ছে করছে আজ।"
" শুধু এই জন্যই কি তোমরা বিয়ে করো নাকি? বৌ মানেই ইচ্ছে মতো সব শখ মিটিয়ে তাকে খাটিয়ে মারা।"
অবাক লাগে তুতুলের," আমি বা মা তো তোমার মত তোমাকে থাকতে দিয়েছি। কখনো বিরক্ত করিনি।সব সময় নজর রাখে মা বাবা তোমার খাওয়ার দিকে।"
" সব বুঝি এই করে তোমার কাছে ভালো মানুষী করে।"
মোনালিসার ব্যবহারে আশ্চর্য লাগে তুতুলের।
" কেন মা কি তোমাকে কিছু বলেছে?বললে আমাকে বলো।"
"সব কি মুখে বলতে হয়?আমি কিছু বুঝিনা?"
আদর করার ইচ্ছেটাই চলে যায় তুতুলের। তবুও জড়িয়ে ধরতে যায় আবার।" ছাড়ো আমার ভালো লাগছেনা।"
রত্নার মাঝে মাঝে ছেলেকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে," হ্যাঁ রে কাল কিছু হয়েছিলো? জোরে কথা বলার আওয়াজ পাচ্ছিলাম।"
থাক দরকার নেই,তারপর হয়ত ভাবেন ছেলেই বলতো কিছু সমস্যা হলে। সত্যিই তো তেমন কিছু চাওয়ার নেই ওরা ভালো থাক এটুকু ছাড়া।
তবুও ভালো থাকতে চাইলেও ভালো থাকা গেলোনা। খবরটা পেয়ে ওদের আনন্দের সীমা ছিলোনা কিন্তু তার পরের কথাগুলো কেমন যেন অদ্ভুত লাগলো রত্নার।মা হতে চায়না মোনালিসা কিন্তু কেন?প্রথম বাচ্চা সবাই তো চাইছে তাতে অসুবিধা কোথায়।মায়ের সামনে কথাগুলো বলতে গিয়েও মুখটা আটকে যায় তুতুলের।
রিপোর্ট যেদিন এলো সেদিন মোনালিসা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে কাগজটা বলেছিলো.." বারবার তোমাকে বলেছিলাম আমি একটা সিরিয়ালে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।এখন কিছু যেন না হয়।তুমি চাওনি আমি এগোই তাই এভাবে আমাকে শেষ করে দিলে। কিন্তু আমি কিছুতেই আমার ফিগার আমার কেরিয়ার নষ্ট করবোনা এখন।"
রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে ব্যালকনিতে গিয়ে সিগারেট ধরায় মোনালিসা।পেছন থেকে ওকে জড়িয়ে ধরে তুতুল। " প্লিজ বাড়িতে এভাবে খেয়োনা।এখন তো একদমই না।"
ওকে ঠেলে দিয়ে বলে," তুমি জানো আমি স্মোক করি,ড্রিঙ্ক করি ক্লাবে যাই।সব সব জানো।"
তুতুলের মনে হলো হ্যাঁ জানতো হানিমুন বা বাড়িতেও অনেক সময় ভালো লাগছেনা বলে স্মোক করেছে মোনালিসা। আদরে ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখতে চেয়েছিলো ওকে তুতুল ভেবেছিলো ঠিক হয়ে যাবে ওর সৌন্দর্য্য ওদের সবাইকে ভরিয়ে রেখেছিলো। তবে এতটা উদ্ধত হয়ে উঠছে কেন বোঝাই যাচ্ছেনা। ও যে কি চায় ওরা বুঝতে পারেনা। রত্নাও চেষ্টা করেন বোঝাতে লাভ হয়না। বরং কিছুটা অপমানিত হতে হয়।
লোক জানাজানির চিন্তা হয়রানি সবের পোকা যেন ছিঁড়ে খাচ্ছিলো রত্নাকে। কিন্তু মোনালিসা কিছুতেই বাচ্চাটাকে রাখবেনা।তুতুলও কেমন যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আজকাল মোনালিসাকে ওর সহ্য হয়না।ওর সুন্দর চেহারাটাও বড় কুৎসিত লাগে। তাই বিয়েটা আর টেকানো গেলোনা।
অনেক আশা অনেকটা প্রত্যাশা ভালো থাকার সবটাই কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেলো।শেষে রত্নাও বলেছিলেন," তুমি যদি আলাদা ফ্ল্যাটে থাকতে চাও তাই থাকো এভাবে ছেড়ে যেয়োনা।"
মায়ের এই অবুঝ অনুরোধ খুব অসহ্য লেগেছিলো তুতুলের।কি ভাবে মাকে বোঝাবে যে সম্পর্ক যখন তেতো হয়ে যায় তখন হাজার চিনি দিলেও মিষ্টতা আসেনা।
" বিয়ে মানেই যে এত শর্ত তা আমি ভাবিনি। এত শর্ত মেনে আমার পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। চিরকাল আমি স্বাধীন আর তেমনি থাকতে চাই।"
" কি স্বাধীনতা চাও যা দিতে পারিনি?"
" যা আমার মনে হবে তাই করবো।"
ইচ্ছে করলেও আর শোনেননি রত্না তাই বাচ্চাটাকে আ্যবরশন করে ঘর ছেড়েছিলো মোনালিসা। প্রথমে কেউ বুঝতে না পারলেও এই সব খবর অনেক তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে যায়। স্নেহা কিছুটা শুনেছিলো আগে।ওর খারাপ লেগেছিলো তুতুলের জন্য ছেলেটা সত্যিই খুব ভালো।
তবে ওর বর ওকে বারণ করেছিলো বেশি কৌতূহল না দেখাতে তাই আর কিছু বলেনি। দিদিকে দেখেও খারাপ লাগে,সংসারটা সাজাতে চেয়েও পারলোনা তাই তো দিদিকে প্রথমেই বলেছিলো চকচক করলেই সব সময় সোনা হয়না।একটু দেখেশুনে নিয়ো ভালো করে।অবশ্য সবসময় তো ভেতরটা দেখা যায়না,কি আর করা যাবে?
মাঝে কেটে গেছে দুটো বছর তুতুলটাও ট্রান্সফার নিয়ে বাইরে। ভাবলেই রত্নার খারাপ লাগে যা ঝড় গেলো। অথচ যদি বাচ্চাটা থাকতো এতদিনে আর ভাবতে পারেননা কে জানে কি চেয়েছিলো মেয়েটা?সুখের খোঁজের ঠিকানা বোধহয় এক এক জনের এক রকম।
খুব হাই সুগার হয়ে গেছে রত্নার,মনটাও ভালো থাকেনা আজকাল। তেমন কোথাও যেতে আর ইচ্ছাও করেনা।সব জায়গাতেই এক প্রশ্ন আবার অনেকেই বলে ছেলের আবার বিয়ে দিতে। ছেলেও চায়না আর ওনারও সাহস হয়না আবার নতুন করে ভাবলেই কেমন লাগে।
রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বসে আছেন দেখাবেন বলে। চারদিকেই রোগীর ভিড় তার মাঝেই হঠাৎ দেখতে পান এক ভদ্রমহিলাকে মনে হচ্ছে যেন বেশ অসুস্থ,চোখে আর পায়ে দুটোতেই সমস্যা। তার মধ্যেই সাথের মেয়েটা গায়ে যত্নে শালটা মুড়িয়ে চোখে ড্রপ দিলো,জল দিলো মাঝে মধ্যেই হাতটা ধরে আলতো ছোঁয়ায় কথা বলছে। এক সময় খুব মনে হত একটা মেয়ে হলে ভালো হত। পরে মনে হয়েছিলো বৌমা আসবে সেই হবে মেয়ে। আজ আবার সেই কথা মনে হলো। বার বার চোখটা চলে যাচ্ছিলো ওদিকে মনে জমছিলো কত কথা।
ডাক্তার দেখিয়ে চেম্বার থেকে বেরোচ্ছেন দেখেন মেয়েটি ভদ্রমহিলার হাত ধরে দাঁড়িয়ে। হয়ত এর একটু বাদেই যাবেন। কানে আসে "কতক্ষণ এসেছি আর ভালো লাগেনা।"
" এই তো হয়ে গেছে মা,একজনের পরেই একটু খানি আর।"
সামনে থেকে মেয়েটাকে দেখেন কেমন চেনা চেনা লাগে মনে করতে পারেননা।
গাড়িতে এসে হঠাৎই মনে হয় অনেকদিন আগে দেখা একটা ছবির কথা,মধ্যবিত্ত বাড়ির বেণী ঝোলানো একটা মেয়ের কথা। কে জানে হয়ত নাও হতে পারে।
বাড়ি এসে কি মনে হয় ফোন করেন স্নেহাকে টুকটাক কথার পর বলেন," হ্যাঁ রে বুবুর দিদিমণি কি যেন নাম ছিলো?.."
" ও তুমি মিতুর কথা বলছো? ওর তো গত মাঘে বিয়ে হয়ে গেলো। তার আগে চাকরিও পেয়েছে। খুব ভালো হয়েছে শ্বশুরবাড়ি। একদম ঘরের মেয়ের মত দুই বাড়ি সামলায়,শাশুড়িমা তো অসুস্থ ওকে একদম চোখে হারায়।পারেও মেয়েটা কিছু।"
পরপর বকবক করতে থাকে স্নেহা। রত্নার চোখে তখন এলোমেলো কতগুলো ছেঁড়া স্বপ্ন। হয়ত বা হারানোর বা ভুল করার আক্ষেপ। স্নেহাই কি তাহলে ঠিক বলেছিলো চকচক করলেই সোনা হয়না।
সমাপ্ত:-
Comments
Post a Comment