Skip to main content

লজ্জাবতী মুরগী

পাল্কি থেকে একটু মুখটা বার করে নতুন বৌ মীরা, চারিদিকে শুধু হাত ধরাধরি করে সবুজে সবুজ।ধানক্ষেতে আর সরষে ক্ষেতে মিলেমিশে ভাব ভালোবাসা।ওর বরটি লম্বা চওড়া মানুষ বলে পেছনে বরযাত্রীদের সাথে গাড়িতে আছে। বাড়ির রীতি অনুযায়ী পাল্কিতে বৌ আসতে হয় বলে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছনোর আগের পাঁচমাইল রাস্তা পাল্কি চড়া। তাই এইটুকু পথের সঙ্গী পাল্কির গান আর তার সাথে মনের দোরে নতুন জীবনের গুনগুন।কিছুটা ভয় আর কিছুটা আনন্দ মিলেমিশে ভয়ানন্দ ভয়ানক অবস্থা।

অনেক বড় গেট দেওয়া পুরোনো জমিদার বাড়ির মত দেখতে বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় পাল্কি। বাইরে তখন হ‍্যাজাক লন্ঠন জ্বলেছে  সন্ধ‍্যে প্রায় হয় হয়। শাঁখের শব্দ আর উলুর আওয়াজ কানে এলো।বরণের ব‍্যস্ততা আর সন্ধ‍্যারতির কাসরঘন্টা এক অন‍্যমাত্রা যোগ করেছে মীরার বধূবরণে।

গেটের সামনে তখন পাড়াপড়শি আর বৌ মেয়েদের ভিড়। শাশুড়িমা,মাসিশাশুড়ি আর কাকিশাশুড়িরা মাথায় ঘোমটা টেনে চওড়া পাড়ের শাড়িতে বধূবরণের প্রস্তুতিতে দাঁড়িয়ে।

ওদের শহরের মত এখানে নয়,কত লোকজন চারিদিকে। মনে মনে একটু ভয় হয় মীরার পারবে তো এখানে মানিয়ে নিতে? ওর সুপুরুষ বর তখন পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মুখে হাল্কা হাসির ছোঁয়া। মীরা জানে ওর বরকে খুব সুন্দর দেখতে তবে কখনো এটা ভাবেনি ওকে মানায়না বরের পাশে কারণ ও জানে ওর শিক্ষা দেখেই তো শ্বশুর মশাই ওকে পছন্দ করে এনেছেন। মীরা ওদের কাছে বিদূষী আর বুদ্ধিমতী,তবে শ্বশুরবাড়িতে ননদ দেওরদের মাঝে কাজে লেগে গেলো সেই বুদ্ধির ধার।

কখনো মিষ্টি কখনো বা একটু দুষ্টুমির ছোঁয়া দিয়ে ওদের সব নাকানি চোবানি প্রশ্নের উত্তর দিলো। এখনকার মত তখনকার দিনে বরেরা অত আগলাতো না,নিন্দে হবে তো। ভাবখানা এমন তোমায় এনে ফেলেছি সংসারের মাঝে এবার বুদ্ধি আর শক্তি দিয়ে দেখো কেমনে হবে পার।

প্রত‍্যেকের মন জয় করলেও যখন অষ্টমঙ্গলার পর দেওররা বায়না করলো মাংস রান্না করতে হবে তখন খুব ঘাবড়ে গেলেও মুখে বললো," আমি তো মাংস খাইনা,গন্ধও নিতে পারিনা। আমার হাতের মাংস রান্না তোমাদের ভালো লাগবেনা,হয়ত নুনই দেবোনা।তার চেয়ে মাছের কালিয়া করে খাওয়াই।"

" তুমি খাওনা জানি,কিন্তু তোমার প্রিয় বর,দেবর এরা তো খায়।এতদিনে বৌদি পেয়েছি আর নিজেরা করবোনা রান্না। উঃ এতদিন বাবার ভয়ে গোয়ালঘরেও গিয়ে মাংস পুড়িয়ে খেয়েছি,তারপর এখন উঠোনে হয়। এবার তুমি করে খাওয়াবে।

মীরার কাচুমাচু মুখটা দেখে বড়ই খুশি হয় ওরা। দেখা যাক এবার কি হয়? বড় দেওর কাছে এসে বলে

"বৌদি....তুমি শেষে হেরে যাবে?"

মীরা বুঝতে পারে এটাও আদরের নামে একধরনের নাজেহাল করার চেষ্টা। তাহলে কি করবে এখন?

মা,জেঠিমা,কাকিমার আদরের বাড়ির বড় মেয়ে মীরার রান্না করার প্রয়োজন কোনদিনই হয়নি। তারপরে মাংস ছোট থেকে কোনদিন খায়নি,মানে বাপের বাড়িতে মাছ ডিম হলেও মাংস পেঁয়াজ রসুনের তেমন চল ছিলোনা কোনদিন। এমনকি মাংস হাত দিয়ে নেড়েও দেখেনি কোনদিন কেমন যেন ভেতর থেকেই মনে সায় দেয়না।

শ্বশুরবাড়িতে মাংস রান্নাঘরে ওঠেনা আগেই শুনেছিলো শ্বশুরমশাইয়ের কাছে। মাংস খেতে হলে উঠোনের একপাশে রান্না করে খেয়ে একদম স্নান করে ফেলতে হবে।

হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলো এই গল্প শুনেই..যাক বাবা মাংস ধরতেও হবেনা। আর বাবা তো আছেন বলেছেন রান্না সব শিখিয়ে দেবেন নিজের হাতে।

তাহলে কি হবে এখন?

শাশুড়িমাকে বলতেই উনি বলেন," আমি আর তোমার বাবাও মাংস খাইনা জানো তো তুমি।সেই আটবছর বয়েসে এই বাড়িতে বিয়ে হয়ে এসেছি বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত বিগ্ৰহ তাই মাংস খাওয়ার চল ছিলোনা।ভালোমন্দ রান্না এই বাড়িতেই শিখেছি শুধু ঐ মাংস ছাড়া। আমরা খাইনা তাতে কি? ছেলেগুলো হয়েছে পেটুক,আগে তো বন্ধুদের সাথে ফিস্টি করতো লুকিয়ে তারপর গোয়ালে এখন তো উঠোনেই করে।আর কি আমরা চোখ বুজলে তুলবে এনে হেঁসেলে।"

শাশুড়ি বৌয়ের কথা চুপ করে শুনছিলেন শ্বশুরমশাই।

ভাত খাওয়ার পর যখন পান সেজে নিয়ে এলো মীরা তখন উনি বললেন," হার মেনোনা বৌমা এতে সব লেখা আছে দাও দিকিনি ঝামা ঘষে ঐ দেওরদের মুখে।"

" বাবা আপনি জানেন মাংস রান্না?"

" ছোটবেলায় খেয়েছি তো লুকিয়ে হস্টেলে, তবে চুপ এটা যেন কেউ না জানে।"

ঘরে গিয়ে গোপন প্রেমপত্রের মত বাবার দেওয়া লিস্টি আর পদ্ধতিতে চোখ রাখে মীরা। শেষে পুনশ্চঃ করে লেখা.." ওদের বোলো পেঁয়াজ রসুন কেটে বেটে মাংস ধুয়ে একদম মাখিয়ে দেবে। সে ব‍্যাপারে ওরা পটু।"

সুতরাং রণং দেহি বলে কোমরে আঁচল জড়ালো মীরা লম্বা লিস্টিতে পরিমাণ সহ সব জিনিসের নাম আর তারসাথে একখানা মজবুত মাটির হাড়ির অর্ডার হলো।

দেওররা দেখলো বৌদি পিছলোনা,কিন্তু মাংসটা ঠিকঠাক হবে তো? নুন মিষ্টি ঝাল?

মীরা মুচকি হেসে বললো," আমি না করেছিলাম তোমরা শুনলেনা।নুন ঝাল যা বেশি হবে তাই খেতে হবে,চাখতে কিন্তু আমি দেবোনা।"

কিছু করার নেই তাতেই রাজি হতে হলো। হাট থেকে গোপালের দোকানের কচিপাঁঠা এলো তার সাথে লিস্টের সব উপকরণ একদম যা বললো মীরা।

দেওররা বীর বিক্রমে বসলো মাংস বাছতে তার সাথে যোগ দিলো দুই মাসতুতো ননদও পেঁয়াজ কাটা আর মশলা করার কাজে। ওর বরটি অবশ‍্য মাঝে মাঝে এসে একটু ফোড়ন দিয়ে গেলো।বেশি ঘোরাঘুরি করলে ভাইরা মজা করবে।

চামচে মেপে মেপে সব মশলা,লঙ্কার গুড়ো, লবণ আর হলুদ  দিলো একটু উঁচু করে মীরা।তারমধ‍্যে পড়লো পেঁয়াজকুচি, রসুন আর আদা বাটা গোটা গরমমশলা থেঁতো করা। বেশ কিছুটা সরষের তেল আর টকদই। বড় দেওর আওয়াজ দিলো," আঃ এতো কাঁচাই খেয়ে নেওয়া যায়।"

শাশুড়িমা মুখ ঝামটা দিলো," বকরাক্ষস এক একটা কাঁচা মাংসই খাবে।"

মাটির হাড়িতে ঢালা হলো সেই মাংস,গড়িয়ে দেওয়া হলো কিছুটা তেল আরো।ছড়িয়ে দেওয়া হলো কয়েকটা কাঁচালঙ্কা। মুখে মাটির ঢাকনা দিয়ে আটা দিয়ে শক্ত করে আটকানো হলো মুখ।

" একি বৌদি চাখবোনা কথা দিয়েছি একটু দেখতেও দেবেনা? ভারী অন‍্যায় কিন্তু এটা।"

নিভু নিভু কাঠের আঁচে হাড়িটা বসাতে বসাতে মীরা মুচকি হেসে বললো," এ হচ্ছে লজ্জাবতী বৌয়ের মত লজ্জাবতী পাঁঠা। সবুর করো সবুর করো হবে।"

তাকিয়ে দেখে শ্বশুরমশাই বারান্দায় পায়চারি করতে করতে মুখ টিপে হাসছেন। সময় পরিমাণ সবই বলে দিয়েছেন উনি তাই নতুন বৌ মীরা জল না ছুঁয়েও মাছ ধরে ফেললো।

বেশ কিছু সময় বাদে আটার আঠা ভেদ করে সুবাস ছড়াতে লাগলো লজ্জাবতী পাঁঠা।

পেটুকবাহিনী জিভের জল টানলো," আঃ যদি একটু চাখা যেতো।"

মুচকি হাসে মীরা.." হবে হবে নতুন বৌ ঘোমটা খুলুক আগে।"

তবে লজ্জাবতী পাঁঠার ঘোমটা খুলে মানে আটা সরিয়ে ঢাকা তুলতেই ঝাঁপিয়ে পড়লো দেখতে ওরা এতক্ষণ ধরে কি ব‍্যাপারটা হলো।

শ্বশুরমশাই বললেন," বৌমা একদম কলাপাতা পেতে বসে পড়তে বলো অত উঁকিঝুঁকি করতে হবেনা তোমার শাশুড়িমা ভাত গড়ালো এই।"

কলাপাতায় ভাত আর মাটির গ্লাসে জল দিয়ে মাংস দিতেই উঠোনের বাতাস খুশির হাসি আর আঃ আঃ শব্দে ভরে উঠলো।

দেওররা স্বীকার করতে বাধ‍্য হলো বৌদি আজকে একশো পেয়ে জিতে গেছে। হাসলো মীরা তার সদা হাস‍্যময় শ্বশুরমশাইয়ের দিকে তাকিয়ে আজকের যুদ্ধটা তো উনিই জিতিয়ে দিলেন ওকে। মাংস রান্না দূরে থাক গন্ধটুকুও ভালো লাগেনা ওর সেখানে লজ্জাবতী পাঁঠা ওনার নির্দেশনায় ঘোমটা না খুলেও সবার মন জয় করে নিলো।

রাতে নতুন বর আদর করে কাছে টেনে বললো," সবাই যদিও বললো একশোতে একশো দেবে তবে আমি পঞ্চাশের বেশি দেবোনা,চল্লিশও দেওয়া যায়।"

" খুব কিপ্টে তো তুমি কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে.."

হেসে ওঠে ওর বর.." ষাট তো বাবার পাওনা।"

জিভ কাটে মীরা," তুমি কি করে জানলে?"

" বালিশ বলে দিলো। যেই তুলেছি বাবার লেখা লিস্টি পেলাম দেখতে।"

আদরে বরের চওড়া বুকে মুখ রাখে মীরা।

********************

সোনালী চ‍্যানেলে আজ রান্না শেখাবে পাঁচতারা হোটেলের বিখ‍্যাত শেফ ঋতুজা।

" ওয়েলকাম টু আমাদের রান্নাঘর। আপনাদের মাঝে আজ সেলিব্রেটি শেফ ঋতুজা।"

দর্শকদের দিকে হাততুলে নমস্কার করে ঋতুজা ও জানে মা বাবা সবাই দেখছে আজকের অনুষ্ঠান। আচ্ছা দিদা কি কোথাও আছে সবার মধ‍্যেই?খুব মনে পড়লো দিদার কথা। একটু মনটা হারিয়ে যায় ঐ দূরে তারাদের মাঝে।

চমক ভাঙে তখনি।

" আজ আমাদের কি রান্না শেখাচ্ছো? মানে তোমার মায়ের হাতে করা কোন প্রিয় রান্না নাকি কোন কন্টিনেন্টাল ডিশ্?

কথা বলতে গিয়ে গলাটা একটু কাঁপে ঋতুজার," হ‍্যাঁ মাও এটা করে তবে আজ আমি আমার দিদার করা একটা রান্না এখানে শেয়ার করবো শুধু মাংসটা পাঁঠার বদলে মুরগী নিয়েছি।

'লজ্জাবতী মুরগী'।"

মিষ্টি হাসে হোস্ট," কি সুন্দর নামটা গো! নিশ্চয় দারুণ খেতে হবে।"

মাথা নাড়ে ঋতুজা মিষ্টি হেসে। একটা একটা করে উপকরণ মেশাতে মেশাতে মন চলে যায় দিদার বলা সেই গল্পে...মনে মনে বলে," ঐ দূর আকাশ থেকে তুমি দেখছো তো দিদা আমাকে?''


Comments

Popular posts from this blog

কথা দিলাম

#কথা_দিলাম# #রুমাশ্রী_সাহা_চৌধুরী# "চৌধুরীদের বাড়ির ছোটমেয়ে না? কি চেহারা হয়েছে গো! এই তো গত পুজোর আগের পুজোতে ওদের দুগ্গাদালানে দেখেছিলাম চুল ছেড়ে ধুনুচি সাজাচ্ছিলো।কি সু...

চিত্রাণী (উপন‍্যাস ১)

 দক্ষিণের জানলাটা খুলে দিয়ে ওদের ঝুল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে রাঙা আজও সানাইয়ের মিঠে সুর টানে ওকে সেই কতবছর আগের ওর বিয়ের দিনের মতই। সেদিনের ছেলেমানুষী ভরা রাঙা আজ মাঝবয়েসে পা রেখেছে। পরনে লাল চেলীর বদলে শান্তিপুরের সরু পাড়ের আসমানী নীল শাড়ি। নিজের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে বারান্দায় একটু ঝুঁকে দেখে রাঙা। ওর জা মানে বড়দি অবশ‍্য দেখলেই বলত, " সত‍্যি রাঙা তোর স্বভাব আর গেল না। এক রকম রইয়‍্যা গেলি, মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তার আবার অত কি শখ বিয়েবাড়িতে উঁকি মারার? যা একবার নিচে গিয়া রান্নাঘরে ঢুইক‍্যা দ‍্যাখ গিয়া সুলতা কি করত‍্যাছে।"      আজ অবশ‍্য সেই চিন্তা নেই,দিদি দাদার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গেছেন সেই কোন সকালে। ফিরতে নাকি দুপুর গড়াবে একদম প্রসাদ পেয়ে আসবেন। বাবু ইউনিভার্সিটি গেছে ফিরবে সেই বিকেলে। মনে পড়ে যায় একসময় সবাই ওকে রাঙা বৌ বলে ডাকত।  ওর বর প্রথমদিনই বলেছিল," ইশ্ আমি প্রথম যখন শুনছিলাম রাঙা নামটা তখন এত হাসি পাইছিল কি কমু আর। রাঙা, এ আবার ক‍্যামন নাম? তবে মুখখানা দেইখ‍্যা বুঝলাম এমন লাল টুকটুকে সুন্দরীরে রাঙাই বলে বোধহয়। তুমি হইল‍্যা গিয়া আমার রাঙা ...
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ‍্যেই একটা ছোটখাটো কনটেন্টের ওপর শর্টস বানিয়ে নেবে ভেবেছে পিউলি। তারপর যখন এয়ারপোর্টে ওয়েট করবে তখন আরেকটা ছোট ভ্লগ বানাবে সাথে থাকবে প্লেনের টুকিটাকি গল্প। দেশে ফেরার আনন্দের সাথে অবশ‍্যই মাথায় আছে রেগুলার ভিডিও আপডেট দেওয়ার ব‍্যাপারটা। আর এই রেগুলারিটি মেনটেইন করছে বলেই তো কত ফলোয়ার্স হয়েছে এখন ওর। সত‍্যি কথা বলতে কী এটাই এখন ওর পরিবার হয়ে গেছে। সারাটা দিনই তো এই পরিবারের কী ভালো লাগবে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্রিয়েট করে চলেছে। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মোটামুটি বুঝে গেছে যে খাওয়াদাওয়া,ঘরকন্নার খুঁটিনাটি,রূপচর্চা,বেড়ানো এইসব নিয়ে রীলস বেশ চলে। কনটেন্টে নতুনত্ব না থাকলে শুধু থোবড়া দেখিয়ে ফেমাস হওয়া যায় না। উহ কী খাটুনি! তবে অ্যাকাউন্টে যখন রোজগারের টাকা ঢোকে তখন তো দিল একদম গার্ডেন হয়ে যায় খুশিতে। নেট দুনিয়ায় এখন পিউলকে অনেকেই চেনে,তবে তাতে খুশি নয় সে। একেকজনের ভ্লগ দেখে তো রীতিমত আপসেট লাগে কত ফলোয়ার্স! মনে হয় প্রমোট করা প্রোফাইল। সে যাকগে নিজেকে সাকসেসফুল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে দেখতে চায় পিউল।         এখন সামার ভ‍্যাকেশন চলছে ...