Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2024

এভাবেই থেকো

হাতের মুঠোফোনে বিশ্বসংসার দেখে আজকাল বেশ সময় কেটে যায় উৎপলবাবুর। ফেসবুকের অনেকগুলো গ্ৰুপেরৈ চোখ রাখা আর কমেন্টে থাকা এইসব নিয়ে সময়ই পান না তেমন। কোন রকমে সারেন নিজের প্রাত‍্যহিক কাজকর্ম তারপরেই আবার ফোনপুজো শুরু হয়। তাছাড়া প্রায়ই এই গ্ৰুপ অথবা অন‍্য কোন গ্ৰুপের মিট হয়,সেখানেও সবাই উৎপলদা করে ব‍্যস্ত। এই বয়েসেও নিজের পপুলারিটি বেশ উপভোগ করেন।   সুযোগ পেলেই চলে যান গ্ৰুপ মিটে,আর উনিও মিস করতে চান না সেই সব আড্ডা আর হাসি মজার সুযোগটুকু। দমবন্ধ করা জীবনে তো এখন ফেসবুকই খোলা জানলা আর ঐ মিটিং গুলো খোলা সবুজ বাগানের মত। ইচ্ছে মত ঘুরে,হাসি,মজা আর খাওয়াদাওয়া করে অনেকটা অক্সিজেন নিয়ে ফিরে আসা।     সেই সুবাদে বন্ধুর তালিকাও বেশ ভারী হয়েছে,তবে আজকাল যাকে তাকে নেন না বন্ধুত্ব তালিকায় উৎপলবাবু। রীতিমত খানা তল্লাশী করে ঢোকান তার ফেসবুকগৃহে। আর যাদের প্রোফাইলে তালা তাদের ঢোকার মুখে তিনিও তার ফেসবুক গৃহে তালা লাগিয়ে দেন।         কদিন ধরেই 'হঠাৎই বন্ধু হওয়া' গ্ৰুপটাতে সমানে পোস্ট হচ্ছে গ্ৰুপ মিটের জন‍্য। এই সুযোগগুলো মিস্ করেন না উৎপলবাবু। তার স‍্যাতসেতে জীবনে এইগুলোই ত...

age is just a number

Age is just a number এই কথাটা এখন সবাই জানি সোশ‍্যাল মিডিয়ার দৌলতে। আরেকটা কথাও খুব শোনা যায় অনেক দায়িত্ব পালন করেছি এবার নিজের মত বাঁচব। আমিও কিছু দিন এই সব ইমোশনাল লেখা টেখা পড়ে বেশ ভেবেছি যে সত‍্যিই তো বয়েস একটা সংখ‍্যা মাত্র। তারপর সেটাকে কাজে লাগাতে গিয়ে দেখেছি আসলে সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়। এক বয়েসে যা করেছি এখন আর তা করতে পারি না। স্কুলে পড়া কালীন আমার রোগা ঢ‍্যাঙা চেহারায় একসাথে তিনটে সিঁড়ি টপকে উঠতাম দোতলায় এখন এক পা গুণে সিঁড়ি দিয়ে নামা ওঠা করি। বয়েস যে সংখ‍্যায় বেড়েছে অনেক তা মনে করিয়ে দেয় প্রতি মুহূর্তে। আসলে যে বয়েসে যা সেটাই ভালো আর সুন্দর। তাই বয়েস স‍ত‍্যি একটা সংখ‍্যা হলেও সংখ‍্যাটা ছয় না ষাট? নয় না নব্বই তা ছয় বা নয়ে মনে না এলেও ষাট বা নব্বই প্রতি মুহূর্তে মনে করিয়ে দেয়।  এই প্রসঙ্গে আমার কমবয়েসে দেখা একটা ঘটনার কথা মনে হল। আমাদের গ্ৰামের কিছু ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক মানুষ ঠিক করলেন তারা একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট করবেন। চারিদিকে হই হই রব,এই প্রসঙ্গে বলি সবাই একসময় বেশ ভালো ফুটবল খেলতেন।      যেদিন খেলা হবে সেদিন সারা গ্ৰামের মানুষ ভেঙে পড়লো খেলা দেখতে। ...

রঙীন কলম

হঠাৎই অফিসে বদলি হয়ে প্রথমেই টেবিলে একটা রঙীন কলম পেল আইভি। অথচ কলমটা ওর নয়। তবে কার?
যতটা আঘাত তুমি করেছো আমায়, তার থেকে বেশি আঘাত তুমি পাবেই একদিন জেনে রেখো। যতটা অবহেলা আমি সয়েছি প্রতিদিন, তার দ্বিগুণ ফিরে পাবে একদিন দেখো। হয়ত কোনটাই চাই না মন থেকে... সবই বেরোয় আমার দীর্ঘশ্বাস হয়ে। বিশ্বাস করি ভগবান সদাই আছেন সাথে, তাই বেঁচে থাকি সব অপমান সয়ে। এ বেঁচে থাকা যে বড়ই কঠিন... তাই ক্ষইছে মন দিন প্রতিদিন। তবুও বাঁচার লড়াই চলছে অবিরত, সব আশা যেন শূন‍্যে বিলীন।

কস্তুরীতে খাওয়া

বাড়ির বাইরে থেকে অফিসের চাকরি করা ব‍্যাচেলার আমি সুতরাং প্রায়ই আমাকে হোটেলে খেতে হয়। কখনও আবার অফিসের ক‍্যান্টিনেও খেয়ে নিই।    আজকাল অবশ‍্য মাকে ফোন করে বেশ কিছু রান্নাও শিখে নিয়েছি প্রয়োজন মেটাতে। তাই ইচ্ছে না থাকলেও মাঝেমাঝে সেগুলো ট্রাই করি। আসলে রান্নাটা আমার ভালো লাগে না করতে। যদিও খুবই বাজে ব‍্যাপার এটা। কারণ চলনসই রান্না জানা সবারই দরকার।      আমি ভোজনরসিক হয়ে চব‍্যচোষ‍্য গিলব আর তার জোগান দেবে আরেকজন সেটা একদম ঠিক নয় তবুও ঐ যে আমার মাতৃদেবী এইজন‍্য দায়ী। কিছু শেখাননি অথচ ধমক ধামক করেন আমার বৌ বলবে মা কিছু শেখায়নি। অবশ‍্য আমারও শেখার আগ্ৰহ ছিল না।         আজও যথারীতি ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে সুতরাং তাড়াতাড়ি করে কোনমতে দু পিস পাউরুটি টোস্ট গরম চায়ের সাথে খেয়ে ছুট মেরেছি অফিসে।      অফিসে কাজের ফাঁকেই মনে হয়েছে আজ বাঙালী খাবার খাবো। আমাদের অফিস থেকে মিনিট দশেক গেলেই একটা ভালো বাঙ্গালী রেস্টোরেন্ট আছে। যদিও খাবারের দাম একটু বেশি কিন্তু কুছ পরোয়া নেই তাতে আজ তো সবে মাসের তিন সুতরাং মনটা নাচে তা ধিন ধিন।