কপালে চন্দনের ছোঁয়া আর লাল টিপে সেজে হঠাৎই আয়নায় নিজেকে কেমন যেন অচেনা লেগেছিল রুমিতার। সেই সাদামাটা সাজগোজের মেয়েবেলার মুখটা একটু অন্য সাজেই বৌ বৌ হয়ে উঠেছিল। বারবারই দেখছিল নিজেকে আয়নায়,পেছন থেকে মেয়েটা পরিয়ে দিয়েছিল খোঁপাতে ফুলের গুচ্ছ। যত্নে সাজিয়েছিল মাথায় মুকুট আর লাল ওড়নাতে আড়াল করতে চেয়েছিল নববধূর লজ্জা।
-' কী সুন্দর লাগছে তোমাকে! শুধু বলছিলে বেশি সাজিয়ো না। একটু না সাজলে হয় নাকি? এমন দিন তো একবারই মাত্র আসে জীবনে।'
মিষ্টি হেসেছিল রুমিতা,আর তারপর বাড়ির লোকেরা এসে তাড়া দিয়েছিল,' আরে চল চল তাড়াতাড়ি। বর অনেকক্ষণ এসে গেছে ছাদনা তলাতে। এবার মালাবদল আর শুভদৃষ্টি হবে তো..
চোখে পানপাতা চাপা দিয়ে দাদাদের ঘাড়ে চেপে..কথাটা মনে হতেই হাসি পেল রুমিতার। সত্যিই তো ঘাড়ে চেপেই কারণ একটা পিঁড়িতে বৌকে বয়ে আনা মুখের কথা নাকি?
সবাই হই হই করে উঠেছিল শুভদৃষ্টির সময় তাকা তাকা বলে। লজ্জায় রাঙা হয়েছিল রুমিতা সবার কৌতূহল দেখে।
Comments
Post a Comment