Skip to main content

লক্ষ্মীর ভান্ডার

#লক্ষ্মীর_ভান্ডার#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী$

একি বৌমা ঐ টিনটাতে আবার আড়ালে কি রেখেছো? চোখে পড়েনি তো আগে? কি আছে ওতে শুনি?
       কাজল তখন নতুন বৌ,একবছর আগে বিয়ে হয়েছে। যদিও ও জানে শাশুড়ির ওকে পছন্দ নয়।সে কথা তিনি উঠতে বসতে বলেন,কারণ সৌমেন গরীবের ঘরের মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে একদম বিনা পণে তাকে ঘরে এনে তুলেছে।আর মেয়ের বাপও হাড়গিলে ঢ‍্যাঙা কালো মেয়েকে ওদের ঘাড়ে চাপিয়ে বেঁচেছে।
      তাই বড়বৌমাকে ঘরে আনার শোক সামলাতে তিনি ঘটা করে ছমাসের মধ‍্যেই সুন্দরী বড়লোকের মেয়ে দেখে ছোটছেলের বিয়ে দিয়েছেন। আর উঠতে বসতে বড়বৌমার পাশে ছোটবৌমার রূপের প্রশংসা করে পরিতৃপ্তি লাভ করেন এবং রাগও উশুল করেন। সংসারের রান্নার দায়িত্ব শাশুড়ির নির্দেশনাতে কাজলকেই করতে হয়। ছোটবৌ বাড়িতে নতুন এসেছে এখনি রান্নাঘরে ঢুকবে কেন তাই ও চা আর টুকটাক শৌখিন জলখাবার করে। তবে তা খেয়ে প্রশংসাতে পঞ্চমুখ হয়ে যান কাজলের শাশুড়ি।

     একটু সঙ্কোচ করে বলে," মা ওতে চাল আছে?"

" ওতে চাল কেনো শুনি? আমাদের তো ড্রামে চাল থাকে কুনকে দিয়ে মেপে নেওয়া হয় অমন মাঝারি টিন রান্নাঘরের আড়ালে রাখা বুঝলাম না তো? বলি কে রেখেছে ওখানে শুনি?"

" আমি রেখেছি মা।"

"তুমি রেখেছো কই আমি তো জানিনা?আমাকে তো কিছু বলোনি? দেখি এদিকে আনো দেখি টিনটা। আমার কোমর ব‍্যথা নিচু হয়ে দেখতে পারবোনি বাপু।"

        চালের টিনটা টেনে বার করতে নিচু হয় কাজল।কোমর ভাজ করেন শাশুড়িও।কাজল ততক্ষণে চালের টিনটা টেনে বার করেছে।
"দেখি দেখি সরো দেখি একবার। ওমা ঐ হরলিক্সের শিশিতে আছে কি দেখি দেখি আর ঐ যে বয়ামে।"
        এ যেন কেঁচো খুড়তে সাপ বেড়িয়ে আসার মত ঘটনা। সারা বাড়ি মাথায় তুলেছিলেন শাশুড়িমা লজ্জায় গুটিয়ে গিয়েছিলো কাজল।
        " ওগো শুনছো,বড় খোকা,ছোট খোকা এদিকে আয়তো দেখি একবার। আমি সব্বাইকে সাক্ষী রাখবো আজ। কি কান্ড বয়ামে করে চিনি,টিনে করে চাল আর হরলিক্সের শিশি করে তেল সব সরিয়ে রেখেছে! এতো অনেক জিনিস গো! এই মেয়ের পেটে পেটে এত বুদ্ধি?"
      কাজল খুব চেষ্টা করে কিছু বলতে কিন্তু ওনার তর্জনে গর্জনে কিছু বলতে পারেনা শুধু বারবার বলে," মা একটু শুনুন,আপনি শুধু শুধু রাগ করছেন।বিশ্বাস করুন আমার কথা।"
        ততক্ষণে বাড়ির সবাই সেখানে হাজির হয়েছে। কান পেতেছে কাজলের জেঠিশাশুড়ি আর খুড়শাশুড়িও।
        " এই তো সবাই এসে গেছে। সৌমেন সাধে কি বলি সমানে সমানে কাজ করতে হয়।তা নয় গরীবের মেয়ে উদ্ধার করা। এবার বোঝ সংসারে আস্ত চোরের বাসা।"
           কাজলের ইচ্ছে করছিলো মাটিতে মিশে যেতে.." মা আমাকে একটু বলতে দিন,শুনুন আমার কথা।"
  " কি শুনবো শুনি?একটু একটু করে তিলে তিলে গড়া আমার সংসারের জিনিস সব চালান করতো ঐ হাঘুরে বাপের বাড়িতে।"
          সৌমেন আর পারেনা সারা মুখে ওর রক্ত জমে গেছে। সত‍্যিই কাজলের বাপের বাড়ির অবস্থা ভালোনা। কিন্তু কাজল বুদ্ধিমতী,লক্ষ্মীমন্ত আর খুব ভালো মেয়ে একদম ছোট থেকে ওকে দেখছে। হয়ত বা একটু বেশিই ভালো তাই মায়ের কথার উত্তরে কখনো তর্ক করেনা।
           " মা আমি শুনেছি সবটা,বাবা আর ভাইও শুনেছে। তবে কাউকে চোর বলার আগে শুনতে হবে সে কি বলতে চায়।কেন করেছে এই কাজ?"
      " কি বলবে ও শুনি? আমার শোনার দরকার নেই।"
         সৌমেন গম্ভীর গলায় বলে," আমার দরকার আছে। আমি শুনবো আর মিথ‍্যে বললে আজই ওকে রেখে আসবো ওর বাপের বাড়িতে।"
             কাজলের তখন দুই চোখ জলে ভরা ওর ছোট জাও বাঁকা চাউনিতে ওকে দেখছে।

     " মা আমাকে রান্নার জন‍্য চাল,তেল আর চিনি বার করে দেন। আমি তার থেকে প্রতিদিনই কিছুটা করে তুলে রাখি চেষ্টা করি কমের মধ‍্যে রান্না করতে। যেদিন আবার লোকজন আসে বা বেশি লাগে তখন ওখান থেকে নিয়ে নিই। কখনো ওখান থেকে চিনি বা তেল নিয়ে মালপোয়া,নিমকি ভাজি। আমাদের বাড়ির অবস্থা ভালো নয় তাই মা এভাবে কিছু জিনিস রাখতেন ভাড়ারে।আমরা ভাইবোন যখন এটাওটা খাবার বায়না করতাম তখন মা নাড়ু,নিমকি এই সব করে দিতেন। বাবার টাকা পেতে কয়েকদিন দেরি হলে ঐ চালেই চলে যেতো। বাবা মাকে বলতেন তোমার তো লক্ষ্মীর ভান্ডার কখনো ভাড়ারে টান পড়েনা। আমি তো বুঝিইনা অভাবের সংসার কি ভাবে চালাও। মা মারা যাবার পর ঐভাবেই আমি সংসার চালাতাম।"
           আর কিছু বলতে পারেনা কাজল কান্নায় ওর গলাটা বন্ধ হয়ে আসে।
       " মা,বাবা তোমরা কিছু বলবে? শুনলে তো কেন সরিয়ে রেখেছিলো চাল,চিনি আর তেল।"

              " বুঝলাম এখন এখানের জমানো লক্ষ্মীর ভান্ডার এবার পাচার হবে ও বাড়িতে। আমার সংসার আর আমি কিছু জানিনা! এতো লুকোছাপা কিসের বাপু যদি মনে কিন্তু না থাকে।"
        সৌমেনও বলে," কাজল তুমি মাকে বলতে পারতে কথাটা।"
         " মা তাহলে হয়ত আরো কম চাল দেবেন তাই ভেবেছিলাম অনেকটা জমিয়ে মাকে দেখাবো। মা খুশি হবেন।ঐ জমানো চালেই বছরে একমাস হয়ে যাবে।"

          রাতে কাজলের কান্না আর সারাদিন মায়ের কথায় বুঝতে পেরেছিলো সৌমেন চোর অপবাদ একবার হলে তা সহজে যায়না। তাই পরের দিনই কাজলকে নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলো সৌমেন।
                       তারপর কেটে গেছে বেশ অনেকগুলো বছর। কাজলের বিয়ের প্রায় দশবছর বাদে মেয়ের জন্ম হয়েছে ততদিনে ওর জায়ের ছেলের বয়েস আটবছর হয়ে গেছে। বাচ্চা না হওয়া নিয়েও শাশুড়ি লোককে বলেছিলেন," আরে পাপ গো পাপ।আমার ছেলেটাকে ফুসলে বাড়ি ছাড়া করলো তার ফল ভুগতে হবেনা। তাই ভগবানের মার।মাকে ফাঁকি দিয়ে কি বাঁচবে? পাপ কখনো বাপকেও ছাড়েনা।
         সৌমেনকে অনেক বুঝিয়েছিলো কাজল,মায়ের কথাতে বাড়ি না ছাড়তে। লাভ হয়নি কোনো।কাজল বুঝেছিলো সৌমেনের মনে কোন কথাটা লেগেছিলো খুব। সৌমেন শুধু ঠান্ডা গলায় বলেছিলো," চোর এমন একটা শব্দ যা মনের গভীরে রয়ে যায় অনেকদিন। এরপর আরো কিছু হলেও ঐ এক কথাই উঠে আসবে।"
                   শ্বশুরমশাই মারা গেছেন আগেই কাজলের মেয়ে হওয়ার কিছুদিন বাদে শাশুড়িমাও মারা যান। সম্পর্কের সরু সুতোটা আলগা হয়ে গিয়েছিলো অনেকদিনই কিন্তু পুরো ছিঁড়ে যায়নি দেবুর জন‍্য।দেবু কাজলের দেওরের ছেলে।ছোট থেকেই মাঝে মাঝে জেঠুর সাইকেল করে স্কুল থেকে বাড়ি না ফিরে চলে আসতো কাজলের কাছে।সৌমেন গ্ৰামের প্রাইমারী স্কুলেই পড়াতো আর তাই জেঠুর সাথে মাঝে মাঝেই হানা দিতো বাড়িতে।কাজলের তখনো সন্তান হয়নি তার স্নেহমাখা স্বভাবের পুরোটাই উজাড় করে দিতো দেওর পো কে। কখনো নাড়ু,কখনো মালপোয়া আবার কখনো নিমকি বানিয়ে কৌটো করে ভরে রাখতো কখন ছেলেটা আসবে।
           তাই মা আর ঠাকুমা যাই বলুকনা কেন দেবুর বায়নার সাথে কেউ পারেনি দেবু ঠিক পালিয়ে কখনো জেদ করে চলে আসতো ওর বড়মার কাছে। তারপর তো বোন হওয়ার পর ভাইফোঁটা রাখীতে একদম পেটপুরে খেয়ে যেতো এ বাড়ি থেকে। কাজল ওদের ভাইবোনের মিল দেখে নিঃশ্বাস ফেলে ভাবতো আহা এমনি মিলমিশ থাক ভাইবোনে।
                 দেখতে দেখতে সময় অনেকটা কেটে গেছে দেবুর এখন বাইশ বছ‍র। মায়ের মত সুন্দর রঙ আর বাবার মত স্বাস্থ্য হয়েছে ছেলেটার তবে মনটা একদম পাখির মত স্বাধীন কোন নিয়মই বাঁধতে পারেনা ওকে। এখন কলকাতায় পড়ে লকডাউনের জন‍্য বাড়িতে এসে আটকে গেছে। বড়মার বাড়িতেও আসতে পারেনা সপ্তাহে একদিন এসে একটু বোনের সাথে দেখা করে চলে যায়।
            হঠাৎই একদিন কাজল ওকে ফোন করে," দেবু বাবা একটু আসবি তুই এলে তোর জেঠুর খুব উপকার হয়। দেখ যদি বাবা মা ছাড়ে।"
          মা একটু গজগজ করলেও দেবু সাইকেলটা নিয়ে চলে আসে। জেঠুর বাড়ির সামনে তখন তিনচারটে ছেলে দাঁড়িয়ে ওরা জেঠুর পুরোনো ছাত্র। বাড়ির ভেতর থেকে ভেসে আসছে রান্নার গন্ধ। হাত পা ধুয়ে বাড়িতে ঢোকে দেবু,দেখে বড়মার সাথে কাজে হাত লাগিয়েছে জেঠু আর কমলাও।
  " এসেছিস বাবা,সব প‍্যাকেট করাই আছে। আর এই রান্না করা খাবার গুলো আমি গুছিয়ে দিচ্ছি। ওরা ভ‍্যানে করে নিয়ে যাবে।তোরা একটু পূবপাড়ার লোকগুলোকে দিয়ে দিস।"
       " বড়মা, তুমি এতো রান্না করেছো তারপর আবার প‍্যাকেট করা চাল ডাল?"
  " তোর বড়মা সারা বছর ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডারে জমায় জানিসনা? তবে আমিও কিনে দিয়েছি কিছুটা আর লক্ষ্মীর কাছে রাখা মাটির ভাঁড়টাও ভাঙলো।বললো এবার আর পুজো নয় সাধারণ মানুষগুলো বাঁচুক।"
          আশ্চর্য হয়ে গেলো দেবু বড়মার লক্ষ্মীর ভান্ডারের ক্ষমতা দেখে।একমুঠো দুমুঠো করে সারা বছরের জমানো চালে হয়ত আজ আনন্দযজ্ঞ হবে। একমুঠো অন্ন তুলে দিতে পারবে এই দুঃসময়ে মানুষের মুখে।
               ওরা বাইরে বেরোচ্ছে এমন সময় পেছন থেকে ডাকে কাজল," দেবু বাবা,এই গুলো একটু নিয়ে যা না বাবা।পিছু ডাকলাম আবার। আমি আর কমলা সেলাই করেছি মাস্ক।ওদের দিস।"

            শ্রদ্ধায় মাথাটা নুয়ে যায় দেবুর,ছোটবেলা থেকে কত গালমন্দ আর শাপশাপান্ত করেছে এই মহিলাকে ঠাকুমা।আজ যদি ঠাকুমা থাকতো তাহলে বুঝতো লক্ষ্মীর ভান্ডারের মাহাত্ম্য।©রুমাশ্রী সাহা চৌধুরী।
ভালো লাগলে নামসহ শেয়ার করুন।
           
        সমাপ্ত:-
                
 

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...