Skip to main content

সমাজবন্ধু

#সমাজবন্ধু#
#রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী#

অপরেশবাবু,পকেটে হাত দেন যা টাকা আছে তা দিয়ে মোটামুটি এই মাসটা কাটাতে হবে। এমনিতে অসীমা আজকাল বাজারে বেরোতে দিতে চায়না।বলে,"বয়েস হয়েছে গো কি দরকার বাজারে যাওয়ার।কখন কি হবে কে বলতে পারে? চারিদিকে দেখছো না কি অবস্থা! তারপর তো বলছে বয়স্ক লোককে ঘরে থাকতে।"

          এই কদিন এই করে বেরোনো হয়নি।তারপর ঝড়ে যেন সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে।লোকে রোগের কথা ভুলে গেছে ঝড়ের তান্ডবে।

        পেছনের বাগানের আমগাছটা মাঝখান থেকে ভেঙে মাটিতে লুটিয়েছে বুকভরা সন্তানসম ফলগুলোকে নিয়ে। ঐ গাছের আম মেয়ের খুব পছন্দ,এবার আর পাঠানো যাবেনা ওদের। অসীমা পায়ে ব‍্যথা নিয়েই গাছপালা সরিয়ে সরিয়ে কিছু কাঁচা আম এনেছেন বুকভরা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে। আমের মুকুল ধরা থেকেই ওদের চোখে স্বপ্ন সাজাতো গাছটা। সব আমই মোটামুটি পেড়ে নিয়ে গেছে পাশের বস্তীর বাচ্চাগুলো।নিজেদের হা হুতাশের মধ‍্যে ওদের আনন্দধ্বনি শুনলেন বারান্দায় বসে।
            " থাক তাও ওরা নিয়ে যাচ্ছে যাক। নাহলে তো সেই পচেই হয়ত নষ্ট হতো। আমরা কি পারতাম ডালের ওপর উঠে আম পাড়তে?"

   " বললাম ছেলেগুলোকে কয়েকটা দিয়ে যাস বাবা আমাদের সব নিসনা। কে কার কথা শোনে?
আজকাল আর কেউ কথা শোনেনা গো। আর আমরা বুড়ো হয়েছি তো তাই কেউ পাত্তাও দেয়না।"

  " যুগ পাল্টাচ্ছে অসীমা,মানুষের মূল‍্যবোধ সংস্কার,অনুভূতি সবই এখন তলানিতে ঠেকেছে। জীবন এখন অনেক জটিল অসীমা। মানুষেরও চাহিদা বেড়েছে এই বিপননের সাম্রাজ‍্যে। দেখেছো তো চারিদিকে শুধু হাহাকার। কত মানুষের কাজ নেই,পায়ে হেঁটে ফিরছে বাড়ির পথে বাঁচার আশায়।তবুও মরছে পথে,কেউ বা আধমরা হয়ে ফিরছে। তারপর ঝড় দিয়ে গেলো এক যুগান্তকারী দুঃস্বপ্নের দিন।"

  দীর্ঘশ্বাস ফেলেন অসীমা,"সেই দুঃস্বপ্ন তো এখনো চলছে,জল নেই কারেন্ট নেই। প্রতিদিন টাকা দিয়ে জল তোলানো। অন্ধকারে দমবন্ধ হয়ে মরা।
     সামনের ফ্ল্যাটের লোকগুলো রাস্তায় নেমে বসে আছে সুরাহা যদি হয়। কারো মুখে মাস্ক আছে কারো বা নেই।তোমার ঐ সমস্ত ভারী ভারী কথা আমি বুঝিনা বাপু তবে তুমি বাইরে যেয়োনা।যা আছে তাই দিয়েই চলবে।"

        দীর্ঘশ্বাস ফেলেন অপরেশবাবু.." কি যে দিনকাল এলো! কত লোক খোলা আকাশের তলায় বসে দিন কাটাচ্ছে সব খুইয়ে। কোথাও জল নেই,কোথাও বা নোনাজলে চাষজমি ভেসে গেছে। কদিন বুকের ভেতরটা চাপা চাপা লাগছে গো।নেবুলাইজ করা হচ্ছেনা। ওষুধটাও শেষ,আনতে হবে। আর দেখি যদি কিছু মাছ,ডিম আর আনাজপাতি কিনতে পারি।"

        " কারেন্টই তো নেই তা তোমার ঐ মেশিন চলবে কি করে?"

  " আশায় বাঁচি অসীমা যে কারেন্ট আসবে,যদিও পাঁচদিন যদিও চলে গেছে।তবুও আসবে এই আশায় আমরাও ধুকে ধুকে বাঁচবো।"

             মানিব‍্যাগটা পকেটে নিয়ে আস্তে আস্তে পা ফেলেন। রাস্তার সামনের ফ্ল্যাটের সামনে বড় জটলা চেঁচামেচি চলছে।দুজন ক‍্যান্সারের রোগী, একজনের আবার কিডনির সমস‍্যা ডায়ালিসিস চলে অন্ধকারে পাঁচদিন পেরিয়ে আলোয় অভ‍্যস্ত মানুষগুলো যেন এখনো দুঃস্বপ্নের আঁধারে।
                   আজকাল বেশি হাঁটতে পারেননা হাঁপ ধরে। ওষুধের দোকানে প্রেসক্রিপশন জমা দিয়ে বেশ অনেকটা দাঁড়াতে হলো ওষুধের জন‍্য।
        তারপর আস্তে আস্তে গেলেন বাজারের দিকে। সব্জীর দাম শুনে অবাক হয়ে গেলেন প্রথমে। বললেন..." হ‍্যাঁ রে আমরা মধ‍্যবিত্ত মানুষগুলো কি এইরকম ধুকে মরে যাবো? কটা টাকাই বা পেনশন পাই। তারপর এত ওষুধের খরচ! এরপর হয়ত না খেয়েই মরতে হবে। ত্রিশ টাকা কেজি ছিলো তো,আজ আশি টাকা!"
        " বাবু,আজ আশিতে নিন এরপর একশো হবে। আনাজপাতি সবই তো ছারখার হয়ে গেছে পাবেন কি করে? আলু,পটল আর টমাটর পেয়েচি।"
                 মাছের বাজারেও আগুন,বেড়েছে মুরগির দামও। আজ আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে। হে ভগবান মানুষকে আর কত শিক্ষা দেবে!
         
                 ততক্ষণে বেশ বেলা হয়েছে টুকটুক করে ব‍্যাগটা ভারী হয়েছে,বাড়িতে গেলেই অসীমা বকবক করবে তারও যে রাজ‍্যের কাজ বেড়েছে।আর পারছেনা এই বুড়ো বয়েসে। মাস্কের ভেতরে চাপা নাক মুখ যেন একটু প্রাণখুলে শ্বাস নিতে চায়। আস্তে আস্তে পা বাড়ান বাড়ির দিকে,রাস্তায় লোকজন কম। উপড়ে পড়া বুড়ো গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন,বুক পেতে ঝড়ের ধকল নিয়ে ক্লান্ত রণক্লান্ত শরীরে মুখ থুবড়ে পড়েছে মাটিতে।

                 হঠাৎই পেছনে একটা চাপ অনুভব করেন তার সঙ্গে একটা চাপা গলায় নির্দেশ..." যা আছে সব বার করুন। আপনারাই শুধু খাবেন,আমরা খাবোনা?"

                বুকের ভেতরটা ঠান্ডা হয়ে যায় অপরেশবাবুর।কত আর আছে ব‍্যাগে? সব কেনার পর হয়ত দুশোটাকার কিছু বেশি। এই সময় ঐ টাকাটাই খুব দরকার কারণ সরকারের কাছ থেকে ফ্রীতে পাওয়ার তাদের মত মধ‍্যবিত্তর কিছু নেই। তাই হাসিমুখে টানাটানি সামলে বেঁচে থাকা। কিন্তু ঐ টাকাতে ছেলেটা কি মানবে?
                     ----" কি হলো দাদু? ছুরিটা কি দেবো চালিয়ে? ব‍্যাগটা বার করুন।"
            পকেটে হাত ঢুকিয়ে অপরেশবাবু  মানিব‍্যাগটা বার করেন।
         ছিনিয়ে নিয়ে মানিব‍্যাগটা খুলে ফেলে লোকটা।টাকাটা দেখে ক্ষেপে গিয়ে অপরেশবাবুর কলারটা চেপে ধরে বলে.." ভেতরের পকেট থেকে বাকি মালটা দিন।"
            অপরেশবাবু হাঁপাতে থাকেন মুখ থেকে নেমে যায় মাস্কটা।হাতের ব‍্যাগটা রাস্তায় পড়ে গিয়ে আলুগুলো গড়াচ্ছে।
                     মাস্কটা খুলে যেতেই থমকে যায় লোকটা। মুখ দিয়ে অজান্তেই একটা কথা বলে ফেলে.." মাস্টারবাবু।"
               চমকে ওঠেন অপরেশবাবু প্রায় কুড়িবছর আগে শোনা ডাক তবুও এখনো মনে আছে। তখন তিনি বসিরহাটের প্রাইমারী স্কুলে পড়াতেন,কত বলেছেন মাস্টারমশাই বলতে হয় বাবু নয়। কত আর সবাইকে বাবু বাবু করবি?
          তখন স্কুলে মিড ডে মিল ছিলোনা,অসীমা মেয়েকে নিয়ে বাবা মায়ের সাথে কলকাতায় থাকতো।সপ্তাহান্তে বাড়ি ফিরতেন অপরেশ,এছাড়া হাত পুড়িয়ে খাওয়া ঐ ভাড়া বাড়িতেই।
                   তখনও শরীরটা কাঁপছে অপরেশবাবুর,হাঁফও ধরছে বেশ।কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন হারান...
                      মাথাটা তুলতে পারেনা হারান,নিচু হয়ে তখন আলুগুলো তুলে ব‍্যাগে ভরছে। মনে পড়ে যাচ্ছে ছোটবেলার কথা বাবা ভালো ছিলোনা মদ খেয়ে মাকে মারতো জোর করে কেড়ে নিতো টাকা পয়সা কখনো চুরি ছিনতাই করতো। মা কাঁদতো প্রতিদিন। হারানের খাওয়া জুটতোনা,সবদিন স্কুলে যাওয়া হতনা। কিন্তু পড়তে ভালো লাগতো।
            মাস্টারবাবুর বাড়িতে মা কাজ করতো,হারানকে হ‍্যারিকেনের আলোতে পড়াতে পড়াতে মাস্টারবাবু বলতেন 'গোপালের মত হবি,রাখালকে কেউ ভালোবাসেনা।চুরিবিদ‍্যা বড় পাপ। মাস্টারমশাই বলবি,বাবু আবার কি?'
         " মা যে বলে মাস্টারবাবু।"
" তা বলুক,তুই কেন বলবি মাস্টারবাবু।"

                 ....." তুই ছিনতাই করিস হারান? আমার শিক্ষা তাহলে কোন কাজেই লাগেনি!"

               কথাগুলো বলতে বলতেই মাথাটা কেমন যেন ঘুরে যায় হঠাৎই। পড়ে যাওয়া বুড়ো গাছের গুড়িটার ওপর বুড়ো মাস্টারবাবুকে বসায় হারান।
             " ছিনতাই করিনাই মাস্টারবাবু বিশ্বাস যান,কাজ নাই কম্ম নাই।বাইরে কাজে গেছিলাম তাও গেছে।হেঁটে হেঁটে কোনরকমে এসেছি বাড়ি।বাড়িতে অভাব।"
           " দোষ,দোষ,রক্তের দোষ হারান। অভাবে মানুষে চুরি করেনা।স্বভাবে করে,ওটা নেশা হয়ে যায়। অভাবে হলে যে মানুষ প্রাণ বাঁচাতে বাহাত্তর ঘন্টা ধরে গাছে থাকে ঘর হারিয়ে সে হাত পেতে চিঁড়ে মুড়ি নিতোনা।সবাই চুরি করতো তোর মত। কি দিন এলো ভগবান!"
               অপরেশবাবুর পায়ের কাছে বসে পড়ে হারান.." আর করবোনি,আর কখনো নয়। মাস্টারবাবু চলেন আপনেরে ঘরে দিয়ে আসি।"
          
" অসীমা,একটু ঝোলভাত নামিও তো আজ অনেকদিন বাদে হতভাগাটা এসেছে এখানেই দুটো খেয়ে যাবে। এ সেই বসিরহাটের হারান, মালতীর ছেলে গো।"
             মাস্টারবাবুর বাগান পরিস্কারের কাজে লেগে পড়ে হারান।কাজ করতে করতে সারা শরীর দিয়ে ঘাম ঝরতে থাকে।
                   দুপুরে ঝোলভাত খেতে গিয়ে চোখটা ছলছল করে বাড়ির কথা ভেবে।
       " কি ভাবছিস? এখন খেয়ে নে তাড়াতাড়ি। অতটা পথ যেতে হবে তো।"
             খাওয়া দাওয়ার পর অপরেশবাবুর কাছে এসে দাঁড়ায় হারান...

               "আসি মাস্টারবাবু, আবার কোনদিন আসবো।"
           " অসীমা,এদিকে নিয়ে এসোনা ওগুলো।"
  অসীমা এসে দাঁড়ান,হাতে একটা ব‍্যাগ..." কিছু জামাকাপড় আছে এতে মালতীকে আর বৌকে দিয়ো।এসো মাঝে মাঝে বাবা।"

          " এই টাকাটা রেখে দে বাবা,এইটুকুই ছিলো রে।হয় সব্জী,না হলে কটা মুরগী কিনে কোথাও বসে বিক্রি করিস। হয়ত একদিন এই টাকাই চারডবল হয়ে ফিরবে তোর কাছে। সৎ পথে থাক বাবা। মানুষের বন্ধু হয়ে বাঁচ এই দুঃসময়ে,মানুষকে মেরে বেঁচে কি লাভ?"

         " ভুল হয়ে গেছে মাস্টারবাবু, আর হবেনি।সমাজবন্ধু হয়ে বাঁচবো সমাজবিরোধী নয়।"
          " এই তো কত সুন্দর কথা বলছিস।"
     হারান যেতে যেতে হাত নেড়ে বলে যায় সে আসবে আবার সুসময়ের খবর নিয়ে।
        নিঃশ্বাস ফেলেন অপরেশবাবু,মানুষের এই দুঃসময়ে সমাজবন্ধুদের দরকার, সমাজশত্রুদের নয়।©রুমাশ্রী সাহা চৌধুরী

সমাপ্ত:-
          

          
     

Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...