বসন্তের সুবাস বাতাসে,প্রকৃতিতে নানা রঙের মেলা সুতরাং উচাটন মনে ঘুরন্তী বাই আবার উতলা করে তুললো আমাদের। এবারের দোলে তাই চলে গেছিলাম ম্যাকক্লাসকিগঞ্জ। বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল কোথায় যাওয়া যায়? যেখানে পলাশও থাকবে আবার প্রকৃতির রঙও থাকবে,থাকবে একটু পাহাড়,জঙ্গল আর ঝরনা। অবশেষে ঠিক হল ম্যাকক্লাসকিগঞ্জ। ছোটনাগপুরের মালভূমিতে অবস্থিত ম্যাকক্লাসকিগঞ্জ এখন ঝাড়খন্ডে। পৌঁছতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। যে কোনভাবে রাঁচি পৌঁছে গেলেই ব্যাস আর বেশি দূর নয়। রাঁচি থেকে পঁয়ষট্টি কিলোমিটার মত দূর যেতে সময় লাগে মোটামুটি একঘন্টা পঁচিশ মিনিট। এখানে স্টেশনও আছে তবে সেখানে একটাই ট্রেন দাঁড়ায় তার নাম শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস। আমাদের হুট করে পরিকল্পনা সুতরাং ট্রেনের টিকিট পাওয়া গেল না তাই বাসের টিকিট কাটা হল। দীর্ঘদিন ধরে রেলবাবুর ঘরণী হওয়ার সুবাদে বাসের যাত্রা আমার এখন একেবারেই না পসন্দ। তবুও অগত্যা মানতেই হল। সঙ্গী হল আমার বরের মর্নি ওয়াক গ্ৰুপের কয়েকজন দাদা আর তাদের স্ত্রীরা। যথারীতি বাসে উঠেই আমার আক্কেল গুড়ুম। বরকে আগেই বলেছিলাম আমি ওপরে উঠব না,আমার স্লিপারে ঘুমের দরকার নেই বসে যাবো। কিন্তু আমার কথাকে ...