'বিয়ে তো এগিয়ে এল বৌমা তা আমাদের দাদুভাই কবে আসছে?' ছাদে কাপড় মেলতে মেলতে শ্রমণা শাশুড়িমাকে বলে,' হ্যাঁ এক সপ্তাহ আগে হয়ত আসবে মা। দেখা যাক কেমন ছুটি পায়। এদিকে তো সব গোছগাছ আমাদের করতে হচ্ছে। উনি বিয়ে করে আমাদের ধন্য করবেন শুধু।' -' তাও ভালো যে বিয়ে করছে। মানে সেটাই তোমাদের ভাগ্যি।' আচারে রোদ দিতে দিতে সুষমাদেবী বলেন। রান্নাঘরের দায়িত্ব শ্রমণাকে দিলেও আচার সামলান একদম নিজের হাতে। কোন মরশুমে কী আচার বানানো হবে,কী উপকরণ লাগবে,কেমন পাক দেবেন সবই তাঁর নখদর্পণে। সুতরাং এই বিষয়টা মানে বড়ি, আচার ইত্যাদি--- ওহ্ আরও আছে মানে পিঠে,পায়েস ইত্যাদিও নিজের হাতেই করতে তিনি ভালোবাসেন। দেখতে দেখতে শ্রমণা শাশুড়ি হতে চলল তবুও তিনি ভরসা পান না। বললেই বলেন,' আরে যতদিন আমি আছি ততদিন করে খাওয়াই। এসব না থাকলে তো একদম বেকার হয়ে যাব।' কোনদিনই কোন অধিকার বুঝে নিতে শ্রমণা মরিয়া হয়ে ওঠেনি,একটা সময় দায়িত্ব নিজেই চেপে গেছিল কাঁধে। শাশুড়িমা অবশ্য কথায় কথায় বলেন,' এই তো সেদিন বিয়ে হয়ে এলে বৌমা,এরমধ্যেই কেমন পাকা গিন্নীর মত ভাব সাব হয়ে গেছে তোমার। সবই যে...